ঢাকা ০৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আত্মসমর্পন করে আলোচনার টেবিলে গেলেও লাভ হবে না’

রংপুর প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৮:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪ ১১১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, পাহাড়ে বিশেষ করে বান্দরবনে কুচিন যে সব কর্মকান্ড করছে এবং করেছে-তারা যে পর্যায়ে চলে গেছে এটা ক্রিমিনাল এ্যাকটিভিটি এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বলা যায়। এধরনের কর্মকান্ড কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। পুরো বিষয়টিকে শাস্তিযোগ্য অপরাপধ হিসেবে সরকারকে দেখতে হবে।

রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, তাদের কোন ন্যায্য দাবি থাকে তাহলে কথাবার্তা বলে মীমাংসা করে নেয়া যেতো। কিন্তু তারা গত কয়েকদিন ধরে যা করেছে তা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না।

তিনি আরও বলেন, তারা আত্মসমর্পন করে আলোচনার টেবিলে গেলেও কোন লাভ হবে না। তারা যদি সেই অবস্থানে থাকতো তাহলে আমাদের কাছে গ্রহন যোগ্য হতো। এখন সার্বিক ভাবে সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে জনগনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় আস্থাহীনতা তৈরী না হয় সেটা দেখার দায়িত্ব সরকারের বলে মনে করেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জিএম কাদের বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে এ মহুর্তে সাধারণ মানুষের মাঝে আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারন মানুষ সেখানে ব্যাবসা বানিজ্য করতে চায় , এ ছাড়া যারা সেখানে ইনভেষ্ট করতে চায় যারা বেড়াতে যেতে চায় সকলেই এখন পিছপা হচ্ছে বলে আমি মনে করি। এ সব কর্মকান্ড তো আমাদের সমাজের জন্য মঙ্গলজনক কথা নয়। পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়াও সারা দেশে আইন শৃংখলা বাহিনী আইন শৃংখলা রক্ষা করতে ব্যার্থ হচ্ছে। মানুষের হাত পা কেটে দেয়া হচ্ছে, মানুষ হত্যা করা হচ্ছেবাচ্চা ছেলেদের শ্বস রোধ করে হত্যা করা হচ্ছে, দেশে অমান্তি চলছে। যার যেটা দায়িত্ব সেটা পালন করতে পারছেনা। বাস ট্রেন এক্সিডেন্ট হচ্ছে মানুষ মারা যাচ্ছেএটা এখন দূর্ঘটনা নয় স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব যাতে বন্ধ হয় সে জন্য সরকারে কাছে আমাদের দাবি জনগন শান্তিতে থাকতে চায় এটা করার দায়িত্ব সরকারের, তবে সরকার প্রাথমিক ভাবে ব্যার্থর্ হয়েছে বলে আমার ধারনা।

তিনি আরও বলেন, পাহাড়ে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এ জন্য সরকারের প্রিপারেশন থাকা উচিত ছিলো। সরকারে সব বাহিনীর জাকজমক আছে সব কিছুই তাদের আছে সুযোগ সুবিধাও আছে তবে কাজের ব্যাপারে জবাবদিহিতা নেই। সেটা সার্বিক ভাবে সরকারের ব্যার্থতা বলেই জনগন মনে করে।

তিনি বলেন, যাকে যে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে তাদের সেই দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায় এবং যাচ্ছে এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক । আমরা মনে করি সামান্য ঘটনায় যদি সরকারকে হিমসিম খেতে হয় তাহলে বড় ধরনের বিপদ হলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো?। সে কারনে যেভাবে বলিনা কেন দেশে সুশাসনের অভাব আছে। কারন হলো জবাবদিহিতা নেই। যেখানে জবাবদিহিতা থাকে সেখানে গনতন্ত্র থাকে।

রওশন এরশাদের নাম উল্লেখ না করে বলেন, প্রত্যক দলের একটি গঠনতন্ত্র থাকে। তাদের নির্বাচন কমিশন থেকে দলের নিবন্ধন নিতে হয়। কিন্তু একই দর্লে প্রতীক লোগো ব্যাবহার করে বিভিন্ন সমাবেশ করা বেআইনী। এতেই প্রমানিত হয় জাতীয় পার্টির মদ্যে বিভেদ সৃষ্টির পেছনে সরকারের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

