ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শরণখোলায় হোলি কুরআন অ্যাওয়ার্ড ওহিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত যশোরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধন শরণখোলায় কর ও সেবা মেলা অনুষ্ঠিত রংপুর রাইডার্স ঘুরে এসেছে নিজেদের রংপুর লক্ষ্মীপুরে ডাম্প ট্রাক চাপায় নিহত দুই: গাড়ি ভাঙচুর,পুলিশের ওপর হামলা বাগেরহাটে পেশাদার তিন গরুচোর গ্রেপ্তার, ৪টি গরু উদ্ধার নড়াইলের আমাদা কলেজে ষষ্ঠ-বার্ষিকী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত আটঘরিয়ায় ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ও বিজ্ঞান মেলা উদ্বোধন  জয়পুরহাটে আগাম জাতের আলুর বাজারে নায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষক  নতুন পোশক পেলো পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার

জয়পুরহাটে আগাম জাতের আলুর বাজারে নায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষক 

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আলু উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা জয়পুরহাট। এ জেলার আলুর গুণগত মান ভালো হওয়ায় দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। মৌসুম শুরুর   আগে জয়পুরহাটের মাঠে মাঠে আগাম জাতের আলু উত্তোলন করছে কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়ায় থাকায় ফলন ভালো  হয়েছে । কিন্তু  নায্য দাম না  পাওয়ায়  চিন্তিত চাষিরা।

অনেকে আলু উত্তোলনের বয়স হওয়ার পরও বন্ধ রেখেছে। আবার অনেকে লোকসানের মধ্যেও আলু তুলছেন। লাভের আশায় আলু রোপণ করে উল্টো বেকায়দায় পড়েছেন আলু চাষিরা। লাভ তো দূরের কথা, খরচের টাকাই উঠছেনা। উৎপাদন বেশি হলেও বাজারমূল্যের অভাবে কৃষকরা লাভের মুখ দেখতে পারছেন না।

আলু চাষিরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার আলু চাষে অনেক বেশি খরচ পড়েছে। এ বছর আলুর ফলন বেড়েছে কিন্তু বিক্রি করে লোকশান গুনতে হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে যারা বিক্রি করেছেন তারা অল্প হলেও লাভের মুখ দেখেছেন কিন্তু বর্তমানে প্রতি বিঘায় প্রায় ১০ হাজার টাকা লোকশান গুনতে হচ্ছে। চাষাবাদ, সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমসহ সব খরচ বাদ দিয়ে এবার লোকশান গুনতে হচ্ছে।

গত সপ্তাহে বিভিন্ন জাতের আলু প্রতিমণ (৪০ কেজি) ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। সেই আলু রবিবার বিক্রি হয়েছে প্রকারভেদে ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। প্রথমদিকে দাম বেশি ছিল কিন্তু ফলন কম হয়েছে। এখন দাম কমেছে কিন্তু ফলন বেশি হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার জয়পুরহাটে ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে ৪৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। আর এরমধ্যে ৯ হাজার হেক্টরে আগাম জাতের আলু রোপণ করা হয়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন। গত বছরের তুলনায় এবার ৪ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বেশি আলু রোপণ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ মে.টন আলু আশা করা হচ্ছে। ১৯টি হিমাগারে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি আলু সংরক্ষণ হবে।সরেজমিনে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার সোটাহার ধারকী, হিচমী, কালাইয়ের হারুঞ্জা, পুনট, কাদিরপুর ও বেগুনগ্রামের মাঠে মহিলা শ্রমিক নিয়ে আগাম জাতের আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আলু চাষিরা। এসব মাঠে মিউজিকা, সাদা সেভেন, বার-তের, ক্যারেজ, রোমানা পাকরি, লাল পাকরি ও কার্ডিনাল জাতের আলু তুলছেন। পুরুষ শ্রমিকরা সেই আলু জমি থেকে রাস্তার পাশে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন। পাইকাররা দর-দাম করে আলু ট্রাকে করে মহাজনদের ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন।

এক বিঘা জমিতে আগাম জাতের মিউজিকা আলুর চাষ করেছেন উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের রাশেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, রোপণের ৬৫ দিন বয়সে আলু তুলেছি। প্রতি বিঘায় ফলন হয়েছে ৭০ মণ। সবমিলে প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ৫৬ হাজার টাকা। ৬৫০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি করেছি ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা। নিজের শ্রম তো আছেই। লোকশান হয়েছে ১০ হাজার ৫০০ টাকা। মাঠে আরও আগাম জাতের আড়াই বিঘা জমিতে আলু আছে, সেগুলোও তুলতে হবে। দাম যেভাবে কমে যাচ্ছে তাতে ভয় পিছু ছাড়ছে না।

