ঢাকা ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সাইদ হত্যার বিচার দাবি

রংপুর প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪ ২৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোটা বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম শিক্ষার্থী আবু সাইদকে পুলিশ টার্গেট করে গুলি করে হত্যাকারী ও তাদের হুকুম দাতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন।

শনিবার (১০ আগস্ট) তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুছ নিহত আবু সাইদের বাসা রংপুরের পীরগজ্ঞ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে কবর জিয়ারত করতে আসলে তার বাবা মকবুল হোসেন মা মনোয়ারা বেগম সহ তার সহপাঠিরা এ দাবি জানান।
ড. ইউনুছ নিহত সাইদের বাবা মকবুল হোসেন মা মনোয়ারা বেগমের সাথে দেখা করার সময় মা মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন তার ছেলেকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। এখন পর্যন্ত হত্যা কারী ও হত্যার নির্দ্দেশ দানকারী খুনিদের গ্রেফতার না করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। একই অভিযোগ করেন তার বাবা মকবুল হোসেন।

এদিকে, নিহত সাইদের সহপাঠি সাব্বির আহাম্মেদ জানান সাইদ ছোট বেলা থেকে প্রতিবাদী ছিলেন। কখনও কোন অন্যায়ের সাথে তাকে আপোষ করতে দেখিনি। লেখাপড়ায় সে ছিলো অত্যান্ত মেধাবী। পরিবারের অভাব অনটন তার লেখাপড়াকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়ার পাশাপাশি টিউশনী করতো ইংরেজিতে দক্ষ ছিলো বলে টিউশনীর টাকা দিয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি বাড়িতে সংসারে টাকার পাঠাতো বাবা মায়ের খাবারের জন্য । তার মৃত্যুতে বাবনপুর গ্রাম তথা পীরগজ্ঞের মানুষ এজন প্রতিবাদী সৎ ছেলেকে হারালো আমরা তাকে গুলি করে হত্যা কারী পুলিশ সদস্য ও গুলির হুকুমদান কারী পুলিশ কর্মকর্তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার দাবি করছি।

একই কথা বলেন, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। তার সহপাঠি রোকসানা আনোয়ার বলেন আমাদের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদকে নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনা আমরা মেনে নিতে পারছিনা।

তিনি বলেন, খুবই বেদনা দায়ক ঘটনা কোটা বিরোধী আন্দোলনে সে অংশ নিয়েছিলো সে একজন ভালো সংগঠক। সে তো কোন অস্ত্র নিয়ে পুরিশকে আক্রমন করে নাই যার জন্য তাকে টার্গেট করে হত্যা করতে হবে। এটা আমরা বেরোবির শিক্ষার্থীরা কোন দিনই মানবোনা। এর বিচার না হলে দায়িদের গ্রেফতার না করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় না করানো পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

আর এক সহপাঠি বন্ধু মুশতাক অভিযোগ করেন কোটা বিরোধী আন্দোলন করার সময় খুব কাছে থেকে তাকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। এই হত্যার বিচার চান তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সাইদ হত্যার বিচার দাবি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

কোটা বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম শিক্ষার্থী আবু সাইদকে পুলিশ টার্গেট করে গুলি করে হত্যাকারী ও তাদের হুকুম দাতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন।

শনিবার (১০ আগস্ট) তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুছ নিহত আবু সাইদের বাসা রংপুরের পীরগজ্ঞ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে কবর জিয়ারত করতে আসলে তার বাবা মকবুল হোসেন মা মনোয়ারা বেগম সহ তার সহপাঠিরা এ দাবি জানান।
ড. ইউনুছ নিহত সাইদের বাবা মকবুল হোসেন মা মনোয়ারা বেগমের সাথে দেখা করার সময় মা মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন তার ছেলেকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। এখন পর্যন্ত হত্যা কারী ও হত্যার নির্দ্দেশ দানকারী খুনিদের গ্রেফতার না করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। একই অভিযোগ করেন তার বাবা মকবুল হোসেন।

এদিকে, নিহত সাইদের সহপাঠি সাব্বির আহাম্মেদ জানান সাইদ ছোট বেলা থেকে প্রতিবাদী ছিলেন। কখনও কোন অন্যায়ের সাথে তাকে আপোষ করতে দেখিনি। লেখাপড়ায় সে ছিলো অত্যান্ত মেধাবী। পরিবারের অভাব অনটন তার লেখাপড়াকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়ার পাশাপাশি টিউশনী করতো ইংরেজিতে দক্ষ ছিলো বলে টিউশনীর টাকা দিয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি বাড়িতে সংসারে টাকার পাঠাতো বাবা মায়ের খাবারের জন্য । তার মৃত্যুতে বাবনপুর গ্রাম তথা পীরগজ্ঞের মানুষ এজন প্রতিবাদী সৎ ছেলেকে হারালো আমরা তাকে গুলি করে হত্যা কারী পুলিশ সদস্য ও গুলির হুকুমদান কারী পুলিশ কর্মকর্তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার দাবি করছি।

একই কথা বলেন, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। তার সহপাঠি রোকসানা আনোয়ার বলেন আমাদের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদকে নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনা আমরা মেনে নিতে পারছিনা।

তিনি বলেন, খুবই বেদনা দায়ক ঘটনা কোটা বিরোধী আন্দোলনে সে অংশ নিয়েছিলো সে একজন ভালো সংগঠক। সে তো কোন অস্ত্র নিয়ে পুরিশকে আক্রমন করে নাই যার জন্য তাকে টার্গেট করে হত্যা করতে হবে। এটা আমরা বেরোবির শিক্ষার্থীরা কোন দিনই মানবোনা। এর বিচার না হলে দায়িদের গ্রেফতার না করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় না করানো পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

আর এক সহপাঠি বন্ধু মুশতাক অভিযোগ করেন কোটা বিরোধী আন্দোলন করার সময় খুব কাছে থেকে তাকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। এই হত্যার বিচার চান তারা।