ঢাকা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা বিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারালেন গাড়ি চালক সবুজ

আমাদের দেখার মতো আর কেউ রইল না!

শাহ জালাল, বরিশাল
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন বেসরকারি চেলিভিশন চ্যানেল আই’র গাড়ি চালক কামাল হোসেন ওরফে সবুজ (৩৮)। তার বাড়ি বরিশাল-ঝালকাঠি জেলা সীমান্তবর্তী বিনয়কাঠি ইউনিয়নের বালকদিয়া গ্রামে।

সবুজ চলে গেছে। কিন্তু ঝালকাঠির ভাড়া বাসায় রেখে গেছেন স্ত্রী সাদিয়া বেগম রানু ও নাবালক দুটি ছেলে এবং একটি মেয়ে। সংসারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি অসময়ে প্রাণ হারানোয় রানুর একটাই কথা আমাদের দেখার মত আর কেউ রইল না। তিনটি সন্তান নিয়ে আগামী দিনগুলো কেমনে চলবে।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর বাড্ডার শাহজাদপুর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে নাস্তা কর্মস্থলে রওয়ানা হলে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান হারান সবুজ। খবর পেয়ে সবুজের শ্যালক রিপন হাওলাদার সবুজের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন।

ঘটনার পর সাদিয়া বেগম রানু তার বাবার বাড়ি ঝালকাঠির শহরতলী আগরবাড়ি গ্রামে চলে গেছেন। তাদের বড় ছেলে সামিউল ইসলাম (১৩) ঝালকাঠি সরকারি বালক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। তার পরের ছেলেটির বয়স ৭ বছর ও কন্যাটির বয়স ৫ বছর।

সাদিয়ার সবার কাছে প্রশ্ন আমার তিন ছেলে পিতৃহারা হয়ে গেল। আমি ওদের নিয়ে কোথায় যাব? আর কিভাবেই বা ওদের জীবিকা নির্বাহ করব। অথচ এ প্রশ্নের উত্তর কারো জানা নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কোটা বিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারালেন গাড়ি চালক সবুজ

আমাদের দেখার মতো আর কেউ রইল না!

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন বেসরকারি চেলিভিশন চ্যানেল আই’র গাড়ি চালক কামাল হোসেন ওরফে সবুজ (৩৮)। তার বাড়ি বরিশাল-ঝালকাঠি জেলা সীমান্তবর্তী বিনয়কাঠি ইউনিয়নের বালকদিয়া গ্রামে।

সবুজ চলে গেছে। কিন্তু ঝালকাঠির ভাড়া বাসায় রেখে গেছেন স্ত্রী সাদিয়া বেগম রানু ও নাবালক দুটি ছেলে এবং একটি মেয়ে। সংসারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি অসময়ে প্রাণ হারানোয় রানুর একটাই কথা আমাদের দেখার মত আর কেউ রইল না। তিনটি সন্তান নিয়ে আগামী দিনগুলো কেমনে চলবে।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর বাড্ডার শাহজাদপুর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে নাস্তা কর্মস্থলে রওয়ানা হলে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান হারান সবুজ। খবর পেয়ে সবুজের শ্যালক রিপন হাওলাদার সবুজের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন।

ঘটনার পর সাদিয়া বেগম রানু তার বাবার বাড়ি ঝালকাঠির শহরতলী আগরবাড়ি গ্রামে চলে গেছেন। তাদের বড় ছেলে সামিউল ইসলাম (১৩) ঝালকাঠি সরকারি বালক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। তার পরের ছেলেটির বয়স ৭ বছর ও কন্যাটির বয়স ৫ বছর।

সাদিয়ার সবার কাছে প্রশ্ন আমার তিন ছেলে পিতৃহারা হয়ে গেল। আমি ওদের নিয়ে কোথায় যাব? আর কিভাবেই বা ওদের জীবিকা নির্বাহ করব। অথচ এ প্রশ্নের উত্তর কারো জানা নেই।