মাঠের কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, ১২০ টাকা কেজি দরে বীজআলু ও বেশি দামে সার কিনে আলু রোপণ করেছি, অথচ আলু তুলে ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। উৎপাদন খরচই পড়েছে ১৯-২০ টাকা কেজি।উপজেলার বেগুনগ্রামের কৃষক মাসুদ রানা বলেন, আমি ১০ বিঘা জমিতে আগাম জাতের মিউজিকা আলু রোপণ করছি। প্রতিদিন দাম কমছে। আলুর বয়স হওয়ায় বাধ্য হয়ে জমি থেকে আলু তুলতে শুরু করেছি। লোকসানে দিয়েই আলু বিক্রি করছি।আলু ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান বলেন, আগাম জাতের আলু বিভিন্ন মোকামে সরবরাহ করা হচ্ছে। কাঁচা মালের মূল্য সঠিকভাবে বলা যায় না। আমদানীর উপর দাম ওঠা-নামা করে। বর্তমানে আলুর আমদানি বেশি, তাই দাম কম। পাইকারি বাজারে ১৬ থেকে ১৮ টাকা কেজি দরে আলু ক্রয় করছি। খরচ বাদ দিয়ে প্রতি কেজিতে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা লাভ হয়।

কালাই পৌর বাজারে খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজারে বিভিন্ন জাতের নতুন আলু ওঠেছে। পাইকারী বাজারে দাম কম হওয়ায় খুচরা বাজারেও কম। জাত ভেদে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। জিনিষপত্রের দাম বাড়লে লাভ বেশি হয়, আর দাম কমলে লাভ কম হয়।

বাজারে আলু কিনতে এসেছেন কালাই কাজী পাড়ার তাজভিয়া পাপরি মিম। তিনি বলেন, এক মাস আগে বাজার থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে হয়েছে। আজকে সেই আলু বাজার থেকে কিনলাম ২৫ টাকা কেজি দরে। আলুর দাম কম থাকায় ভোক্তা পর্যায়ে আমরা খুশি।

জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাহেলা পারভীন বলেন,  দাম নিয়ে আমাদের বলার কিছুই নেই। আগাম জাতের আলু যে দামে বিক্রি হচ্ছে মৌসুমে এই দাম থাকবে না। কারণ বাহিরের অনেক দেশই বাংলাদেশের আলু নেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করছেন। সবকিছু মিলে দেশে-বিদেশে এবার আলুর ভালো চাহিদা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জয়পুরহাটে আগাম জাতের আলুর বাজারে নায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষক 

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

আলু উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা জয়পুরহাট। এ জেলার আলুর গুণগত মান ভালো হওয়ায় দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। মৌসুম শুরুর   আগে জয়পুরহাটের মাঠে মাঠে আগাম জাতের আলু উত্তোলন করছে কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়ায় থাকায় ফলন ভালো  হয়েছে । কিন্তু  নায্য দাম না  পাওয়ায়  চিন্তিত চাষিরা।

অনেকে আলু উত্তোলনের বয়স হওয়ার পরও বন্ধ রেখেছে। আবার অনেকে লোকসানের মধ্যেও আলু তুলছেন। লাভের আশায় আলু রোপণ করে উল্টো বেকায়দায় পড়েছেন আলু চাষিরা। লাভ তো দূরের কথা, খরচের টাকাই উঠছেনা। উৎপাদন বেশি হলেও বাজারমূল্যের অভাবে কৃষকরা লাভের মুখ দেখতে পারছেন না।

আলু চাষিরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার আলু চাষে অনেক বেশি খরচ পড়েছে। এ বছর আলুর ফলন বেড়েছে কিন্তু বিক্রি করে লোকশান গুনতে হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে যারা বিক্রি করেছেন তারা অল্প হলেও লাভের মুখ দেখেছেন কিন্তু বর্তমানে প্রতি বিঘায় প্রায় ১০ হাজার টাকা লোকশান গুনতে হচ্ছে। চাষাবাদ, সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমসহ সব খরচ বাদ দিয়ে এবার লোকশান গুনতে হচ্ছে।

