ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অরক্ষিত খলিফা সাম্রাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪ ২৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্দোলনের মুখে সোমবার (৫ আগষ্ট) পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর নিরুদ্দেশ হয়ে যান আখাউড়ার পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল।

আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের রাধানগরের সাততলা বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করে। হামলার সময় বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যান মেয়র।

সদ্য সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত তাকজিল খলিফা কাজল তিনবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় তিনি এলাকায় অপ্রতিদ্বদ্বি হয়ে উঠেন। দলীয় রাজনীতিতে বিভাজন, প্রতিপক্ষের রাজনীতিবিদদের শক্ত হাতে দমন, মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষের রাজনীতিবিদদেরকে হয়রানী করা, উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রন, দলীয় প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করে রাখার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বদলি বাণিজ্য, চাকরির তদবির ও স্থলবন্দরের ব্যবসায় প্রভাব খাটিয়ে তাকজিল খলিফা কাজল অর্জন করেন কোটি কোটি টাকা। রয়েছে অঢেল সম্পদও। গত ৫ আগষ্ট বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়িতে ব্যাপক হামলা ভাংচুর ও লুটতরাজ করে। তাকজিল খলিফা কাজল নিরুদ্দেশ হওয়ার পর অরক্ষিত হয়ে পড়ে খলিফা সাম্রাজ্য। পৌর এলাকার রাধানগরের তার চারটি বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ এখন অরক্ষিত।

গত ৭ আগষ্ট বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় আখাউড়ায় প্রায় ১৫ বছর ধরে মনের ভেতরে থাকা জ্বালা-যন্ত্রণার কথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহীর কাছে তুলে ধরেন উপজেলা বিএনপির নেতারা।

এ সময় বিএনপির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫ বছর তাকজিল খলিফা কাজলের কারনে তারা কোন দলীয় কর্মসূচী পালন করতে পারেননি।

বিএনপি নেতারা বলেন, ৫ আগস্ট মেয়রের রাধানগরের সাততলা বাড়িতে হামলা করে বিক্ষুব্ধরা। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের উপর মেয়র যে অত্যাচার চালিয়েছেন এরই প্রতিফলন এটা। তবে হামলার পর যে লুটতরাজ হয়েছে তা আরেকটি পক্ষের কাজ। তাদের উদ্দেশ্যই ছিলো লুটপাট করা।

তাকজিল খলিফা কাজল ২০১২ সালে উপ-নির্বাচনে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় মেয়র হয়ে তিনি এলাকায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেন।

এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অরক্ষিত খলিফা সাম্রাজ্য

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

আন্দোলনের মুখে সোমবার (৫ আগষ্ট) পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর নিরুদ্দেশ হয়ে যান আখাউড়ার পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল।

আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের রাধানগরের সাততলা বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করে। হামলার সময় বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যান মেয়র।

সদ্য সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত তাকজিল খলিফা কাজল তিনবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় তিনি এলাকায় অপ্রতিদ্বদ্বি হয়ে উঠেন। দলীয় রাজনীতিতে বিভাজন, প্রতিপক্ষের রাজনীতিবিদদের শক্ত হাতে দমন, মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষের রাজনীতিবিদদেরকে হয়রানী করা, উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রন, দলীয় প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করে রাখার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বদলি বাণিজ্য, চাকরির তদবির ও স্থলবন্দরের ব্যবসায় প্রভাব খাটিয়ে তাকজিল খলিফা কাজল অর্জন করেন কোটি কোটি টাকা। রয়েছে অঢেল সম্পদও। গত ৫ আগষ্ট বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়িতে ব্যাপক হামলা ভাংচুর ও লুটতরাজ করে। তাকজিল খলিফা কাজল নিরুদ্দেশ হওয়ার পর অরক্ষিত হয়ে পড়ে খলিফা সাম্রাজ্য। পৌর এলাকার রাধানগরের তার চারটি বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ এখন অরক্ষিত।

গত ৭ আগষ্ট বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় আখাউড়ায় প্রায় ১৫ বছর ধরে মনের ভেতরে থাকা জ্বালা-যন্ত্রণার কথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহীর কাছে তুলে ধরেন উপজেলা বিএনপির নেতারা।

এ সময় বিএনপির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫ বছর তাকজিল খলিফা কাজলের কারনে তারা কোন দলীয় কর্মসূচী পালন করতে পারেননি।

বিএনপি নেতারা বলেন, ৫ আগস্ট মেয়রের রাধানগরের সাততলা বাড়িতে হামলা করে বিক্ষুব্ধরা। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের উপর মেয়র যে অত্যাচার চালিয়েছেন এরই প্রতিফলন এটা। তবে হামলার পর যে লুটতরাজ হয়েছে তা আরেকটি পক্ষের কাজ। তাদের উদ্দেশ্যই ছিলো লুটপাট করা।

তাকজিল খলিফা কাজল ২০১২ সালে উপ-নির্বাচনে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় মেয়র হয়ে তিনি এলাকায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেন।

এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।