গাইবান্ধায় আ’ লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ৩০
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:১৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে ৬ জন নিহতের ঘটনায় গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল করছে জেলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০ টা থেকে বিভিন্ন জেলার স্থান থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জেলার বিডি রোডের গার্নাস মার্কেটের সামনে জড়ো হতে থাকে। পরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে থেকে গিয়ে কিছুক্ষন অবস্থান নেয়।
সেখান থেকে শহর প্রদক্ষিণ করে ১নং ট্রাপিক মোড়ে অবস্থান নিয়ে পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে তাঁরা ভূয়া ভূয়া স্লোগান শিক্ষার্থীরা। পুলিশ ও ছাত্রলীগ মাঠে থাকলেও অসংখ্যা শিক্ষার্থীর উপস্থিতির কারণে কোন ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়নি। বিক্ষোভে ব্যানার পোস্টার হাতে শিক্ষার্থীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘স্বাধীন এই বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘১৮ সালের পরিপত্র পূর্ণবহাল করতে হবে, কটার বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আন্দোলনে সারা দেশে ৬ শিক্ষার্থীর হত্যার বিচার করতে হবে। যে সকল পুলিশ গুলি করে আমাদের ভাইদের হত্যা করছে তাদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবিও জানান তাঁরা।
দুপুর ১২ টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মিছিল নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিতে থাকে এক পর্যায়ে শহরে সব ধরনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ছাত্রদল একটি মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে যোগ দেয় এবং জেলা আওয়ামিলীগ অফিসে হামলা চালায় এবং চত্তরে ৪ টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক,সাবেক মেয়র মিলন ও আন্দোলনকারীসহ অনন্য ২০/৩০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
পরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে পাল্টা হামলা চালিয়ে অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রাত ১০ টায় এ নিউজ লেখা পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানা যায়।