ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:২৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
চাঁদার দাবিতে ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতিকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল র্যাব-৮ এর সদস্যরা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাব-৮ এর মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর সদর কোম্পানি এবং সিপিসি-৩ মাদারীপুর ক্যাম্পের যৌথ আভিযানে শরীয়তপুরের পালং থানার চিকন্দি বাজার থেকে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি আলামিন তালুকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আলামিন ঘটনার সাথে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
নিহত ছাত্রলীগ কর্মী ও এক শিশু সন্তানের জনক রাসেদ সিকদার (২৩) জেলার গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বড় দুলালী গ্রামের আবুল কালাম সিকদারের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত আলামিন তালুকদার বার্থী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও বড় দুলালী গ্রামের মৃত আজিজুল হক তালুকদারের ছেলে।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন সময় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করায় ছাত্রদল সভাপতি মোবাইল ফোনে ছাত্রলীগ কর্মী রাসেদের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। গত ১৬ আগস্ট দুপুরে ৪১ দিনের তাবলিগ জামাত শেষে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসে ছাত্রলীগ কর্মী রাসেদ সিকদার। ওইদিন সন্ধ্যায় বার্থী বাজারে বসে দাবিকৃত চাঁদার টাকার জন্য ছাত্রদল সভাপতি ও তার লোকজনে রাসেদের ওপর চাঁপ প্রয়োগ করে। এসময় চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে দুই দফা হামলা চালিয়ে রাসেদকে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা মুমূর্ষ অবস্থায় ছাত্রলীগ কর্মী রাসেদকে উদ্ধার করে প্রথমে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে ওইদিন রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে রাসেদ মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় গত ১৭ আগস্ট গৌরনদী মডেল থানায় নিহতের বড় ভাই রাসেল সিকদার বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।