ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আজ মহান স্বাধীনতা দিবস

বিশেষ প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২৯:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ ২৬ মার্চ । মহান স্বাধীনতা দিবস । বাঙালির গৌরবের দিন আজ । পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন । দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র লড়াই শুরু করে এ দেশের মুক্তিকামী মানুষ । নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনকরা হবে ।

দীর্ঘ আন্দোলন- সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেন । ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলার মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ।

স্বাধীনতা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি করা হয় । দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে বন্দি রাখা হয় । এ সময় শহীদ হয় ৩০ লাখ মানুষ । ৯ মাসের যুদ্ধে এত বেশি মানুষ হত্যার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ।

গ্রেপ্তারের আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন । তিনি শত্রুসেনাদের বিরুদ্ধে লড়তে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করার আহ্বান জানান । বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন । আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো । পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও । ’

মুহূর্তের মধ্যেই তৎকালীন ইপিআরের ওয়্যারলেস থেকে বঙ্গবন্ধুর সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় দেশের সর্বত্র । বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণায় সেদিনই ঐক্যবদ্ধ সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে গোটা জাতি । সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তা জনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এই ঘোষণা নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না । পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় । ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টস- এ ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল ।

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শুরু হয় । বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে । এরপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানের বিনিময়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের । গোটা জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে সেইসব আত্মোৎসর্গকারীদের। শ্রদ্ধা জানাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের মহাননায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আজ মহান স্বাধীনতা দিবস

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২৯:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

আজ ২৬ মার্চ । মহান স্বাধীনতা দিবস । বাঙালির গৌরবের দিন আজ । পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন । দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র লড়াই শুরু করে এ দেশের মুক্তিকামী মানুষ । নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনকরা হবে ।

দীর্ঘ আন্দোলন- সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেন । ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলার মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ।

স্বাধীনতা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি করা হয় । দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে বন্দি রাখা হয় । এ সময় শহীদ হয় ৩০ লাখ মানুষ । ৯ মাসের যুদ্ধে এত বেশি মানুষ হত্যার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ।

গ্রেপ্তারের আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন । তিনি শত্রুসেনাদের বিরুদ্ধে লড়তে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করার আহ্বান জানান । বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন । আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো । পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও । ’

মুহূর্তের মধ্যেই তৎকালীন ইপিআরের ওয়্যারলেস থেকে বঙ্গবন্ধুর সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় দেশের সর্বত্র । বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণায় সেদিনই ঐক্যবদ্ধ সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে গোটা জাতি । সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তা জনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এই ঘোষণা নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না । পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় । ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টস- এ ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল ।

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শুরু হয় । বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে । এরপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানের বিনিময়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের । গোটা জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে সেইসব আত্মোৎসর্গকারীদের। শ্রদ্ধা জানাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের মহাননায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন ।