ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুত সংকট

উৎপাদন ঠিক রাখতে প্রতিদিন আড়াই লাখ টাকার ডিজেল কিনতে হচ্ছে

গাজীপুর প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:১৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রায় ৮ হাজার শিল্প-কারখানা সমৃদ্ধ গাজীপুর বিদ্যুত সংকটে ভয়াবহ হুমকির মুখোমুখি। বিদ্যুত উৎপাদন থেকে শুরু করে সঞ্চালন, লোড ব্যবস্থাপনা, আর্থিক ব্যবস্থাপনাসহ সংশ্লিষ্ট সবগুলো সরকারী দপ্তরের নাম প্রকাশে ইচ্ছুক, অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। অচিরেই বিদ্যুত উৎপাদনে নাটকীয় কোনো উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা যে নেই-সেটিও তাদের বক্তব্যে স্পষ্টভাবেই ফুটে উঠেছে।

চলমান লোডশেডিং নিয়ে গাজীপুর কোনাবাড়ী এলাকার এম এম নিটিং কারখানার এ জি এম (এডমিন) মনোয়ার হেসেন বলেন, কারখানায় উৎপাদন ঠিক রাখতে প্রতিদিন আড়াই লাখ টাকার ডিজেল কিনতে হচ্ছে। প্রতি মাসে ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টাকার ডিজেল কিনতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ স্বাভাবিক থাকলে কারখানার বিদ্যুৎ বিল আসতো ৪০/৪৫ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকলেও বিল কিন্তু কম আসছে না। বরং বেশি আসছে। তার উপর মাসে ৭৫ লাখ টাকার ডিজেল কিনে কারখানা সচল রাখতে হচ্ছে।

প্রতিনিয়ত লোডশেডিং চলতে থাকলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। গাজীপুরে লোডশেডিং কমানো না গেলে দেশের রপ্তানিমুখী এসব কারখানা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পরবে বলেও দাবী কারখানা কর্তৃপক্ষের।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা আনিছুর রহমান সিয়াম জানান, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাস করার পরও দিনে এবং রাতে কতোবার যে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে তার হিসাব নেই। এরপরও বিদ্যুৎ বিল গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ। এরপর প্রিপেইড মিটারের বিড়ম্বনা তো আছেই। ডিমান্ড চার্জ, সার্ভিস চার্জ, মিটার চার্জ, মিটার ভাড়া, ভ্যাট আরো কতো কি। আমার বাসায় প্রতিমাসে পনেরশো টাকার কার্ড রিচার্জ করলে এক মাস বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারতাম। কিন্তু গত মাসে ৩০০০ টাকার বেশি কার্ড রিচার্জ করতে হয়েছে। তারপরেও ঠিকমতো বিদ্যুৎ পাচ্ছি না।

বিদ্যুতের লোডশেডিং ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজার কর্মকর্তা এবিএম বদরুদ্দোজা খান বলেন, উৎপাদনে ঘাটতি থাকলে লোডশেডিং তো আমাদের দিতেই হবে। মনে করেন সারাদেশের জন্য বর্তমানে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। আরও দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেলে পরিস্থিতিটাকে কিছুটা স্বাভাবিক বলা যেতো। লোডশেডিং তো আমরা ইচ্ছা করে দেই না। দিতে বাধ্য হই।

এ বিষয়ে গাজীপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. আবুল বাসার আজাদ এর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে ১৫০টি পাওয়ার প্ল্যান্টের মধ্যে ৪৩টিই ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি, ফুয়েল সংকটসহ নানা কারণে বন্ধ হয়ে আছে। যেগুলো চালু আছে সেগুলোও তাদের সক্ষমতার পুরো মাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না। ফলে লোডশেডিংটা হয়ে উঠেছে অবধারিত। গাজীপুরে প্রতিদিন অন্তত ৪৬৫ থেকে ৫০০ মেগাওয়াটের মতো চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যায় ২৯০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

জানা গেছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর কাছে ২০০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে ফুয়েল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) এর।

