ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোকেনের বাহক স্টাসিযা শান্তে রোলি বাহামার স্টোরের বিক্রয়কর্মী

আন্তর্জাতিক মাদক পাচারে নিরাপদ রুট বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসায়ী চক্ররা মাদক পাচারে নিরাপদ রুট হিসেবে বাংরাদেশকে ব্যবহার করছে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে কোকেনসহ ধরা পড়া বাহামা নাগরিক স্টাসিযা শান্তে রোলির মত বাহককে ওই চক্ররা ব্যবহার করছে।

পুলিশের ধারণা স্টাসিয়া আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসায়ী চক্রে জড়িত হয়ে কোকেন বাহক হিসেবেই বাংলাদেশের রুট ব্যবহার করেছেন। তবে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদেও তার গন্তব্য ও উদ্দেশ্য উদঘাটন হয়নি।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থার মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, স্টাসিয়া জানিয়েছেন তিনি বাহামার একটি স্টোরের বিক্রয়কর্মী। তিনি অবিবাহিত। তার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন। চিকিৎসার প্রয়োজনে বাংলাদেশে এসেছেন। এরবাইরে তার কাছ থেকে অন্য কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে আমরা ধারণা করছি, কোকেন চোরাচালানকারী চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে তিনি বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করার অপচেষ্টা করছিলেন। এখানে এই মাদকের ব্যবহার না থাকায় আমরা আপত দৃষ্টিতে বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়টি ধারণা করছি।

তার পাসপোর্টে কোন কোন দেশের ভিসা আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি ব্রাজিলে গিয়ে এই চক্রের সাথে জড়িত হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। তার পাসপোর্টে দুবাইয়ের ভিসা আছে। তিনি দুবাই থেকে বাংলাদেশে এসেছেন অন-এরাইভ্যাল ভিসা নিয়ে। এরপরে তার গন্তব্য কোথায় সেটা জানার জন্য তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে একজন আইও (তদন্ত কর্মকর্তা) নির্বাচন করে তদন্ত করা হবে।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের সূত্রে যৌথভাবে গত ১২ জুলাই থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে কোকেন বাহক স্টাসিয়া শান্তে রোলি এর জন্য যৌথভাবে অপেক্ষা করতে থাকেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশের একটি দল। ১৩ জুলাই সকাল ৮ টায় স্টাসিয়া শান্তে রোলি ফ্লাই দুবাইয়ের একটি (এফজে-০৫৬৩) ফ্লাইটে করে দুবাই থেকে চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। ওই সময় তার কাছে কোনো ল্যাগেজ ছিল না। তিনি স্বাভাবিক নিয়মে বিমানবন্দর ত্যাগ করে আগ্রাবাদ হোটেলে অবস্থান করেন। ১৫ জুলাই তিনি তাঁর ল্যাগেজ নিতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আসলে ব্যাগ তল্লাশি করে একটি কার্টনের ভেতর প্রায় ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ৭ টি পলি প্যাকেট থেকে মোট ৩ কেজি ৯০০ গ্রাম কোকেন জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর আইনের আওতায় নগরের পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া স্টাসিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জের ধরে কোকেনের বাংলাদেশে অবস্থান গ্রাহকদের নজরদারিতে রেখে সংশ্লিষ্ট আরও ২ জন নাইজেরিয়ানকে ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে সংশ্লিষ্টদের এই মামলায় গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

এর আগে গত সোমবার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই নারী যাত্রীর ব্যাগেজ তল্লাশি করে একটি ইউপিএস এর ভিতর থেকে ৩ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের কোকেন এর প্যাকেট পাওয়া যায়।অভিযানে নেতৃত্বে দেন ঢাকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কোকেনের বাহক স্টাসিযা শান্তে রোলি বাহামার স্টোরের বিক্রয়কর্মী

আন্তর্জাতিক মাদক পাচারে নিরাপদ রুট বাংলাদেশ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসায়ী চক্ররা মাদক পাচারে নিরাপদ রুট হিসেবে বাংরাদেশকে ব্যবহার করছে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে কোকেনসহ ধরা পড়া বাহামা নাগরিক স্টাসিযা শান্তে রোলির মত বাহককে ওই চক্ররা ব্যবহার করছে।

পুলিশের ধারণা স্টাসিয়া আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসায়ী চক্রে জড়িত হয়ে কোকেন বাহক হিসেবেই বাংলাদেশের রুট ব্যবহার করেছেন। তবে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদেও তার গন্তব্য ও উদ্দেশ্য উদঘাটন হয়নি।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থার মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, স্টাসিয়া জানিয়েছেন তিনি বাহামার একটি স্টোরের বিক্রয়কর্মী। তিনি অবিবাহিত। তার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন। চিকিৎসার প্রয়োজনে বাংলাদেশে এসেছেন। এরবাইরে তার কাছ থেকে অন্য কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে আমরা ধারণা করছি, কোকেন চোরাচালানকারী চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে তিনি বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করার অপচেষ্টা করছিলেন। এখানে এই মাদকের ব্যবহার না থাকায় আমরা আপত দৃষ্টিতে বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়টি ধারণা করছি।

তার পাসপোর্টে কোন কোন দেশের ভিসা আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি ব্রাজিলে গিয়ে এই চক্রের সাথে জড়িত হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। তার পাসপোর্টে দুবাইয়ের ভিসা আছে। তিনি দুবাই থেকে বাংলাদেশে এসেছেন অন-এরাইভ্যাল ভিসা নিয়ে। এরপরে তার গন্তব্য কোথায় সেটা জানার জন্য তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে একজন আইও (তদন্ত কর্মকর্তা) নির্বাচন করে তদন্ত করা হবে।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের সূত্রে যৌথভাবে গত ১২ জুলাই থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে কোকেন বাহক স্টাসিয়া শান্তে রোলি এর জন্য যৌথভাবে অপেক্ষা করতে থাকেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশের একটি দল। ১৩ জুলাই সকাল ৮ টায় স্টাসিয়া শান্তে রোলি ফ্লাই দুবাইয়ের একটি (এফজে-০৫৬৩) ফ্লাইটে করে দুবাই থেকে চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। ওই সময় তার কাছে কোনো ল্যাগেজ ছিল না। তিনি স্বাভাবিক নিয়মে বিমানবন্দর ত্যাগ করে আগ্রাবাদ হোটেলে অবস্থান করেন। ১৫ জুলাই তিনি তাঁর ল্যাগেজ নিতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আসলে ব্যাগ তল্লাশি করে একটি কার্টনের ভেতর প্রায় ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ৭ টি পলি প্যাকেট থেকে মোট ৩ কেজি ৯০০ গ্রাম কোকেন জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর আইনের আওতায় নগরের পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া স্টাসিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জের ধরে কোকেনের বাংলাদেশে অবস্থান গ্রাহকদের নজরদারিতে রেখে সংশ্লিষ্ট আরও ২ জন নাইজেরিয়ানকে ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে সংশ্লিষ্টদের এই মামলায় গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

এর আগে গত সোমবার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই নারী যাত্রীর ব্যাগেজ তল্লাশি করে একটি ইউপিএস এর ভিতর থেকে ৩ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের কোকেন এর প্যাকেট পাওয়া যায়।অভিযানে নেতৃত্বে দেন ঢাকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল।