ঢাকা ০৬:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরণখোলায় রিংবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে লোকালয়ে

বাগেরহাট অফিস
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জোয়ারের পানির চাপে বৃহস্পতিবার রাতে বাগেরহাটের শরণখোলার সাউথখালী ইউনিয়নের খুড়িয়াখালী-বগী ভারাণী খালের পাশের রিং বাঁধের দুই স্থানের প্রায় ১০০ফুট ভেঙে গেছে। ভাঙা বাঁধ থেকে হু হু করে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওই এলাকার শতাধিক পরিবার।

শুক্রবার (৩০মে) সকালে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুদীপ্ত কুমার সিংহ।

জানা গেছে, জোয়ারের পানির চাপে খুড়িয়াখালী গ্রামের চুন্নু ফকিরের বাড়ির সামনে থেকে ৫০ থেকে ৬০ ফুট এবং শাহজাহান মোল্লার বাড়ির সামনে থেকে প্রায় ৩০ ফুট বাঁধ ভেঙে যায়। ভাঙন থেকে দুই বেলার জোয়ারে পানি ঢুকে শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। অনেক পরিবারে রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে গেছে। কাদাপানিতে এক দুর্বিসহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

তেড়াবেকা গ্রাম থেকে খুড়িয়াখালী গ্রাম পর্যন্ত রিং বাঁধটির দৈর্ঘ্য প্রায় দুই কিলোমিটার। এই অংশটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের মূল বেড়িবাঁধের আওতার বাইরে। গতবছর ঘূর্ণিঝড় রিমালে এই বাঁধটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তখন উপজেলা প্রশাসনের জিআর প্রকল্পের মাধ্যমে বাঁধটি সংস্কার করা হয়।

ভাঙন এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান হাওলাদার, আ. গণি হাওলাদার, হারুন ফরাজী, রিয়াজ মাঝি জানান, রিং বাঁধ ভেঙে সকাল ও রাতে দুই বেলা জোয়ারের পানি তাদের ঘরে ঢুকে পড়ছে। চুলায় পানি জমায় রান্না করতে পারছেনা অনেক পরিবার। প্রত্যেক বছর ঝড়বন্যা হলেই তাদের এই দুর্ভোগে পড়তে হয়। বাঁধটি উঁচু করে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

এব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, রিংবাঁধটি মূল বেড়িবাঁধের বাইরে। যে কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ড এখানে কোনো বড় প্রকল্প গ্রহন করতে পারছে না। দুর্যোগ কেটে গেলে সরকারি বরাদ্দ থেকে ভেঙে যাওয়া অংশ মরামতের ব্যবস্থা করা হবে। ##

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শরণখোলায় রিংবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে লোকালয়ে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

জোয়ারের পানির চাপে বৃহস্পতিবার রাতে বাগেরহাটের শরণখোলার সাউথখালী ইউনিয়নের খুড়িয়াখালী-বগী ভারাণী খালের পাশের রিং বাঁধের দুই স্থানের প্রায় ১০০ফুট ভেঙে গেছে। ভাঙা বাঁধ থেকে হু হু করে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওই এলাকার শতাধিক পরিবার।

শুক্রবার (৩০মে) সকালে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুদীপ্ত কুমার সিংহ।

জানা গেছে, জোয়ারের পানির চাপে খুড়িয়াখালী গ্রামের চুন্নু ফকিরের বাড়ির সামনে থেকে ৫০ থেকে ৬০ ফুট এবং শাহজাহান মোল্লার বাড়ির সামনে থেকে প্রায় ৩০ ফুট বাঁধ ভেঙে যায়। ভাঙন থেকে দুই বেলার জোয়ারে পানি ঢুকে শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। অনেক পরিবারে রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে গেছে। কাদাপানিতে এক দুর্বিসহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

তেড়াবেকা গ্রাম থেকে খুড়িয়াখালী গ্রাম পর্যন্ত রিং বাঁধটির দৈর্ঘ্য প্রায় দুই কিলোমিটার। এই অংশটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের মূল বেড়িবাঁধের আওতার বাইরে। গতবছর ঘূর্ণিঝড় রিমালে এই বাঁধটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তখন উপজেলা প্রশাসনের জিআর প্রকল্পের মাধ্যমে বাঁধটি সংস্কার করা হয়।

ভাঙন এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান হাওলাদার, আ. গণি হাওলাদার, হারুন ফরাজী, রিয়াজ মাঝি জানান, রিং বাঁধ ভেঙে সকাল ও রাতে দুই বেলা জোয়ারের পানি তাদের ঘরে ঢুকে পড়ছে। চুলায় পানি জমায় রান্না করতে পারছেনা অনেক পরিবার। প্রত্যেক বছর ঝড়বন্যা হলেই তাদের এই দুর্ভোগে পড়তে হয়। বাঁধটি উঁচু করে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

এব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, রিংবাঁধটি মূল বেড়িবাঁধের বাইরে। যে কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ড এখানে কোনো বড় প্রকল্প গ্রহন করতে পারছে না। দুর্যোগ কেটে গেলে সরকারি বরাদ্দ থেকে ভেঙে যাওয়া অংশ মরামতের ব্যবস্থা করা হবে। ##