প্রতিষ্ঠানটির প্ল্যান্ট ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার বলেন, আমরা লোডশেডিংয়ের সাথে কোনভাবেই যুক্ত নই। আমরা পাওয়ার জেনারেশন করি। আমাদের কাজ হলো বিদ্যুৎ গ্রিডে পৌঁছে দেওয়া। লোড নিয়ন্ত্রণ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্টটি ফুয়েল নির্ভর। তেল কিনে আমাদের চালাতে হয়। যাদের পাওয়ার প্ল্যান্ট গ্যাসে চলে তাদের মাসিক হিসাব করে কতো টাকার গ্যাস খরচ হয়েছে সে অনুযায়ী মাস শেষে বিল দিয়ে দেয়। আমরা যেহেতু ফুয়েল নির্ভর তাই উৎপাদন ঠিক রাখতে গেলে ফুয়েল রিজার্ভ রাখতে হয়। এখানে ফুয়েল নাই। পিডিবি আমাদেরকে বিল দিতে দেরি করছে। প্রতি মাসে আমাদেরকে ১৫০ কোটি টাকার ফুয়েল কিনতে হয়। আমার এখানে যদি ফুয়েল রিজার্ভ না থাকে আমি কিভাবে চালাবো? ফুয়েল ভিয়েতনাম বা রাশিয়া থেকে আমদানি করতে হয় আগে ইন্ডিয়া থেকেও আনা হতো। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এর সঙ্গে আমদের ফুয়েল কন্ট্রাক্ট রয়েছে। তাদের কাছেও ফুয়েল নাই। তাছাড়া তিন মাস আগেই আমরা পিডিবি’র কাছে ২০০০ কোটি টাকা পাওনা আছি। গত তিন মাসে বকেয়ার পরিমাণটা আরও বেড়েছে। আমি এক মাসে ১৫০ কোটি টাকা খরচ করে ফুয়েল কিনলাম। পরের মাসে পিডিবি যদি বিলটা না দেয়, আমি ফুয়েলটা কোথায় পাবো? নিয়মানুযায়ী পিডিবি থেকে আমাকে বলা হয় ১৫ দিনের রিজার্ভ রাখতে। কিন্তু পিডিবি যদি সময়মতো টাকা না দেয় তাহলে আমরা রিজার্ভ রাখার মতো ফুয়েলটা পাবো কোথায়? তারা ১৫ দিনের ফুয়েল রিজার্ভ রাখার কথা বলে, কিন্তু আমাদের কাছে হয়তো এক সপ্তাহের রিজার্ভ থাকে। কখনো কখনো হয়তো রিজার্ভের পরিমাণটা ৫ দিনেও নেমে আসে।

অসহনীয় বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গাজীপুর পল্লী বিদ্যুতের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, রাত ১১টায় কড্ডায় অবস্থিত ৫২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্ল্যান্টটি বন্ধ করে রাখা হয় এবং কড্ডারই ১০৫ মেগাওয়াট ক্যাপাসিটির দ্বিতীয় পাওয়ার প্ল্যান্টটি পুরো উৎপাদনে না থেকে মাত্র ১৭ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ করে। এ কারণেই গাজীপুরে রাতের বেলা লোডশেডিং পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

গাজীপুরে শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুত সংকট

উৎপাদন ঠিক রাখতে প্রতিদিন আড়াই লাখ টাকার ডিজেল কিনতে হচ্ছে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:১৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রায় ৮ হাজার শিল্প-কারখানা সমৃদ্ধ গাজীপুর বিদ্যুত সংকটে ভয়াবহ হুমকির মুখোমুখি। বিদ্যুত উৎপাদন থেকে শুরু করে সঞ্চালন, লোড ব্যবস্থাপনা, আর্থিক ব্যবস্থাপনাসহ সংশ্লিষ্ট সবগুলো সরকারী দপ্তরের নাম প্রকাশে ইচ্ছুক, অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। অচিরেই বিদ্যুত উৎপাদনে নাটকীয় কোনো উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা যে নেই-সেটিও তাদের বক্তব্যে স্পষ্টভাবেই ফুটে উঠেছে।

চলমান লোডশেডিং নিয়ে গাজীপুর কোনাবাড়ী এলাকার এম এম নিটিং কারখানার এ জি এম (এডমিন) মনোয়ার হেসেন বলেন, কারখানায় উৎপাদন ঠিক রাখতে প্রতিদিন আড়াই লাখ টাকার ডিজেল কিনতে হচ্ছে। প্রতি মাসে ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টাকার ডিজেল কিনতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ স্বাভাবিক থাকলে কারখানার বিদ্যুৎ বিল আসতো ৪০/৪৫ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকলেও বিল কিন্তু কম আসছে না। বরং বেশি আসছে। তার উপর মাসে ৭৫ লাখ টাকার ডিজেল কিনে কারখানা সচল রাখতে হচ্ছে।

প্রতিনিয়ত লোডশেডিং চলতে থাকলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। গাজীপুরে লোডশেডিং কমানো না গেলে দেশের রপ্তানিমুখী এসব কারখানা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পরবে বলেও দাবী কারখানা কর্তৃপক্ষের।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা আনিছুর রহমান সিয়াম জানান, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাস করার পরও দিনে এবং রাতে কতোবার যে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে তার হিসাব নেই। এরপরও বিদ্যুৎ বিল গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ। এরপর প্রিপেইড মিটারের বিড়ম্বনা তো আছেই। ডিমান্ড চার্জ, সার্ভিস চার্জ, মিটার চার্জ, মিটার ভাড়া, ভ্যাট আরো কতো কি। আমার বাসায় প্রতিমাসে পনেরশো টাকার কার্ড রিচার্জ করলে এক মাস বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারতাম। কিন্তু গত মাসে ৩০০০ টাকার বেশি কার্ড রিচার্জ করতে হয়েছে। তারপরেও ঠিকমতো বিদ্যুৎ পাচ্ছি না।

