ঢাকা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উন্নয়ন বঞ্চিত নারী শিক্ষার বিদ্যাপীঠ ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজ

আজিজুল হক সরকার, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:২৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে

602-0-0#

বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে পড়ে নারী শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে একমাত্র ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজটি ৩০ বছরেও পায়নি শ্রেণিকক্ষের জন্য সরকারি ভবন। শহরের প্রাণকেন্দ্রে কলেজটির শিক্ষার্থী সংখ্যা এবং ফলাফল সন্তোষজনক হলেও অবকাঠামোগত দিকে সরকারি সহযোগিতা দৃশ্যমান হয়নি কোনো সরকারের আমলেই। অথচ উপজেলার বাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পিছিয়ে নেই ভবন পাওয়ার এমন সুসংবাদ থেকে।

শিক্ষানুরাগীরা বলছেন, নারীদের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী, আধুনিক ও মানসম্মত করতে শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তনের সাথে সাথে অত্যাধুনিক ভবন এবং সুপ্রশস্ত ক্যাম্পাসের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

602-0-0#

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে থানার সামনে কলেজটি ১৯৯৫ সালে স্থাপিত হয়ে এমপিও ভুক্ত হয় ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এর শিক্ষক সংখ্যা ৩৫ জন এবং অফিস স্টাফ ১৭ মিলে মোট ৫২ জন। কলেজের শিক্ষার্থী সংখ্যা এবং ফলাফল সন্তোষজনক হওয়ায় রাজনৈতিকভাবে ঈর্ষান্বিত হতে থাকে কলেজটি। উপজেলার এবং পৌরসভার ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজটি সুনামের সাথে পাঠদান করে আসলেও সরকারি বিল্ডিং কিংবা আর্থিক অনুদান থেকে অদ্যাবধি বঞ্চিত হতেই থাকে ।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ৬৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাথমিক বাদে) ফুলবাড়ীতে রয়েছে। এরমধ্যে সরকারি কলেজ একটি, মহিলা কলেজসহ বেসরকারি কলেজ ৪টি,স্কুল এন্ড কলেজ ৩টি,মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩০টি।

এরমধ্যে সরকারি একটি, নিম্ন মাধ্যমিক ৬টি,স্বতন্ত্র এবতেদায়ি ৮টি,মাদ্রাসার মধ্যে দাখিল ৯টি, আলিম ১টি, ফাজিল ৪টি, ভোকেশনাল কলেজ ৩টি। এসবের প্রায় সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই সরকারিভবে ভবন এরমধ্যে পেয়ে গেছে বলেও জানা যায়।

কলেজের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ছাত্রী সংখ্যা ৬১২ জন। কয়েক বছর ধরে ফুলবাড়ীর অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ে এই কলেজটি ফলাফলের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে । ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পরীক্ষায় পাশের শতকরা হার মানবিক ৮১.৪৮ ভাগ, বিজ্ঞান বিভাগে ৫৯.০২ ভাগ এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৬২.৫০ ভাগ । ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পরীক্ষায় পাশের শতকরা হার মানবিক ৭০.৪২ ভাগ, বিজ্ঞান বিভাগে ৪৬.৮৮ ভাগ এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৬২.৫০ ভাগ। ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পরীক্ষায় পাশের শতকরা হার মানবিক ৯৮.৮১ ভাগ, বিজ্ঞান বিভাগে ৯০.২০ ভাগ,ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৮০.০০ ভাগ।

এদিকে গত তিন বছরে স্নাতক পর্যায়ের ফলাফলে ২০২০ সালে শতকরা হিসেবে বিএ ৫০ ভাগ, বিএসএস ৬০ ভাগ, বিবিএস ১০০ ভাগ। ২০১৯ সালে শতকরা হিসেবে বিএ ১০০ ভাগ, বিএসএস ৭২.৭৩ ভাগ, বিবিএস ১০০ ভাগ। ২০১৮ সালে বিএ ৮৫.৭১ ভাগ,বিএসএস ৫৮.৩৩ ভাগ,বিবিএস ১০০ ভাগ।

602-0-0#

কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ওয়াহেদন্নবী নয়ন, কায়সার পারভেজ নান্নু, আ. ছালাম, এস এম আব্দুল্লাহ, মোস্তাক আহম্মদ বলেন, স্থানীয় রাজনীতির কারণে বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়েছে কলেজটির সাথে। তাইতো বারবার সুবিধা বঞ্চিত হয়েছে। আমরা সরকারি ভবন কিংবা কোনো প্রকার অনুদান দীর্ঘদিন পাইনি। কলেজের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কলেজ তহবিল থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা কলেজের উন্নয়নের স্বার্থে কোনো প্রকার টিউশনফি স্টাফরা নেননি। স্টাফদের প্রাপ্য অর্থ স্বেচ্ছায় দিয়ে কলেজের ক্লাসরুমসহ অন্যান্য কাজ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। অথচ উপজেলার যেন তেনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কত আগে থেকেই বহুতলভবন- বিভিন্ন ধরনের অনুদান পেয়ে আসছে।

