ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গৃহবধূ তুলি হত্যা: দেবরের ফাঁসি, দুই আসামি খালাস

শহিদুল ইসলাম দইচ, যশোর
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:১৯:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোরের বাঘারপাড়ার গৃহবধূ জিনিয়া ইয়াসমনি তুলি হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তার দেবরকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। দন্ডিত মোহাম্মদ শাহবুদ্দিন বিমান বাহিনীর সাবেক কর্পোরাল প্রভোস্ট। তিনি বাঘারপাড়া উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে।

মামলার অপর দুই আসামি তুলির স্বামী জুলফকিার আলী ও শ্বাশুড়ি ফরিদা বেগমকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক সুরাইয়া সাহাব এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল স্বামী জুলফকিার আলীর সাথে মোবাইলে কথা বলছিলেন তুলি। এসময় দেবর শাহাবুদ্দিন তার ঘরে প্রবেশ করলে শ্বাশুড়ি ফরিদা তার ঘরের দরজা আটকে দেয়। এরপর শাহাবুদ্দিন ছুরিকাঘাতে তুলিকে জখম করে চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে শাহাবুদ্দিন ও তার মা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশিরা তুলিকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সিএমএইচে নেয়া হয়। সেখানে পরের দিন তুলি মারা যায়।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা ঝিকরগাছা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের শহিদুল বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রফিকুল ইসলাম হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তুলির দেবর, শ্বাশুড়ি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তুলির স্বামী জুলফিকার আলীর দ্বিতীয় বিয়ের বিষয় কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তুলির দেবর শাহাবুদ্দনকে ফাঁসি ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন বিচারক। একইসাথে মামলার অপর দুই আসামি স্বামী জুলফকিার আলী ও শ্বাশুড়ি ফরিদা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। দণ্ডিত আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো. আসাদুজ্জামান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গৃহবধূ তুলি হত্যা: দেবরের ফাঁসি, দুই আসামি খালাস

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:১৯:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

যশোরের বাঘারপাড়ার গৃহবধূ জিনিয়া ইয়াসমনি তুলি হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তার দেবরকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। দন্ডিত মোহাম্মদ শাহবুদ্দিন বিমান বাহিনীর সাবেক কর্পোরাল প্রভোস্ট। তিনি বাঘারপাড়া উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে।

মামলার অপর দুই আসামি তুলির স্বামী জুলফকিার আলী ও শ্বাশুড়ি ফরিদা বেগমকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক সুরাইয়া সাহাব এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল স্বামী জুলফকিার আলীর সাথে মোবাইলে কথা বলছিলেন তুলি। এসময় দেবর শাহাবুদ্দিন তার ঘরে প্রবেশ করলে শ্বাশুড়ি ফরিদা তার ঘরের দরজা আটকে দেয়। এরপর শাহাবুদ্দিন ছুরিকাঘাতে তুলিকে জখম করে চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে শাহাবুদ্দিন ও তার মা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশিরা তুলিকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সিএমএইচে নেয়া হয়। সেখানে পরের দিন তুলি মারা যায়।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা ঝিকরগাছা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের শহিদুল বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রফিকুল ইসলাম হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তুলির দেবর, শ্বাশুড়ি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তুলির স্বামী জুলফিকার আলীর দ্বিতীয় বিয়ের বিষয় কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তুলির দেবর শাহাবুদ্দনকে ফাঁসি ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন বিচারক। একইসাথে মামলার অপর দুই আসামি স্বামী জুলফকিার আলী ও শ্বাশুড়ি ফরিদা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। দণ্ডিত আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো. আসাদুজ্জামান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।