বিদ্যুতের লোডশেডিং ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজার কর্মকর্তা এবিএম বদরুদ্দোজা খান বলেন, উৎপাদনে ঘাটতি থাকলে লোডশেডিং তো আমাদের দিতেই হবে। মনে করেন সারাদেশের জন্য বর্তমানে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। আরও দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেলে পরিস্থিতিটাকে কিছুটা স্বাভাবিক বলা যেতো। লোডশেডিং তো আমরা ইচ্ছা করে দেই না। দিতে বাধ্য হই।

এ বিষয়ে গাজীপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. আবুল বাসার আজাদ এর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে ১৫০টি পাওয়ার প্ল্যান্টের মধ্যে ৪৩টিই ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি, ফুয়েল সংকটসহ নানা কারণে বন্ধ হয়ে আছে। যেগুলো চালু আছে সেগুলোও তাদের সক্ষমতার পুরো মাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না। ফলে লোডশেডিংটা হয়ে উঠেছে অবধারিত। গাজীপুরে প্রতিদিন অন্তত ৪৬৫ থেকে ৫০০ মেগাওয়াটের মতো চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যায় ২৯০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

জানা গেছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর কাছে ২০০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে ফুয়েল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) এর।

প্রতিষ্ঠানটির প্ল্যান্ট ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার বলেন, আমরা লোডশেডিংয়ের সাথে কোনভাবেই যুক্ত নই। আমরা পাওয়ার জেনারেশন করি। আমাদের কাজ হলো বিদ্যুৎ গ্রিডে পৌঁছে দেওয়া। লোড নিয়ন্ত্রণ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্টটি ফুয়েল নির্ভর। তেল কিনে আমাদের চালাতে হয়। যাদের পাওয়ার প্ল্যান্ট গ্যাসে চলে তাদের মাসিক হিসাব করে কতো টাকার গ্যাস খরচ হয়েছে সে অনুযায়ী মাস শেষে বিল দিয়ে দেয়। আমরা যেহেতু ফুয়েল নির্ভর তাই উৎপাদন ঠিক রাখতে গেলে ফুয়েল রিজার্ভ রাখতে হয়। এখানে ফুয়েল নাই। পিডিবি আমাদেরকে বিল দিতে দেরি করছে। প্রতি মাসে আমাদেরকে ১৫০ কোটি টাকার ফুয়েল কিনতে হয়। আমার এখানে যদি ফুয়েল রিজার্ভ না থাকে আমি কিভাবে চালাবো? ফুয়েল ভিয়েতনাম বা রাশিয়া থেকে আমদানি করতে হয় আগে ইন্ডিয়া থেকেও আনা হতো। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এর সঙ্গে আমদের ফুয়েল কন্ট্রাক্ট রয়েছে। তাদের কাছেও ফুয়েল নাই। তাছাড়া তিন মাস আগেই আমরা পিডিবি’র কাছে ২০০০ কোটি টাকা পাওনা আছি। গত তিন মাসে বকেয়ার পরিমাণটা আরও বেড়েছে। আমি এক মাসে ১৫০ কোটি টাকা খরচ করে ফুয়েল কিনলাম। পরের মাসে পিডিবি যদি বিলটা না দেয়, আমি ফুয়েলটা কোথায় পাবো? নিয়মানুযায়ী পিডিবি থেকে আমাকে বলা হয় ১৫ দিনের রিজার্ভ রাখতে। কিন্তু পিডিবি যদি সময়মতো টাকা না দেয় তাহলে আমরা রিজার্ভ রাখার মতো ফুয়েলটা পাবো কোথায়? তারা ১৫ দিনের ফুয়েল রিজার্ভ রাখার কথা বলে, কিন্তু আমাদের কাছে হয়তো এক সপ্তাহের রিজার্ভ থাকে। কখনো কখনো হয়তো রিজার্ভের পরিমাণটা ৫ দিনেও নেমে আসে।

অসহনীয় বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গাজীপুর পল্লী বিদ্যুতের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, রাত ১১টায় কড্ডায় অবস্থিত ৫২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্ল্যান্টটি বন্ধ করে রাখা হয় এবং কড্ডারই ১০৫ মেগাওয়াট ক্যাপাসিটির দ্বিতীয় পাওয়ার প্ল্যান্টটি পুরো উৎপাদনে না থেকে মাত্র ১৭ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ করে। এ কারণেই গাজীপুরে রাতের বেলা লোডশেডিং পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।