দিনাজপুর জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা ও স্থানীয় বিএনপি’র সভাপতি, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. খুরশিদ আলম মতি ‘সমকাল’কে বলেন,আমি উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ছিলাম বলেই বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে অত্র উপজেলার একমাত্র ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজটি যে কেনো সরকারের আমলেই চরমভাবে অবহেলিত এবং উপেক্ষিত হয়ে আসছে। ৩০ বছরেও সরকারি ভবন, আর্থিক অনুদানসহ যেকোনো ধরনের সহযোগিতা থেকে কলেজটিকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আশানুরুপ অবকাঠামোর অপ্রতুলতার কারণে অনার্স কোর্স এবং কারিগরি শিক্ষা শাখাও খোলা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় সংসদ সদস্যকে কয়েকবার কলেজে অতিথি করে আনা হয়েছে,তাতেও কোনো সহযোগিতা পাইনি।

অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন দাস এবং শিক্ষক নেতা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নাজিম উদ্দীন মÐল বলেন, ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজটি নারী শিক্ষা বিস্তারের জন্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় সরকারের ফ্যাসিলিটিস বিল্ডিং পাওয়ার দাবি রাখে। বর্তমান এবং ভবিষ্যতে ছাত্রী সংখ্যা বিবেচনায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন শিক্ষার পরিবেশকে উন্নত করবে। একটি সুপরিকল্পিত ভবন শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক উৎকর্ষ সাধনে সহায়তা করবে।তবে এতদিনেও বিল্ডিং না পাওয়াটা দুঃখজনক!

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর আলম বলেন,আমার কিছু বলার নেই; সরকার যা করবে তা-ই।

দিনাজপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) চন্দন গুপ্তা বলেন, স্থানীয় এমপি মহোদয় যেভাবে তালিকা দেন, আমরা সে মোতাবেক কাজ করে থাকি।এককভাবে আমাদের কোনোই কর্তৃত্ব নেই।

আওয়ামী লীগের লাগাতার ৮ বারের স্থানীয় এমপি এবং সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেন, আমি গত জুলাইয়ের বাজেটে বিল্ডিং দেয়ার ইচ্ছে করেছিলাম,তা সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

উন্নয়ন বঞ্চিত নারী শিক্ষার বিদ্যাপীঠ ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:২৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে পড়ে নারী শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে একমাত্র ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজটি ৩০ বছরেও পায়নি শ্রেণিকক্ষের জন্য সরকারি ভবন। শহরের প্রাণকেন্দ্রে কলেজটির শিক্ষার্থী সংখ্যা এবং ফলাফল সন্তোষজনক হলেও অবকাঠামোগত দিকে সরকারি সহযোগিতা দৃশ্যমান হয়নি কোনো সরকারের আমলেই। অথচ উপজেলার বাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পিছিয়ে নেই ভবন পাওয়ার এমন সুসংবাদ থেকে।

শিক্ষানুরাগীরা বলছেন, নারীদের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী, আধুনিক ও মানসম্মত করতে শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তনের সাথে সাথে অত্যাধুনিক ভবন এবং সুপ্রশস্ত ক্যাম্পাসের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

602-0-0#

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে থানার সামনে কলেজটি ১৯৯৫ সালে স্থাপিত হয়ে এমপিও ভুক্ত হয় ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এর শিক্ষক সংখ্যা ৩৫ জন এবং অফিস স্টাফ ১৭ মিলে মোট ৫২ জন। কলেজের শিক্ষার্থী সংখ্যা এবং ফলাফল সন্তোষজনক হওয়ায় রাজনৈতিকভাবে ঈর্ষান্বিত হতে থাকে কলেজটি। উপজেলার এবং পৌরসভার ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজটি সুনামের সাথে পাঠদান করে আসলেও সরকারি বিল্ডিং কিংবা আর্থিক অনুদান থেকে অদ্যাবধি বঞ্চিত হতেই থাকে ।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ৬৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাথমিক বাদে) ফুলবাড়ীতে রয়েছে। এরমধ্যে সরকারি কলেজ একটি, মহিলা কলেজসহ বেসরকারি কলেজ ৪টি,স্কুল এন্ড কলেজ ৩টি,মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩০টি।

এরমধ্যে সরকারি একটি, নিম্ন মাধ্যমিক ৬টি,স্বতন্ত্র এবতেদায়ি ৮টি,মাদ্রাসার মধ্যে দাখিল ৯টি, আলিম ১টি, ফাজিল ৪টি, ভোকেশনাল কলেজ ৩টি। এসবের প্রায় সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই সরকারিভবে ভবন এরমধ্যে পেয়ে গেছে বলেও জানা যায়।

