ঢাকা ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা ইস্যুতে আনোদলনে রাবি শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৩৬:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করার রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ের পর সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক ও বিক্ষোভ নতুন করে ডালপালা মেলেছে।

রোববার (৩০ জুন) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এদিন সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে করেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন ধরনের প্লাকর্ড দেখা যায়। সেখানে লেখা, ‘মেধাবীদের কান্না আর না আর না’, ‘কোটা প্রথায় নিয়োগ পেলে দুর্নীতি বাড়ে প্রশাসনে’, ‘সাম্য মানবিক মর্যাদা সামাজিক ন্যায়বিচার’, ‘দেশটা নয় পাকিস্থান কোটার হোক অবসান’, ‘কোটা বৈষম্য নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মেধাবীদের যাচাই কর কোটা পদ্ধতি বাতিল কর’, ‘১৮ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্রসমাজ জেগেছে’ সহ নানা ধরনের প্লাকার্ড।

এ সময় রাকসু আন্দোলনের মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান বলেন, আমাদের আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে। আজকে আমাদের ২টি দাবি। প্রথমটি হলো, আমরা চাই কোটা থাকুক তবে ১০ শতাংশ এর বেশি না। আর দ্বিতীয় দাবি হলো, যে কোটা ব্যবহার করবে সে সারা জীবনে একবারই কোটা ব্যবহার করবে। এর বেশি ব্যবহার করতে পারবে না।

স্টুডেন্ট রাইটস এসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজিব বলেন, কোটা পদ্ধতি নিঃসন্দেহে একটি বৈষম্য মূলক পদ্ধতি। আমরা জানি ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী সংসদে ঘোষণা করেন এবং তার পেক্ষিতে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। সেই পরিপত্রটি ২০২৪ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেন। যেখানে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা বহাল থাকে। আমরা চাই কোটা থাকুক তবে ১০ শতাংশ এর বেশি নয়। ১ শতাংশ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৩০ শতাংশ কোটা এটি নিঃসন্দেহে একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা। আর আমরা আরও চাই একজন শিক্ষার্থীর সারা জীবনে একবার কোটা ব্যবহার করবে। হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সময়, চাকরি সময় অথবা যেকোনো একবারই।

রফিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, হাইকোর্ট থেকে তারা একটি যুক্তিহীন এবং অবাস্তব রায় দিয়েছেন। আমরা যদি উন্নত দেশে কোটা ব্যবস্থা দিকে তাকাই আমরা দেখি আমেরিকায় মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পরেও তাদের কোন কোটা ছিল না। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু কোটা তারা রেখেছে। আমরা তেমন ভাবে কানাডাতেও দেখি কোন কোটা নেই। আর বাংলাদেশের ৫৬ শতাংশ আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক।

এছাড়াও উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচীতে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী একাত্মতা পোষণ করে এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।#

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কোটা ইস্যুতে আনোদলনে রাবি শিক্ষার্থীরা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৩৬:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করার রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ের পর সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক ও বিক্ষোভ নতুন করে ডালপালা মেলেছে।

রোববার (৩০ জুন) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এদিন সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে করেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন ধরনের প্লাকর্ড দেখা যায়। সেখানে লেখা, ‘মেধাবীদের কান্না আর না আর না’, ‘কোটা প্রথায় নিয়োগ পেলে দুর্নীতি বাড়ে প্রশাসনে’, ‘সাম্য মানবিক মর্যাদা সামাজিক ন্যায়বিচার’, ‘দেশটা নয় পাকিস্থান কোটার হোক অবসান’, ‘কোটা বৈষম্য নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মেধাবীদের যাচাই কর কোটা পদ্ধতি বাতিল কর’, ‘১৮ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্রসমাজ জেগেছে’ সহ নানা ধরনের প্লাকার্ড।

এ সময় রাকসু আন্দোলনের মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান বলেন, আমাদের আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে। আজকে আমাদের ২টি দাবি। প্রথমটি হলো, আমরা চাই কোটা থাকুক তবে ১০ শতাংশ এর বেশি না। আর দ্বিতীয় দাবি হলো, যে কোটা ব্যবহার করবে সে সারা জীবনে একবারই কোটা ব্যবহার করবে। এর বেশি ব্যবহার করতে পারবে না।

স্টুডেন্ট রাইটস এসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজিব বলেন, কোটা পদ্ধতি নিঃসন্দেহে একটি বৈষম্য মূলক পদ্ধতি। আমরা জানি ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী সংসদে ঘোষণা করেন এবং তার পেক্ষিতে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। সেই পরিপত্রটি ২০২৪ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেন। যেখানে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা বহাল থাকে। আমরা চাই কোটা থাকুক তবে ১০ শতাংশ এর বেশি নয়। ১ শতাংশ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৩০ শতাংশ কোটা এটি নিঃসন্দেহে একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা। আর আমরা আরও চাই একজন শিক্ষার্থীর সারা জীবনে একবার কোটা ব্যবহার করবে। হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সময়, চাকরি সময় অথবা যেকোনো একবারই।

রফিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, হাইকোর্ট থেকে তারা একটি যুক্তিহীন এবং অবাস্তব রায় দিয়েছেন। আমরা যদি উন্নত দেশে কোটা ব্যবস্থা দিকে তাকাই আমরা দেখি আমেরিকায় মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পরেও তাদের কোন কোটা ছিল না। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু কোটা তারা রেখেছে। আমরা তেমন ভাবে কানাডাতেও দেখি কোন কোটা নেই। আর বাংলাদেশের ৫৬ শতাংশ আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক।

এছাড়াও উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচীতে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী একাত্মতা পোষণ করে এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।#