ড্রেন নির্মাণেই সময় পার করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান
আড়াই কি.মি. সড়কের কাজ চলছে ৬ বছর ধরে
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:০১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে
প্রকল্প অনুমোদনের ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো ড্রেন নির্মাণেই সময় পার করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এর ফলে যানজট ও জলজটে দুর্ভোগে শহরবাসী। বরাবরের মতো এরপরও দ্রুত কাজ শেষ করার আশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।
জয়পুরহাট শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে হাড়াইল মোড় পর্যন্ত এই আড়াই কিলোমিটার ফোরলেনের কাজ চলছে গত ৬ বছর ধরে। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন জেলাবাসী। তবে ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ হলেও ফিনিশিং না করায় যেখানে সেখানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে পানি জমে রয়েছে। এতে করে যানজট ও জলজটের শিকার শহরবাসী।
ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর জামিরুল ইসলাম জানান,দুই পার্শ্বে ড্রেন নির্মাণের কারণে রাস্তার পানি সরতে পারছে না। একারণে যেখানে সেখানে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্যই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আরোহী শফিকুল আলম ,কাপড় ব্যবসায়ী সুব্রত কুমার ক্ষোভের স্বরে জানান, এই শহর দিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ শহরের অভিভাবক থাকলে প্রকল্প অনুমোদনের পর বছরের পর বছর সময় লাগতো না।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ১১ মে একনেকের বৈঠকে ফোরলেন সড়কের জন্য ২৫ কোটি টাকা এবং দুই পাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই সময় ৩টি প্যাকেজে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর ও ২০১৮ সালের ২৭ জুন কার্যাদেশ দেয়া হয়। প্রথম কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও কাজ শুরু করতে না পারা নাভানা কন্সট্রাকশন লাপাত্তা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালে রিলাইয়েবল বিল্ডার্স লি. ও মাহফুজ খান জয়েন্ট ভেঞ্চার নামে দুটি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। এরপর তারাও এক দফা সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩০ জুন ফোরলেন কাজ সমাপ্ত করার কথা থাকলেও এখনো শুরুই করতে পারেনি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রিলাইয়েবল বিল্ডার্স লিমিটেডের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার সাজ্জাদ কাদির খান বলেন, ড্রেন নির্মাণি ধীরগতি হওয়ায় ফোরলেনের কাজ শুরু করতে পারছি না। ড্রেন নির্মাণ শেষ হলেই ফোরলেনের কাজ শুরু করব।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহিনুর রহমান বলেন, চলতি বছরের ৩০ জুন ফোরলেন কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও, মেয়াদ বাড়িয়ে তা ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। আশাকরছি এ অর্থ বছরে কাজটি সম্পন্ন হবে।