চিরকুটে লেখা নাম্বারে ফোন দিলেই মিলে চোরাই মিটার!
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:২৫:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
নাটোরের গুরুদাসপুরে আবারও সক্রিয় বৈদুতিক মিটার চুরি চক্রের সদস্যরা। রাতে চুরি যাওয়া মিটারের পাশে পলিথিনে মুড়িয়ে রেখে যাওয়া হয় চিরকুট। তাতে লেখা ছিলো, চুরি যাওয়া মিটার ফেরত পেতে ফোন করুন। এই নাম্বারে ফেন করলে টাকা চাওয়া হয়।
স্থানীয়দের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাতের কোন এক সময় উপজেলা পৌর সদরের গারিষাপাড়া, গোপালের মোড়সহ বেশ কয়েকটি মহল্লায় প্রায় ৩৬টি বৈদুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটে। চোর চক্রের সদস্যরা প্রকাশ্যে মোবাইল নম্বর দিয়ে গেলেও পুলিশ তাদের সন্ধান করতে পারেনি।
গারিষাপাড়া মহল্লার চাতাল ব্যবসায়ী মো. হাবিবুর রহমান জানান, মিটার চুরির ঘটনা এর আগেও ঘটলেও আজ প্রথম তার মিটার চুরি হয়েছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে তিনি চাতালে এসে দেখেন, মিটার নেই। তবে মিটারের নিচে একটি চিরকুট দেখতে পান। চিরকুটের ভেতরে একটি কাগজে লেখা ছিলো, ‘চুরি যাওয়া মিটার ফেরত পেতে ফোন করুন’। নিচে একটি নম্বর দেওয়া ছিলো। নিজের মোবাইল ফোন থেকে নম্বরটিতে কল দিলে বন্ধ দেখায়।
তিনি আরও জানান, প্রতিবেশীরা তাকে বলেন, দুপুরের পরে কল দিতে। কারণ তারা সারারাত চুরি করে এখন ঘুমাচ্ছে। মিটার চুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তিনি জানতে পারেন, শুধু তার একার নয়, আশপাশ এলাকা দিয়ে প্রায় ৩৬টি মিটার চুরি হয়েছে রাতে। এ ঘটনায় পল্লি বিদ্যুৎ অফিসে খবর দিলে তারা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এক চাতাল মালিক রবিউল করিম জানান, এলাকায় মিটার চুরির ঘটনা নতুন নয়। এরকম ঘটনা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।মিটার চুরি করে বিকাশে টাকা নিয়ে মিটার ফেরত দেয়া হয়। তার মিটারটি এর আগেও একবার চুরি হয়েছিলো। মিটারের নিচে রেখে যাওয়া নম্বরে কল দিলে বিকাশ নম্বর দেয়। সেই নম্বরে এর আগে ৪ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন তিনি। তারপর চোরের দেওয়া তথ্যমতে, মিটার সংগ্রহ করেন।
নাটোর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডিজিএম মো. মোমিনুর রহমান বিশ্বাস বলেন, তথ্য অনুযায়ী, গোপালের মোড় থেকে ১৩টি মিটার চুরি হয়েছে। তার বেশিও হতে পারে। বৃষ্টির কারণে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা যায়নি।
এসব বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. উজ্জল হোসেন বলেন, মিটার চুরির ঘটনায় কেউ এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।