ঢাবির ছয় ছাত্রের স্বীকারোক্তি
চোর সন্দেহে তিন দফায় পেটানো হয় তোফাজ্জলকে, অংশ নেয় ১৫ জন
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২৭ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হোসেনকে (৩২) পিটিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৬ শিক্ষার্থী। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে এই ছয় শিক্ষার্থীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে রাত ৯টার দিকে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
সূত্রমতে, ছয় শিক্ষার্থীর জবানবন্দি অনুযায়ী তোফাজ্জল হোসেন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন ১৫ থেকে ২০ জন। তারা সবার নাম প্রকাশ করেছে। শিক্ষার্থীরা বলেছে, চোর সন্দেহে তিন দফায় তোফাজ্জলকে মারধর করা হয়।
স্বীকারোক্তি দেয়া ৬ শিক্ষার্থী হলো- মো. জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, মো. মোত্তাকিন সাকিন, আল হুসাইন সাজ্জাদ, আহসানউল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম। এরা সবাই ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র।
সূত্র বলছে, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ৬ শিক্ষার্থীর সবাই বলেছে, ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে ছাত্রদের ৬টি মুঠোফোন ও মানিব্যাগ চুরি হয়। তোফাজ্জল সেদিন রাত আটটার দিকে হলের ফটক দিয়ে মাঠের ভেতরে যান। তখন কয়েকজন শিক্ষার্থী চোর সন্দেহে তাকে আটক করে হলের অতিথিকক্ষে নিয়ে যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাকে স্টাম্প দিয়ে মারধর করা হয়। এরপর তাকে হলের ক্যানটিনে নিয়ে রাতের খাবার খাওয়ানো হয়। খাওয়া শেষে আবার তাকে হলের অতিথিকক্ষে এনে ব্যাপক মারধর করে কয়েকজন শিক্ষার্থী।
তিন ধাপে ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী তোফাজ্জলকে মারধরে জড়িত। জবানবন্দিতে ওই ৬ শিক্ষার্থী তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার নাম প্রকাশ করেছে।
আসামিরা বলেন, সেদিন অতিথিকক্ষে মারধরের পর রাত ১২টার দিকে হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষক তোফাজ্জলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তারা জানতে পারে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোফাজ্জল মারা গেছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ফজলুল হক হল থেকে ৬ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।