ঢাকা ০৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চার জেলায় বন্যার শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:০৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামী ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারী, লালমনিরহাট,রংপুর ও কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল ছাড়াও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদর রহমান জানান, বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, দুধকুমার নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে। তবে পরবর্তী ২ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে। এর প্রেক্ষিতে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে পরবর্তী একদিন পর্যন্ত তা স্থিতিশীল এবং এর পরদিন থেকে তা হ্রাস পেতে পারে।

এ অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। জেলাগুলো সংশ্লিষ্ট চরাঞ্চল ছাড়াও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। অন্যদিকে আগামী ৩ দিন পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলার ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

এদিকে, রংপুর বিভাগের প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে । এর ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগের এসব নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। যা পরবর্তী একদিন পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

অন্যদিকে, রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও এর ভাটিতে যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৫ দিন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। সেই সাথে রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং এর ভাটিতে পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে। পাশাপাশি তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ অবস্থায় আগামী দুইদিন পর্যন্ত গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল ধীরগতিতে হ্রাস পেতে পারে। এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

চার জেলায় বন্যার শঙ্কা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:০৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আগামী ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারী, লালমনিরহাট,রংপুর ও কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল ছাড়াও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদর রহমান জানান, বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, দুধকুমার নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে। তবে পরবর্তী ২ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে। এর প্রেক্ষিতে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে পরবর্তী একদিন পর্যন্ত তা স্থিতিশীল এবং এর পরদিন থেকে তা হ্রাস পেতে পারে।

এ অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। জেলাগুলো সংশ্লিষ্ট চরাঞ্চল ছাড়াও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। অন্যদিকে আগামী ৩ দিন পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলার ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

এদিকে, রংপুর বিভাগের প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে । এর ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগের এসব নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। যা পরবর্তী একদিন পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

অন্যদিকে, রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও এর ভাটিতে যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৫ দিন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। সেই সাথে রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং এর ভাটিতে পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে। পাশাপাশি তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ অবস্থায় আগামী দুইদিন পর্যন্ত গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল ধীরগতিতে হ্রাস পেতে পারে। এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।