ঢাকা ০১:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সমন্বয়ক হাসনাতকে উদ্ধারে গিয়ে আনসারদের তোপের মুখে শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫৩:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর সচিবালয়ে অবরুদ্ধ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে উদ্ধার করতে গিয়ে আন্দোলনরত আনসারদের সাথে শিক্ষার্থীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে দুই সমন্বয়ককে উদ্ধার করতে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে গেলে তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে আনসার সদস্যরা। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

এর আগে আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ করেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রোববার (২৫ আগস্ট) হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ফেসবুক পোস্টে সমন্বয়ক হাসনাত জানান, ‘সবাই রাজুতে আসেন। স্বৈরাচারীশক্তি আনসার হয়ে ফিরে আসতে চাচ্ছে। দাবি মানার পরও আমাদের সবাইকে সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়েছে।

ফেসবুক কমেন্টে জানান, এসব করাচ্ছে এনামুল হক শামীম, শরিয়তপুর আসনের সাবেক এমপি। তার বড় ভাই এই আনসারের ডিজি ছিলেন। এবং এই সব আনসার তার ভাইয়ের রিক্রুটেড।

উল্লেখ্য, এর আগে বিভিন্ন দাবি নিয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসা আনসার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস ও দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আমরা আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছি।

এরপর সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বর্তমানে সাধারণ আনসারদের যে গ্রেস প্রথা বা ৬ মাসের বিরতি আছে, সেটা থাকবে না। আমরা ৩ উপদেষ্টা এবং অন্যদের সাথে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। গ্রেস প্রথা হচ্ছে ৩ বছর চাকরির পর ৬ মাস বিরতিতে রাখা হয়। ৬ মাস পর আবার তাদের বাহিনীতে অঙ্গীভূত করা হয়। এ ৬ মাস তারা জীবন-জীবিকা নিয়ে একটা দুর্দশার মধ্যে থাকেন। এজন্য সবাই মিলে এই বিষয়ে একমত যে, এই প্রথা যেন বাতিল করা হয়। নিয়োগবিধি থেকে সেটা কীভাবে বাতিল করা হবে সেটা কমিটির সুপারিশের পর আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।

তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, আনসারদের অন্যান্য যে দাবি রয়েছে সেজন্য একটা সুপারিশ কমিটি করে দেয়া হয়েছে। এ কমিটি পর্যালোচনা করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। এই কমিটিতে সাধারণ আনসারের ৪ জন প্রতিনিধি থাকবেন। সুপারিশ প্রণয়নে তারা সহযোগিতা করবেন। তারপর আমরা আন্তমন্ত্রণালয় সভায় বসে সিদ্ধান্ত নেবো। আনসার সদস্যরা যেসব বৈষম্যের শিকার, তারা যেসব সমস্যার মুখে পড়েন, সেগুলোর যৌক্তিক সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

সাধারণ আনসারদের পক্ষ থেকে মো. নাসিম মিয়া বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে বৈঠক শেষে তারা গ্রেস প্রথা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া জাতীয়করণের ক্ষেত্রে তাদের যে দাবি সেটা কমিটির মাধ্যমে সুপারিশ করা হবে। আপাতত আন্দোলন স্থগিত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সমন্বয়ক হাসনাতকে উদ্ধারে গিয়ে আনসারদের তোপের মুখে শিক্ষার্থীরা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫৩:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

রাজধানীর সচিবালয়ে অবরুদ্ধ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে উদ্ধার করতে গিয়ে আন্দোলনরত আনসারদের সাথে শিক্ষার্থীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে দুই সমন্বয়ককে উদ্ধার করতে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে গেলে তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে আনসার সদস্যরা। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

এর আগে আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ করেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রোববার (২৫ আগস্ট) হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ফেসবুক পোস্টে সমন্বয়ক হাসনাত জানান, ‘সবাই রাজুতে আসেন। স্বৈরাচারীশক্তি আনসার হয়ে ফিরে আসতে চাচ্ছে। দাবি মানার পরও আমাদের সবাইকে সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়েছে।

ফেসবুক কমেন্টে জানান, এসব করাচ্ছে এনামুল হক শামীম, শরিয়তপুর আসনের সাবেক এমপি। তার বড় ভাই এই আনসারের ডিজি ছিলেন। এবং এই সব আনসার তার ভাইয়ের রিক্রুটেড।

উল্লেখ্য, এর আগে বিভিন্ন দাবি নিয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসা আনসার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস ও দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আমরা আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছি।

এরপর সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বর্তমানে সাধারণ আনসারদের যে গ্রেস প্রথা বা ৬ মাসের বিরতি আছে, সেটা থাকবে না। আমরা ৩ উপদেষ্টা এবং অন্যদের সাথে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। গ্রেস প্রথা হচ্ছে ৩ বছর চাকরির পর ৬ মাস বিরতিতে রাখা হয়। ৬ মাস পর আবার তাদের বাহিনীতে অঙ্গীভূত করা হয়। এ ৬ মাস তারা জীবন-জীবিকা নিয়ে একটা দুর্দশার মধ্যে থাকেন। এজন্য সবাই মিলে এই বিষয়ে একমত যে, এই প্রথা যেন বাতিল করা হয়। নিয়োগবিধি থেকে সেটা কীভাবে বাতিল করা হবে সেটা কমিটির সুপারিশের পর আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।

তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, আনসারদের অন্যান্য যে দাবি রয়েছে সেজন্য একটা সুপারিশ কমিটি করে দেয়া হয়েছে। এ কমিটি পর্যালোচনা করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। এই কমিটিতে সাধারণ আনসারের ৪ জন প্রতিনিধি থাকবেন। সুপারিশ প্রণয়নে তারা সহযোগিতা করবেন। তারপর আমরা আন্তমন্ত্রণালয় সভায় বসে সিদ্ধান্ত নেবো। আনসার সদস্যরা যেসব বৈষম্যের শিকার, তারা যেসব সমস্যার মুখে পড়েন, সেগুলোর যৌক্তিক সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

সাধারণ আনসারদের পক্ষ থেকে মো. নাসিম মিয়া বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে বৈঠক শেষে তারা গ্রেস প্রথা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া জাতীয়করণের ক্ষেত্রে তাদের যে দাবি সেটা কমিটির মাধ্যমে সুপারিশ করা হবে। আপাতত আন্দোলন স্থগিত থাকবে।