কলেজের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ছাত্রী সংখ্যা ৬১২ জন। কয়েক বছর ধরে ফুলবাড়ীর অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ে এই কলেজটি ফলাফলের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে । ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পরীক্ষায় পাশের শতকরা হার মানবিক ৮১.৪৮ ভাগ, বিজ্ঞান বিভাগে ৫৯.০২ ভাগ এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৬২.৫০ ভাগ । ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পরীক্ষায় পাশের শতকরা হার মানবিক ৭০.৪২ ভাগ, বিজ্ঞান বিভাগে ৪৬.৮৮ ভাগ এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৬২.৫০ ভাগ। ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পরীক্ষায় পাশের শতকরা হার মানবিক ৯৮.৮১ ভাগ, বিজ্ঞান বিভাগে ৯০.২০ ভাগ,ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৮০.০০ ভাগ।

এদিকে গত তিন বছরে স্নাতক পর্যায়ের ফলাফলে ২০২০ সালে শতকরা হিসেবে বিএ ৫০ ভাগ, বিএসএস ৬০ ভাগ, বিবিএস ১০০ ভাগ। ২০১৯ সালে শতকরা হিসেবে বিএ ১০০ ভাগ, বিএসএস ৭২.৭৩ ভাগ, বিবিএস ১০০ ভাগ। ২০১৮ সালে বিএ ৮৫.৭১ ভাগ,বিএসএস ৫৮.৩৩ ভাগ,বিবিএস ১০০ ভাগ।

602-0-0#

কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ওয়াহেদন্নবী নয়ন, কায়সার পারভেজ নান্নু, আ. ছালাম, এস এম আব্দুল্লাহ, মোস্তাক আহম্মদ বলেন, স্থানীয় রাজনীতির কারণে বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়েছে কলেজটির সাথে। তাইতো বারবার সুবিধা বঞ্চিত হয়েছে। আমরা সরকারি ভবন কিংবা কোনো প্রকার অনুদান দীর্ঘদিন পাইনি। কলেজের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কলেজ তহবিল থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা কলেজের উন্নয়নের স্বার্থে কোনো প্রকার টিউশনফি স্টাফরা নেননি। স্টাফদের প্রাপ্য অর্থ স্বেচ্ছায় দিয়ে কলেজের ক্লাসরুমসহ অন্যান্য কাজ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। অথচ উপজেলার যেন তেনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কত আগে থেকেই বহুতলভবন- বিভিন্ন ধরনের অনুদান পেয়ে আসছে।

দিনাজপুর জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা ও স্থানীয় বিএনপি’র সভাপতি, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. খুরশিদ আলম মতি ‘সমকাল’কে বলেন,আমি উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ছিলাম বলেই বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে অত্র উপজেলার একমাত্র ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজটি যে কেনো সরকারের আমলেই চরমভাবে অবহেলিত এবং উপেক্ষিত হয়ে আসছে। ৩০ বছরেও সরকারি ভবন, আর্থিক অনুদানসহ যেকোনো ধরনের সহযোগিতা থেকে কলেজটিকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আশানুরুপ অবকাঠামোর অপ্রতুলতার কারণে অনার্স কোর্স এবং কারিগরি শিক্ষা শাখাও খোলা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় সংসদ সদস্যকে কয়েকবার কলেজে অতিথি করে আনা হয়েছে,তাতেও কোনো সহযোগিতা পাইনি।

অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন দাস এবং শিক্ষক নেতা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নাজিম উদ্দীন মÐল বলেন, ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজটি নারী শিক্ষা বিস্তারের জন্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় সরকারের ফ্যাসিলিটিস বিল্ডিং পাওয়ার দাবি রাখে। বর্তমান এবং ভবিষ্যতে ছাত্রী সংখ্যা বিবেচনায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন শিক্ষার পরিবেশকে উন্নত করবে। একটি সুপরিকল্পিত ভবন শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক উৎকর্ষ সাধনে সহায়তা করবে।তবে এতদিনেও বিল্ডিং না পাওয়াটা দুঃখজনক!

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর আলম বলেন,আমার কিছু বলার নেই; সরকার যা করবে তা-ই।

দিনাজপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) চন্দন গুপ্তা বলেন, স্থানীয় এমপি মহোদয় যেভাবে তালিকা দেন, আমরা সে মোতাবেক কাজ করে থাকি।এককভাবে আমাদের কোনোই কর্তৃত্ব নেই।

আওয়ামী লীগের লাগাতার ৮ বারের স্থানীয় এমপি এবং সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেন, আমি গত জুলাইয়ের বাজেটে বিল্ডিং দেয়ার ইচ্ছে করেছিলাম,তা সম্ভব হয়নি।