‘আত্মসমর্পন করে আলোচনার টেবিলে গেলেও লাভ হবে না’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৮:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, পাহাড়ে বিশেষ করে বান্দরবনে কুচিন যে সব কর্মকান্ড করছে এবং করেছে-তারা যে পর্যায়ে চলে গেছে এটা ক্রিমিনাল এ্যাকটিভিটি এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বলা যায়। এধরনের কর্মকান্ড কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। পুরো বিষয়টিকে শাস্তিযোগ্য অপরাপধ হিসেবে সরকারকে দেখতে হবে।

রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, তাদের কোন ন্যায্য দাবি থাকে তাহলে কথাবার্তা বলে মীমাংসা করে নেয়া যেতো। কিন্তু তারা গত কয়েকদিন ধরে যা করেছে তা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না।

তিনি আরও বলেন, তারা আত্মসমর্পন করে আলোচনার টেবিলে গেলেও কোন লাভ হবে না। তারা যদি সেই অবস্থানে থাকতো তাহলে আমাদের কাছে গ্রহন যোগ্য হতো। এখন সার্বিক ভাবে সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে জনগনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় আস্থাহীনতা তৈরী না হয় সেটা দেখার দায়িত্ব সরকারের বলে মনে করেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জিএম কাদের বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে এ মহুর্তে সাধারণ মানুষের মাঝে আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারন মানুষ সেখানে ব্যাবসা বানিজ্য করতে চায় , এ ছাড়া যারা সেখানে ইনভেষ্ট করতে চায় যারা বেড়াতে যেতে চায় সকলেই এখন পিছপা হচ্ছে বলে আমি মনে করি। এ সব কর্মকান্ড তো আমাদের সমাজের জন্য মঙ্গলজনক কথা নয়। পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়াও সারা দেশে আইন শৃংখলা বাহিনী আইন শৃংখলা রক্ষা করতে ব্যার্থ হচ্ছে। মানুষের হাত পা কেটে দেয়া হচ্ছে, মানুষ হত্যা করা হচ্ছেবাচ্চা ছেলেদের শ্বস রোধ করে হত্যা করা হচ্ছে, দেশে অমান্তি চলছে। যার যেটা দায়িত্ব সেটা পালন করতে পারছেনা। বাস ট্রেন এক্সিডেন্ট হচ্ছে মানুষ মারা যাচ্ছেএটা এখন দূর্ঘটনা নয় স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব যাতে বন্ধ হয় সে জন্য সরকারে কাছে আমাদের দাবি জনগন শান্তিতে থাকতে চায় এটা করার দায়িত্ব সরকারের, তবে সরকার প্রাথমিক ভাবে ব্যার্থর্ হয়েছে বলে আমার ধারনা।

তিনি আরও বলেন, পাহাড়ে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এ জন্য সরকারের প্রিপারেশন থাকা উচিত ছিলো। সরকারে সব বাহিনীর জাকজমক আছে সব কিছুই তাদের আছে সুযোগ সুবিধাও আছে তবে কাজের ব্যাপারে জবাবদিহিতা নেই। সেটা সার্বিক ভাবে সরকারের ব্যার্থতা বলেই জনগন মনে করে।

তিনি বলেন, যাকে যে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে তাদের সেই দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায় এবং যাচ্ছে এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক । আমরা মনে করি সামান্য ঘটনায় যদি সরকারকে হিমসিম খেতে হয় তাহলে বড় ধরনের বিপদ হলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো?। সে কারনে যেভাবে বলিনা কেন দেশে সুশাসনের অভাব আছে। কারন হলো জবাবদিহিতা নেই। যেখানে জবাবদিহিতা থাকে সেখানে গনতন্ত্র থাকে।

রওশন এরশাদের নাম উল্লেখ না করে বলেন, প্রত্যক দলের একটি গঠনতন্ত্র থাকে। তাদের নির্বাচন কমিশন থেকে দলের নিবন্ধন নিতে হয়। কিন্তু একই দর্লে প্রতীক লোগো ব্যাবহার করে বিভিন্ন সমাবেশ করা বেআইনী। এতেই প্রমানিত হয় জাতীয় পার্টির মদ্যে বিভেদ সৃষ্টির পেছনে সরকারের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত রয়েছে।