খুলেছে শিল্প কারখানা, কর্মব্যস্ত শ্রমিকরা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৫৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪ ৭৪ বার পড়া হয়েছে
চারদিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে নারায়ণগঞ্জের শিল্প কারখানাগুলো। ফের ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকরা। তবে কারখানা বন্ধ থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া দেশব্যাপী কারফিউ, যান চলাচল বন্ধ থাকায় কাঁচা মালের সংকট, শিপমেন্ট আটকে থাকাসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে দুই হাজারেও অধিক শিল্প কারখানা রয়েছে। এর অধিকাংশই সদর উপজেলায় অবস্থিত। এসব শিল্প কারখানার মধ্যে ফতুল্লা শিল্পাঞ্চল বিসিকে প্রায় ৬০০টি এবং সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজি ইপিজেটে অর্ধশত কারখানা রয়েছে। যেখানে প্রায় ১১ লাখ শ্রমিক কাজ করেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে গত বৃহস্পতিবার পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। যা পরবর্তীতে সহিংসতার রূপ ধারণ করে। ফলে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে সদর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়াসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে বন্ধ করে দেয়া হয় সকল শিল্প কারখানা। প্রায় ৪ থেকে ৬ দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার পুনরায় খুলে দেয়া হয় শিল্প কারখানাগুলো।
জানা যায়, গত চারদিন কারখানা বন্ধ থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। দেশব্যাপী কারফিউ ও যান চলাচল বন্ধ থাকায় উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচা মালের সংকট তৈরী হয়েছে। অন্যদিকে সাধারণ ছুটি থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে আটাকে রয়েছে শিপমেন্ট। তবে কারখানা খোলার পর শ্রমিকদের উপস্থিতি ভালো ছিল। প্রায় ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ।
নারায়ণগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে। যেখানে অবস্থিত আদমজী ইপিজেট। ইপিজেট এলাকায় অর্ধশত শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় ৭০ হাজারেও বেশি শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।
উৎপাদন ব্যহত হওয়ায় গত ছয়দিনে ফতুল্লা বিসিকে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের লোকসান হয়েছে। এমন তথ্য বিবেএমইএ সভাপতি ব্যবসায়ী মো. হাতেম। তিনি বলেন, ফতুল্লা শিল্পাঞ্চল বিসিকে প্রায় ৬০০ নীট, ডাইং সহ নানা ধরণে শিল্প কারখানা রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ৬০ হাজার ডলারের উৎপাদন হয়। ছয়দিন কাজ বন্ধ থাকায় ৯ মিলিয়ন ৬০ হাজার ডলার অথাৎ প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।