ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা ওয়াসার ডিএমডিকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৪১:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪ ১০১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা ওয়াসার ডিএমডি ড. সৈয়দ গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানির চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ এবং বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে তাকে স্বপদে বহাল ও যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করতে বলেছেন আদালত। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তাকে চাকরিতে স্বপদে পুনর্বহাল নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

সোমবার (১০ জুন) এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সহ- সম্পাদক ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব) । তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার, ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ও শেখ মোঃ হাবিবুল্লাহ হাবিব।

ড. সৈয়দ গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানিকে ২০২৩ সালের ২২ জুন বোর্ডের ৩০৫তম সভায় অব্যাহিত দেয়া হয়। এরপর ১৬ জুলাই ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের বিরুদ্ধে সংস্থার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ড. সৈয়দ গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানিকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সুজিত কুমার বালা তখন এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এমডি সাথে ডিএমডির ঠিক বনিবনা হচ্ছিলো না। বনিবনা না হলে কাজে সমস্যা হয়। ওয়াসার স্বার্থেই বোর্ড তাকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিছুদিন ধরেই ডিএমডির সাথে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের দূরত্ব তৈরি হয়। এমডির কিছু সিদ্ধান্তের বিষয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ান ড. ইয়াজদানি। এই অবস্থায় বোর্ডের ৩০৪তম সভার এজেন্ডা হিসেবে ইয়াজদানির অব্যাহতির প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই সভায় বোর্ড সদস্যরা আপত্তি দেন। তারা বলেন, একজনকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডসভায় এমডি ও চেয়ারম্যান বোর্ড সদস্যদের মতামত গুরুত্ব না দিয়ে ইয়াজদানিকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেন।

ড. গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানিকে ২০২২ সালের ১৬ মে ডিএমডি পদে নিয়োগ দেয় ওয়াসা বোর্ড। প্রচলিত রীতি নিয়ম অনুযায়ী একজন ডিএমডির তিন বছর দায়িত্ব পালনের কথা। সেই অনুযায়ী ২০২৫ সালের ১৫ মে পর্যন্ত তার দায়িত্ব পালনের কথা। কিন্তু কিছু অসঙ্গতির বিষয়ে আপত্তি করায় ইয়াজদানি ওয়াসা প্রশাসনের বিরাগভাজন হন। ইয়াজদানির এ রকম বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হন এমডি তাকসিম এ খান। এ রকম বক্তব্য দেয়ার আইনি অধিকার তার নেই বলেও তাকে জনিয়ে দেন এমডি। এরপরই ডিএমডির পদ থেকে চাকরিচ্যুত হন তিনি। পরে এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ইয়াজদানি।

রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব) বলেন, আদালতের রায়টি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। আদালত রায়ে বলেন, ওয়াসার নির্বাহী কর্মকর্তাদের ইচ্ছামাফিক ওয়াসা চলতে পারে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ঢাকা ওয়াসার ডিএমডিকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৪১:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

ঢাকা ওয়াসার ডিএমডি ড. সৈয়দ গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানির চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ এবং বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে তাকে স্বপদে বহাল ও যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করতে বলেছেন আদালত। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তাকে চাকরিতে স্বপদে পুনর্বহাল নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

সোমবার (১০ জুন) এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সহ- সম্পাদক ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব) । তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার, ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ও শেখ মোঃ হাবিবুল্লাহ হাবিব।

ড. সৈয়দ গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানিকে ২০২৩ সালের ২২ জুন বোর্ডের ৩০৫তম সভায় অব্যাহিত দেয়া হয়। এরপর ১৬ জুলাই ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের বিরুদ্ধে সংস্থার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ড. সৈয়দ গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানিকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সুজিত কুমার বালা তখন এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এমডি সাথে ডিএমডির ঠিক বনিবনা হচ্ছিলো না। বনিবনা না হলে কাজে সমস্যা হয়। ওয়াসার স্বার্থেই বোর্ড তাকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিছুদিন ধরেই ডিএমডির সাথে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের দূরত্ব তৈরি হয়। এমডির কিছু সিদ্ধান্তের বিষয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ান ড. ইয়াজদানি। এই অবস্থায় বোর্ডের ৩০৪তম সভার এজেন্ডা হিসেবে ইয়াজদানির অব্যাহতির প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই সভায় বোর্ড সদস্যরা আপত্তি দেন। তারা বলেন, একজনকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডসভায় এমডি ও চেয়ারম্যান বোর্ড সদস্যদের মতামত গুরুত্ব না দিয়ে ইয়াজদানিকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেন।

ড. গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানিকে ২০২২ সালের ১৬ মে ডিএমডি পদে নিয়োগ দেয় ওয়াসা বোর্ড। প্রচলিত রীতি নিয়ম অনুযায়ী একজন ডিএমডির তিন বছর দায়িত্ব পালনের কথা। সেই অনুযায়ী ২০২৫ সালের ১৫ মে পর্যন্ত তার দায়িত্ব পালনের কথা। কিন্তু কিছু অসঙ্গতির বিষয়ে আপত্তি করায় ইয়াজদানি ওয়াসা প্রশাসনের বিরাগভাজন হন। ইয়াজদানির এ রকম বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হন এমডি তাকসিম এ খান। এ রকম বক্তব্য দেয়ার আইনি অধিকার তার নেই বলেও তাকে জনিয়ে দেন এমডি। এরপরই ডিএমডির পদ থেকে চাকরিচ্যুত হন তিনি। পরে এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ইয়াজদানি।

রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব) বলেন, আদালতের রায়টি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। আদালত রায়ে বলেন, ওয়াসার নির্বাহী কর্মকর্তাদের ইচ্ছামাফিক ওয়াসা চলতে পারে না।