থানায় হামলা, চার পুলিশসহ নিহত ৭
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৩৩:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানায় হামলা অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চার পুলিশসহ ৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিক নিহত সবার পরিচয় জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরের দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থনকারীরা সোনাইমুড়ী বাইপাস এলাকায় জড়ো হয়। এরপর তারা সেখােনে আনন্দ উল্লাস করতে থাকে। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে আনন্দমিছিল থেকে কয়েকজন সোনাইমুড়ী থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ওই সময় থানার ভেতর থেকে পুলিশ গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। এরপর উত্তেজিত জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে থানা ঘেরাও করে হামলা-ভাঙচুর চালালে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তীতে উত্তেজিত জনতা থানা ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আরও শতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩৪জন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে এক পুলিশ সদস্যও রয়েছে বলেওজানা যায়।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার দিকে ৩৭জন গুরুত্বর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে ৩জন হাসপাতালে মৃত আনা হয়। বর্তমানে ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। আহতদের বেশির ভাগই সোনাইমুড়ীর। নিহত তিনজনও ওই সাইডেরই।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত চার পুলিশ সদস্যের মরদেহ পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে তখন ১৩ জন পুলিশ সদস্য সেখােনে ছিল। এর মধ্যে ৪ জনকে পাওয়া গেছে। এরমধ্যে তিনজন পুলিশকে জবাই করে হত্যা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে এসপি আসাদুজ্জামান বলেন, শুনতেছি সাধারণ মানুষ ৩জন কেউ বলতেছে ২জন মারা গেছে। বেঁচে যাওয়া এক পুলিশের বরাত দিয়ে এসপি আরও বলেন, প্রথমে আন্দোলনকারীরা আক্রমণ করে পরে তারা তাদের বাঁচানোর জন্য উপরে ফাঁকা গুলি করে। নিহতের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছে, এএসআই মো.নাছির, এসআই মো.বাছির, কনস্টেবল মোশারফ ও গিয়াস। তবে গিয়াসের বিষয়টি এখনো পুরোপুরি শিউর না। ধোঁয়ার কারণে আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছিনা। সোনাইমুড়ী থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিনের শরীরে ৫টি গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
অপরদিকে, বিকেল পাঁচটার দিকে এক দল বিক্ষোভকারী আনন্দমিছিল নিয়ে চাটখিল থানায় হামলা চালান। থানা ভবনের ভেতরে প্রায় প্রতিটি কক্ষে হামলা-ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়।