ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএনওর কাছে অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষর কক্ষে তালা

আশ্রাফুল আলম, গোদাগাড়ী (রাজশাহী)
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:১৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪ ১৩২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শিক্ষকদের বাধার মুখে অফিস কক্ষে প্রবেশ করতে পারলেন না গোদাগাড়ী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান সরকার। অধ্যক্ষর অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন কলেজের শিক্ষকরা। পরে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানকে দায়িত্ব প্রদান করেন শিক্ষরা।

শিক্ষরা বলেন, অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান সরকার কলেজে নানা অনিয়ম, দুর্নিতী ও কলেজের টাকা আত্মসাত করলে শিক্ষকরা এর প্রতিবাদ করলে অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান সরকার শিক্ষকদের নানা ভাবে হয়রানি ও চাকুরী চুত্যের হুমকি দিয়ে দমিয়ে রাখতো। তিনি আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরির আস্থাভাজন হওয়ায় কলেজের শিক্ষকরা তার বিরুদ্ধে ভয়ে কোন কথা বলতে পারতো না।

রবিবার (১১ আগস্ট) কলেজের শিক্ষকরা অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান সরকারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নিতী ও কলেজের টাকা আত্বসাতের অভিযোগে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্ববাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ গত ৮ আগষ্ট আলমারী থেকে কর্মচারির মাধ্যমে রেজুলেশান বহিসহ প্রয়োজনিয় কাগজ পত্র চুপিসারে সরিয়ে ফেলে। যা শিক্ষকদেও চাকুরির জন্য হুমকি স্বরুপ। তিনি নতুন কমিটিকে উপেক্ষা করে পূর্বের অনুগত সভাপতির স্বাক্ষওে গত ৩১ জুলাই টাকা উত্তোলন করেছেন।

এছাড়াও পুর্বের অনুগত সভাপতির দ্বারা অনিয়ম ও দুর্নিতীর মাধ্যমে বিনা রশিদে ছাত্রীদের কাছ থেকে বিভিন্ন খাতের টাকা উত্তোলন করেন এবং ইচ্ছে মত চেক ভাওচাওে খরচ করেন। এ বিষয়ে সাধারন শিক্ষকরা কথা বলতে গেলে আজ রবিবার সকাল ১১ টার সময় কতিপয় বহিরাগত দুস্কৃতিকারীদের নিয়ে কলেজে প্রবেশ করলে কলেজে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান সরকারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিক্ষকরা জোর পূর্বক আমাকে অসুস্থা দেখিয়ে অমার কাছে স্বাকর নিয়ে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করেছে। আমার অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে রেখেছে। আমাকে অফিসে ঢুকতে দেয়নি। আমার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামান বলেন, অধ্যক্ষ অসুস্থতার জন্য আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দায়িত্ব দিয়েছে। অধ্যক্ষর অফিস কক্ষে তালার লাগানোর বিষয়ে তিনি বলেন অফিসে আলমারীসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র রয়েছে। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তালা লাগানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অধ্যক্ষকে ডাকেন এবং এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আসশ্বাস দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ইউএনওর কাছে অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষর কক্ষে তালা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:১৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

শিক্ষকদের বাধার মুখে অফিস কক্ষে প্রবেশ করতে পারলেন না গোদাগাড়ী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান সরকার। অধ্যক্ষর অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন কলেজের শিক্ষকরা। পরে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানকে দায়িত্ব প্রদান করেন শিক্ষরা।

শিক্ষরা বলেন, অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান সরকার কলেজে নানা অনিয়ম, দুর্নিতী ও কলেজের টাকা আত্মসাত করলে শিক্ষকরা এর প্রতিবাদ করলে অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান সরকার শিক্ষকদের নানা ভাবে হয়রানি ও চাকুরী চুত্যের হুমকি দিয়ে দমিয়ে রাখতো। তিনি আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরির আস্থাভাজন হওয়ায় কলেজের শিক্ষকরা তার বিরুদ্ধে ভয়ে কোন কথা বলতে পারতো না।

রবিবার (১১ আগস্ট) কলেজের শিক্ষকরা অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান সরকারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নিতী ও কলেজের টাকা আত্বসাতের অভিযোগে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্ববাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ গত ৮ আগষ্ট আলমারী থেকে কর্মচারির মাধ্যমে রেজুলেশান বহিসহ প্রয়োজনিয় কাগজ পত্র চুপিসারে সরিয়ে ফেলে। যা শিক্ষকদেও চাকুরির জন্য হুমকি স্বরুপ। তিনি নতুন কমিটিকে উপেক্ষা করে পূর্বের অনুগত সভাপতির স্বাক্ষওে গত ৩১ জুলাই টাকা উত্তোলন করেছেন।

এছাড়াও পুর্বের অনুগত সভাপতির দ্বারা অনিয়ম ও দুর্নিতীর মাধ্যমে বিনা রশিদে ছাত্রীদের কাছ থেকে বিভিন্ন খাতের টাকা উত্তোলন করেন এবং ইচ্ছে মত চেক ভাওচাওে খরচ করেন। এ বিষয়ে সাধারন শিক্ষকরা কথা বলতে গেলে আজ রবিবার সকাল ১১ টার সময় কতিপয় বহিরাগত দুস্কৃতিকারীদের নিয়ে কলেজে প্রবেশ করলে কলেজে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান সরকারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিক্ষকরা জোর পূর্বক আমাকে অসুস্থা দেখিয়ে অমার কাছে স্বাকর নিয়ে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করেছে। আমার অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে রেখেছে। আমাকে অফিসে ঢুকতে দেয়নি। আমার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামান বলেন, অধ্যক্ষ অসুস্থতার জন্য আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দায়িত্ব দিয়েছে। অধ্যক্ষর অফিস কক্ষে তালার লাগানোর বিষয়ে তিনি বলেন অফিসে আলমারীসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র রয়েছে। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তালা লাগানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অধ্যক্ষকে ডাকেন এবং এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আসশ্বাস দেন।