ছেলের হত্যাকারীর বিচার চেয়ে মায়ের আকুতি

- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে
একমাত্র ছেলে হত্যা মামলার আসামী পুত্রবাধু শাহানা খাতুন ও সহযোগীদের গ্রেফতার করে দ্রæত বিচারের দাবি জানিয়েছেন মা নাজমা বেগম। শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এআকুতি জানান সন্তান হারা এই মা।
হত্যার শিকার মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সোহাগ হোসেন খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী রোড এলাকার মৃত পুলিশ কর্মকর্তা আবুল হোসেন ও নাজমা বেগম দম্পতির ছেলে। সোহাগ ত্যায় অভিযুক্ত তার স্ত্রী শাহানা খাতুন বাগেরহাট শহরের সোনাতলা এলাকার মৃত শিহাব উদ্দিনের মেয়ে। এরআগেও শাহানার একাধিক বিয়ে ছিল বলে দাবি করে নাজমা বেগম বলেন, সোহাগ হোসেন (৩০) মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে নিজ ব্যবসায় যুক্ত হন। কয়েক বছর আগে সোহাগ বাগেরহাটের সোনাতলা এলাকার শাহানা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।এ ক পর্যায়ে সে শাহানাকে বিয়ে করে। স্ত্রীর নামে কোটি টাকার সম্পদ লিখে দেন। বিয়ের পরে শাহানা ও সোহাগ ঢাকার তুরাগ থানার রাজউক উত্তরার ১৮নং সেক্টরের ইছামতি ভবনে বসবাস শুরু করে। সর্বশেষ গত ১ ডিসেম্ব^র ইছামতি ভবনে সোহাগের সাথে মায়ের শেষ দেখা। কিন্তু বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় শহানা সোহাগকে আমার সাথে যোগাযোগ করতে দিতনা। পরে ২ ফেব্রæয়ারী শাহানা ও তার সহযোগীরা সোগাগের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে সোহাগকে হত্যার হুমকি দেয়। ৯ ফেব্রæয়ারী থেকে আমার ছেলের মুঠোফোন বন্ধ পাই। এরপর সোহাগের ওই ভাড়ার বাড়ি ইছামতি ভবনে যে ফ্লাটে সোহাগ ও শাহানা থাকত সেইফ্লাটটি ভেতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়।
এক পর্যায়ে ১২ ফেব্রুয়ারীরাত ৯টার দিকে পুলিশ দরজা ভেঙ্গে ফ্লাটে প্রবেশ করে। সিলিংফ্যানের সাথে সোহাগের হাটু ভাঙ্গা অবস্থায় ঝুলানো এবং অর্ধগলিত লাশ পায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ল্যাপটপ, ২টা মুঠোফোন, মানিব্যাগসহ বেশকিছু আলামত উদ্ধার করে। সোহাগের মরদেহের ময়না তদন্ত শেষে ১৩ ফেব্রæয়ারী খুলনার টুটপাড়া কবর স্থানে সোহাগের দাফন সম্পন্ন হয়। পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তুরাগ থানায় সোহাগের স্ত্রী শাহানা খাতুনকে আসামী করে আমি হত্যা মামলা দায়ের করি। এখনও কোন হত্যাকারিকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
সন্তানের হত্যার সঠিক কারণ ও হত্যাকারীকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি আরও বলেন, সোহাগ-শাহানার সংসারে একটি সন্তান রয়েছে বলে দাবী তার স্ত্রীর। এই সন্তান ও সোহাগের ডিএনএ পরীক্ষা করা প্রয়োজন। যদি ওই সন্তান সোহাগের হয়, তাহলে সন্তান আমাদের কাছে দিতে হবে। বাবার হত্যাকারীর কাছে তার সন্তান থাকতে পারেনা। অতি দ্রুত শাহানা আক্তার ও তার সহযোগিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান নাজমা বেগম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তুরাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.সজিব হোসেন মুঠোফোনে বলেন, এই মামলায় সিডিআর সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে মামলার রহস্য উদঘাটন করতে পারব বলেও জানান তদন্ত কর্মকর্তা।