কাপ্তাই বাঁধের পানি ৭ ঘন্টা ছাড়ার পর বন্ধ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:১৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
রাঙামাটির কর্নফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাপ্তাই বাঁধের পানি ৭ ঘন্টা ছাড়ার পর রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হ্রদে পানির উচ্চতা বিপদ সীমার কাছাকাছিতে যাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রনের জন্য রোববার সকাল ৮টা থেকে বাঁধের ১৬টি গেইট খুলে দিয়ে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর আগে শনিবার (২৪ আগস্ট) কর্নফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এক জরুরী বার্তায় জানানো হয়, কাপ্তাই হ্রদের পানি উচ্চতা ১০৭.৬৭ ফুট এমএসএল এ বিপদ সীমার কাছাকাছিতে যাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রনের জন্য শনিবার রাত ১০টা থেকে বাঁধের ১৬টি জলকপাট(স্পিলওয়ে) খুলে দেওয়া হবে। এতে বাঁধের সব কটি জলকপাট থেকে ছয় ইঞ্চি পরিমাণের পানি ছেড়ে দেওয়া হবে ও নয় হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হবে। তবে হ্রদের পানির প্রবাহ বা লেভেল ও বৃষ্টিপাতের নিবীড় পর্যবেক্ষন ছাড়াও প্রবাহ বা লেভেল অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলে জলকপাটের সবকটি গেইট খোলার পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়।
এদিকে, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার রাত ১০টায় পানি ছেড়ে দেওয়া হয়নি। তবে রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে থেকে বাঁধের সব কটি জলকপাট ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে সাড়ে পানি ছাড়ার পর বাঁধে পানির চাপ না থাকায় দুপুর ২টার দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রোববার সকাল পর্ষন্ত পানির উচ্চতা ছিল ১০৮.৮৬ মেইন সি লেভেল। এ বাধের ১০৯ মেইন সি লেভেল পানি ধারন ক্ষমতা রয়েছে। ৫টি ইউনিট থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
কর্নফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বাঁধ নিয়ে যারা বিভিন্ন প্রকার গুজব ছড়াচ্ছেন তা ঠিক না উল্লেখ করে বলেন, বাধ থেকে এক ফুট বা দেড় ফুট পানি ছাড়লে কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে বাধ থেকে বেশী পানি ছাড়ার দরকার হয় সেক্ষেত্রে তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট পানি ছাড়া হলে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। পানি ছেড়ে দেওয়ার পর বাঁধের পানি স্বাভাবিক পর্যায়ে আসলে বন্ধ করা হবে। তবে বাধের পানির চাপ বৃদ্ধি পেলে তখন আবার গেইট খুলে দেওয়া হবে।