আত্রাইয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবী
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৩৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪ ২১ বার পড়া হয়েছে
কর্মস্থলে অনুপস্থিত, ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ-দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছেন পরিষদের সদস্যরা।
ইউপি সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এ আবেদন জানান তারা। এ সময় তারা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি জানান।
জানা যায়, কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক প্রামাণিক (নাদিম) দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নিজের লোক দিয়ে করিয়ে আসছেন। প্রকল্প সভাপতিকে না জানিয়ে স্বাক্ষর জাল করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়া উদ্দীনের সহায়তায় বিল তুলে আত্মসাৎ করেছেন। ইউপি সচিব ও হিসাব সহকারীকে জিম্মি করে অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করেছেন। চলমান সংকটময় পরিস্থিতে চেয়ারম্যান ৩১ জুলাইয়ের পর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। এতে পরিষদের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় পরিষদের স্বাভাবিক কাজকর্ম সচল রাখতে চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা।
ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করেন। নতুন কোনো প্রকল্প এলে সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেন না। এমনকি সভাপতিকেও কিছু জানান না। এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করলে ইউপি সদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। তাই তাঁর অপসারণসহ দ্রুত অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়া উদ্দীন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাস্তবায়নকৃত প্রকল্পের কাজ দেখে প্রকল্প সভাপতির অনুকূলে বিল প্রদান করা হয়। তবে অনেক সময় সভাপতি অসুস্থ থাকলে সে ক্ষেত্রে সেক্রেটারির অনুকূলে বিল দেওয়া হয়। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক প্রামাণিক নাদিম। তিনি বলেন, কর্মস্থলে অনুপস্থিতির বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। আমাকে অপসারণ করে প্রতিনিধি নিয়োগের কথাও বলেছি। এর পরও সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে অভিযোগ তুলেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।