আখাউড়া বন্দরে রপ্তানি আয়ে ভাটা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১৫:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪ ৯৩ বার পড়া হয়েছে
স্থবিরতা বিরাজ করছে দেশের অন্যতম রপ্তানিমুখী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে। রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় এই বন্দরটি দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি কমেছে প্রায় অর্ধেক। এর ফলে কমেছে রপ্তানি আয়।
স্বাভাবিক সময়ে এ বন্দরের যে ইয়ার্ডে দেখা যেতো পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপের ব্যস্ততা, সেখানে এখন নীরবতা। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে রপ্তানিমুখী বন্দরটি। ইন্টারনেট পরিসেবায় বিভ্রাট ও দেশজুড়ে কারফিউর প্রভাবে অচলাবস্থা দেখা দেয় দেশের অন্যতম বৃহৎ এই বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্যে।
স্বাভাবিক সময়ে এ বন্দরটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ ডলার মূল্যের হিমায়িত মাছ, সিমেন্ট, প্লাস্টিক, রড,ফার্নিচারসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০ ধরণের পন্য ভারতে রপ্তানি হয়ে থাকে।
তবে সারা দেশে কারফিউ ও চলমান অস্থিরতায় গত পাঁচ দিনে নামমাত্র মাছ ও সিমেন্ট ছাড়া কিছুই রপ্তানি করা যায়নি। এছাড়া ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারণে অনলাইন ব্যবস্থা না থাকায় ২০ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ম্যানুয়ালি বিল অফ এক্সপোর্টের তথ্য লিপিবদ্ধের মাধ্যমে মাত্র ৫৩ টন মাছ ও ৭০ টন সিমেন্ট রপ্তানি করা হয়েছে। এসব থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
বন্দরের একাধিক ব্যবসায়ি বলেন, গত কয়েক দিনের অচলাবস্থায় অনেক পণ্য রপ্তানি করতে পারিনি। হাতে গোনা কিছু মাছবাহী পিকআপ আসছে। সেগুলো রপ্তানি করা হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে মালামাল আসতে পারছে না। এর ফলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব আয়।
আখাউড়া স্থল বন্দরের সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি হাসিবুল হাসান এ বিষয়ে বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে পণ্য বন্দরে পৌছাতে না পারায় মাছ ছাড়া অন্য কোন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে না। ফলে রপ্তানিকারকসহ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
আখাউড়া স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারি কমিশনার (রাজস্ব) মো. ইমরান হোসেন বলেন, বন্দরে পণ্য পৌছালে তা রপ্তানিতে কোন বাঁধা নেই। ইন্টারনেট বিভ্রাটকালীন সময়ে ম্যানুয়াল বিলিং পদ্ধতিতে বন্দরে আসা পণ্য ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে সর্বপ্রথম ১৯৯৪ সালে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়। এরপর তা ধীরে ধীরে বাণিজ্য বাড়ায় গুরুত্ব বিবেচনায় ২০১০ সালে পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে আখাউড়া স্থলবন্দরটি। তারপর থেকে বন্দর দিয়ে প্রতিদিন হিমায়িত রড, সিমেন্ট, মাছ, প্লাস্টিক, তুলা, ভোজ্য তেল, ফার্নিচার ও খাদ্যসামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। সেখান থেকে রপ্তানি পণ্য সরবরাহ হয় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে।