ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বললেন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

নির্বাচনী রোডম্যাপের জন্য যারা হতাশ, তারা লুটপাটে হতাশ নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৫৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, নির্বাচনের রোডম্যাপের জন্য যারা হতাশ; তারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, লুটপাটে হতাশ নয়। এমনকি নিজ দলের নেতাকর্মীরা একে-অপরকে হত্যা করছে সেটা দেখেও তারা হতাশ হয় না।

মঙ্গলবার (২৭ মে) মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরাম ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সক্রিয় সহযোগী সদস্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, শুধু একটা নির্বাচন দিয়েই গণতন্ত্র উদ্ধার হয়ে যায় না, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। গণতন্ত্রের জন্য গণতান্ত্রিক দ্বারার রাজনীতি করতে হবে। চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস লালন-পালন পরিহার করতে হবে। যারা নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র উদ্বার করতে চায় বলে দাবি করে, তারা সত্যিকারের গণতন্ত্র বুঝে না। গণতন্ত্রের নামে তারা স্বৈরতন্ত্রে লিপ্ত। যারা নিজেরা নিজেদের নেতাকর্মীদের হত্যা করে, তারা কখনো জাতির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না। তারা ক্ষমতায় বসে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশে আবারো ফ্যাসিবাদ কায়েম করবে। ইতোমধ্যে কারো-কারো কর্মকান্ডে জনগণ আতঙ্কিত ও শঙ্কিত।

যারা জনগণের জন্য রাজনীতি করে তারা জনভোগান্তি সৃষ্টি করতে পারে না উল্লেখ করে ড. মাসুদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী যমুনা ঘেরাও করে কিংবা রাস্তা বন্ধ করে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্ত না করে আইনের মাধ্যমেই মুক্ত করেছে। অন্যদের চেয়ে জামায়াতে ইসলামী আরো বেশি জনশক্তি নিয়ে যমুনা ঘেরাও করতে পারতো। রাস্তা বন্ধ করে দেশবাসীর ভোগান্তি সৃষ্টি করতে পারতো। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী সেটি করেনি কারণ জামায়াতে ইসলামী জনগণের জন্য রাজনীতি করে।

তিনি আরো বলেন, মজলুম জননেতা মাওলানা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিল আদেশের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব শূণ্য করতে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে সাজানো মামলায় ফরমায়েসী রায়ে বিচারিক হত্যা করা হয়েছে। যেখানে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আজ স্বীকার করেছে ঐ বিচারের মাধ্যমে ন্যায় ভ্রষ্ট হয়েছে। এমনকি দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এস.কে সিনহা তার লেখা বইতেও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, জামায়াতের কোন নেতা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেনি, কোন নেতা রাজাকার ছিলেন না। জামায়াত নেতাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ঐ বিচার করা হয়েছে।

আগামীতে জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে দেশ পরিচালনার সুযোগ দিলে সবার আগে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে উল্লেখ করে ড. মাসুদ বলেন, কেবলমাত্র ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হলেই বৈষম্যমুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত, চাঁদাবাজ মুক্ত, দুর্নীতি মুক্ত একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র গঠন সম্ভব হবে। তাই একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে দেশবাসীকে এগিয়ে আসতে তিনি আহ্বান জানান।

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরাম ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সভাপতি মো. রিপন শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামে দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বললেন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

নির্বাচনী রোডম্যাপের জন্য যারা হতাশ, তারা লুটপাটে হতাশ নয়

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৫৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, নির্বাচনের রোডম্যাপের জন্য যারা হতাশ; তারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, লুটপাটে হতাশ নয়। এমনকি নিজ দলের নেতাকর্মীরা একে-অপরকে হত্যা করছে সেটা দেখেও তারা হতাশ হয় না।

মঙ্গলবার (২৭ মে) মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরাম ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সক্রিয় সহযোগী সদস্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, শুধু একটা নির্বাচন দিয়েই গণতন্ত্র উদ্ধার হয়ে যায় না, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। গণতন্ত্রের জন্য গণতান্ত্রিক দ্বারার রাজনীতি করতে হবে। চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস লালন-পালন পরিহার করতে হবে। যারা নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র উদ্বার করতে চায় বলে দাবি করে, তারা সত্যিকারের গণতন্ত্র বুঝে না। গণতন্ত্রের নামে তারা স্বৈরতন্ত্রে লিপ্ত। যারা নিজেরা নিজেদের নেতাকর্মীদের হত্যা করে, তারা কখনো জাতির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না। তারা ক্ষমতায় বসে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশে আবারো ফ্যাসিবাদ কায়েম করবে। ইতোমধ্যে কারো-কারো কর্মকান্ডে জনগণ আতঙ্কিত ও শঙ্কিত।

যারা জনগণের জন্য রাজনীতি করে তারা জনভোগান্তি সৃষ্টি করতে পারে না উল্লেখ করে ড. মাসুদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী যমুনা ঘেরাও করে কিংবা রাস্তা বন্ধ করে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্ত না করে আইনের মাধ্যমেই মুক্ত করেছে। অন্যদের চেয়ে জামায়াতে ইসলামী আরো বেশি জনশক্তি নিয়ে যমুনা ঘেরাও করতে পারতো। রাস্তা বন্ধ করে দেশবাসীর ভোগান্তি সৃষ্টি করতে পারতো। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী সেটি করেনি কারণ জামায়াতে ইসলামী জনগণের জন্য রাজনীতি করে।

তিনি আরো বলেন, মজলুম জননেতা মাওলানা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিল আদেশের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব শূণ্য করতে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে সাজানো মামলায় ফরমায়েসী রায়ে বিচারিক হত্যা করা হয়েছে। যেখানে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আজ স্বীকার করেছে ঐ বিচারের মাধ্যমে ন্যায় ভ্রষ্ট হয়েছে। এমনকি দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এস.কে সিনহা তার লেখা বইতেও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, জামায়াতের কোন নেতা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেনি, কোন নেতা রাজাকার ছিলেন না। জামায়াত নেতাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ঐ বিচার করা হয়েছে।

আগামীতে জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে দেশ পরিচালনার সুযোগ দিলে সবার আগে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে উল্লেখ করে ড. মাসুদ বলেন, কেবলমাত্র ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হলেই বৈষম্যমুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত, চাঁদাবাজ মুক্ত, দুর্নীতি মুক্ত একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র গঠন সম্ভব হবে। তাই একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে দেশবাসীকে এগিয়ে আসতে তিনি আহ্বান জানান।

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরাম ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সভাপতি মো. রিপন শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামে দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।