ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘জম্বি’ তৈরিতে কবর থেকে মরদেহ চুরি, জরুরি অবস্থা জারি

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:১৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১৮৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিনেমার মতোই ধীরে ধীরে পুরো দেশের দখল নিচ্ছে অতিমানবের দল ‘জম্বি’। দিনের আলো নিভলেই কবরস্থান থেকে চুরি যাচ্ছে মৃতদেহ। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ,বাধ্য হয়ে আফ্রিকার দেশ সায়রা লিয়নে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

‘জম্বি’ কাল্পনিক ভূতূড়ে কাহিনীর চরিত্র হলেও এক ধরনের মাদক সেবন করলে অনেক সময়ই মানুষ এমন আচরণ করে। যার সাথে কাল্পনিক জম্বির খুব বিশেষ ফারাক নেই। এতটাই ভয়াবহ যে, সেবনের পর হলিউড সিনেমার জম্বিদের মতোই আচরণ করেন নেশাগ্রস্তরা। তাই এই মাদকের নাম জম্বি ড্রাগ। আফ্রিকার সায়রা লিয়ন দেশের বহু মানুষ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এই মাদকের ছোবলে। জম্বি ড্রাগ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো মানুষের হাড়। তাই রাত নামলেই কবর থেকে মৃতদেহ চুরি করছে মাদকাসক্তরা। নিরাপত্তা বাড়িয়েও কবরস্থান থেকে মরদেহ চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। এর ফলে বাধ্য হয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার।

সায়রা লিয়নের রাষ্ট্রপতি জুলিয়াস মাদা বায়ো বলেন, মাদক ব্যবহারের জেরে দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি। মাদকের জেরে দেশে মৃত্যুহারও ভীষণভাবে বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ছয় বছর আগে দেশে প্রথমবার এই মাদকের অস্তিত্ব নজরে আসে। যার নেশা কার্যত সম্মোহিত করে ফেলে মানুষকে। লাগাতার ঘুম, শ্বাসযন্ত্রের দুর্বলতা চোখে পড়তে শুরু করে। ঝিমুনি ভাব আসে এবং মস্তিষ্কের উপর সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন মাদকাসক্তরা।

বিশেষজ্ঞরা জানান, এই ড্রাগের ফলে মৃত্যুও হয় অত্যন্ত ভয়ংকর। মাদকাসক্তের শরীরে হঠাৎ করেই ক্ষতচিহ্ন তৈরি হয়। ধীরে ধীরে তা গোটা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তা শুকিয়ে কাঠের মত শক্ত হয়ে যায়। এরপর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

বিবিসি সূত্রে জানা যায়, এই মাদক সেবনের ফলে অঙ্গ বিকল হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের সায়রা লিয়ন মনরোগ হাসপাতালে রোগী ভর্তির হার চার হাজার গুণ বেড়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

‘জম্বি’ তৈরিতে কবর থেকে মরদেহ চুরি, জরুরি অবস্থা জারি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:১৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪

সিনেমার মতোই ধীরে ধীরে পুরো দেশের দখল নিচ্ছে অতিমানবের দল ‘জম্বি’। দিনের আলো নিভলেই কবরস্থান থেকে চুরি যাচ্ছে মৃতদেহ। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ,বাধ্য হয়ে আফ্রিকার দেশ সায়রা লিয়নে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

‘জম্বি’ কাল্পনিক ভূতূড়ে কাহিনীর চরিত্র হলেও এক ধরনের মাদক সেবন করলে অনেক সময়ই মানুষ এমন আচরণ করে। যার সাথে কাল্পনিক জম্বির খুব বিশেষ ফারাক নেই। এতটাই ভয়াবহ যে, সেবনের পর হলিউড সিনেমার জম্বিদের মতোই আচরণ করেন নেশাগ্রস্তরা। তাই এই মাদকের নাম জম্বি ড্রাগ। আফ্রিকার সায়রা লিয়ন দেশের বহু মানুষ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এই মাদকের ছোবলে। জম্বি ড্রাগ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো মানুষের হাড়। তাই রাত নামলেই কবর থেকে মৃতদেহ চুরি করছে মাদকাসক্তরা। নিরাপত্তা বাড়িয়েও কবরস্থান থেকে মরদেহ চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। এর ফলে বাধ্য হয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার।

সায়রা লিয়নের রাষ্ট্রপতি জুলিয়াস মাদা বায়ো বলেন, মাদক ব্যবহারের জেরে দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি। মাদকের জেরে দেশে মৃত্যুহারও ভীষণভাবে বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ছয় বছর আগে দেশে প্রথমবার এই মাদকের অস্তিত্ব নজরে আসে। যার নেশা কার্যত সম্মোহিত করে ফেলে মানুষকে। লাগাতার ঘুম, শ্বাসযন্ত্রের দুর্বলতা চোখে পড়তে শুরু করে। ঝিমুনি ভাব আসে এবং মস্তিষ্কের উপর সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন মাদকাসক্তরা।

বিশেষজ্ঞরা জানান, এই ড্রাগের ফলে মৃত্যুও হয় অত্যন্ত ভয়ংকর। মাদকাসক্তের শরীরে হঠাৎ করেই ক্ষতচিহ্ন তৈরি হয়। ধীরে ধীরে তা গোটা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তা শুকিয়ে কাঠের মত শক্ত হয়ে যায়। এরপর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

বিবিসি সূত্রে জানা যায়, এই মাদক সেবনের ফলে অঙ্গ বিকল হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের সায়রা লিয়ন মনরোগ হাসপাতালে রোগী ভর্তির হার চার হাজার গুণ বেড়ে গেছে।