কোটা সংস্কারের আন্দোলন
ছাত্র-ছাত্রীদের হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিতে রিট দায়ের
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:০০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪ ৯৭ বার পড়া হয়েছে
সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ও সংঘর্ষে নিহত এবং আহতদের বিচার নিশ্চিত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী রিটটি দায়ের করেন। রিটকারীররা হলো- ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার , ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি), ও এডভোকেট খায়রুল বাশার।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিপি ও র্যাবের মহাপরিচালকে।
রিটে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহতদের ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের জন্য যুক্তরাজ্যের আদলে একটি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে আহতদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশ নিশ্চিত করতেও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশ অংশগ্রহণকারীদের যাতে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেয়া না হয় সে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বিবাদীরা কি ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে তা মহামান্য হাইকোর্টকে জানাতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকার কপি ফিরিস্তি করে জমা দেয়া হয়। পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী ২৯ জুলাই পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ও সংঘর্ষে ২৬৬ প্রাণ হারিয়েছেন ও হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। এর বেশিরভাগই বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ মানুষ। বিবাদীদের ব্যর্থতা ও অবহেলার কারণেই এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে।
রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার এবিষয়ে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের তিনজন আইনজীবীর পক্ষে আজ (রোববা) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়েছে। রিটটি দ্রুত শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আনতে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের নজরে আনা হবে।