গত সপ্তাহে বিভিন্ন জাতের আলু প্রতিমণ (৪০ কেজি) ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। সেই আলু রবিবার বিক্রি হয়েছে প্রকারভেদে ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। প্রথমদিকে দাম বেশি ছিল কিন্তু ফলন কম হয়েছে। এখন দাম কমেছে কিন্তু ফলন বেশি হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার জয়পুরহাটে ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে ৪৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। আর এরমধ্যে ৯ হাজার হেক্টরে আগাম জাতের আলু রোপণ করা হয়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন। গত বছরের তুলনায় এবার ৪ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বেশি আলু রোপণ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ মে.টন আলু আশা করা হচ্ছে। ১৯টি হিমাগারে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি আলু সংরক্ষণ হবে।সরেজমিনে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার সোটাহার ধারকী, হিচমী, কালাইয়ের হারুঞ্জা, পুনট, কাদিরপুর ও বেগুনগ্রামের মাঠে মহিলা শ্রমিক নিয়ে আগাম জাতের আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আলু চাষিরা। এসব মাঠে মিউজিকা, সাদা সেভেন, বার-তের, ক্যারেজ, রোমানা পাকরি, লাল পাকরি ও কার্ডিনাল জাতের আলু তুলছেন। পুরুষ শ্রমিকরা সেই আলু জমি থেকে রাস্তার পাশে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন। পাইকাররা দর-দাম করে আলু ট্রাকে করে মহাজনদের ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন।

এক বিঘা জমিতে আগাম জাতের মিউজিকা আলুর চাষ করেছেন উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের রাশেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, রোপণের ৬৫ দিন বয়সে আলু তুলেছি। প্রতি বিঘায় ফলন হয়েছে ৭০ মণ। সবমিলে প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ৫৬ হাজার টাকা। ৬৫০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি করেছি ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা। নিজের শ্রম তো আছেই। লোকশান হয়েছে ১০ হাজার ৫০০ টাকা। মাঠে আরও আগাম জাতের আড়াই বিঘা জমিতে আলু আছে, সেগুলোও তুলতে হবে। দাম যেভাবে কমে যাচ্ছে তাতে ভয় পিছু ছাড়ছে না।

মাঠের কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, ১২০ টাকা কেজি দরে বীজআলু ও বেশি দামে সার কিনে আলু রোপণ করেছি, অথচ আলু তুলে ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। উৎপাদন খরচই পড়েছে ১৯-২০ টাকা কেজি।উপজেলার বেগুনগ্রামের কৃষক মাসুদ রানা বলেন, আমি ১০ বিঘা জমিতে আগাম জাতের মিউজিকা আলু রোপণ করছি। প্রতিদিন দাম কমছে। আলুর বয়স হওয়ায় বাধ্য হয়ে জমি থেকে আলু তুলতে শুরু করেছি। লোকসানে দিয়েই আলু বিক্রি করছি।আলু ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান বলেন, আগাম জাতের আলু বিভিন্ন মোকামে সরবরাহ করা হচ্ছে। কাঁচা মালের মূল্য সঠিকভাবে বলা যায় না। আমদানীর উপর দাম ওঠা-নামা করে। বর্তমানে আলুর আমদানি বেশি, তাই দাম কম। পাইকারি বাজারে ১৬ থেকে ১৮ টাকা কেজি দরে আলু ক্রয় করছি। খরচ বাদ দিয়ে প্রতি কেজিতে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা লাভ হয়।

কালাই পৌর বাজারে খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজারে বিভিন্ন জাতের নতুন আলু ওঠেছে। পাইকারী বাজারে দাম কম হওয়ায় খুচরা বাজারেও কম। জাত ভেদে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। জিনিষপত্রের দাম বাড়লে লাভ বেশি হয়, আর দাম কমলে লাভ কম হয়।

বাজারে আলু কিনতে এসেছেন কালাই কাজী পাড়ার তাজভিয়া পাপরি মিম। তিনি বলেন, এক মাস আগে বাজার থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে হয়েছে। আজকে সেই আলু বাজার থেকে কিনলাম ২৫ টাকা কেজি দরে। আলুর দাম কম থাকায় ভোক্তা পর্যায়ে আমরা খুশি।

জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাহেলা পারভীন বলেন,  দাম নিয়ে আমাদের বলার কিছুই নেই। আগাম জাতের আলু যে দামে বিক্রি হচ্ছে মৌসুমে এই দাম থাকবে না। কারণ বাহিরের অনেক দেশই বাংলাদেশের আলু নেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করছেন। সবকিছু মিলে দেশে-বিদেশে এবার আলুর ভালো চাহিদা রয়েছে।