দুই ফুট পানির নিচে রংপুরের নিম্মাঞ্চল

- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে
অবিরাম বৃষ্টিতে বিভাগীয় নগরী রংপুরের ২০টি মহল্লা দেড় থেকে দুই ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগের শিকার হয়েছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ১শ ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা মে মাসের বৃষ্টিপাতের রেকর্ড বলে জানিয়েছে তারা।
এদিকে নগরীর ফুঁসফুস বলে খ্যাত শ্যামা সুন্দরী খাল ভরাট হয়ে হওয়ায় খাল খনন না করায় অবিরাম বৃষ্টিতে খাল উপচিয়ে পানি আশে পার্শ্বের হাজার হাজার বাড়ি ঘরে প্রবেশ করেছে। নগরীর উপর দিয়ে প্রবাহিত ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ শ্যামা সুন্দরীর খাল অনেক স্থানে তলিয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে খালের দুপার্শ্বে পানি প্রবেশ করে অন্তত ২৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পেেছ।
অপরদিকে প্রবল বর্ষনে নগরীর মুন্সিপাড়া , মুলাটোল , বাবু খাঁ, গোমস্তপাড়া , জুম্মাপাড়া, হনুমান তলা কামারপাড়া, দর্শনা, আলম নগর সহ অন্তত ২০ টি মহল্লা এক থেকে দেড় ফুট পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব স্থানে এক থেকে দেড় ফুট পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ দূর্ভোগের শিকার হয়েছে।
রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র মাহবৃুবার রহমান মজ্ঞু জানান অবিরাম বর্ষণ আর
শ্যামা সুন্দরী খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি ধারন করতে না পারার কারনে নগরীর নিম্নালের অন্তত ২০টির বেশী মহল্লা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফলে নগর বাসির দুর্ভোগ বেড়েছে কিন্তু পানি অপসারন করার কোন পদক্ষেপ সিটি করপোরেশন নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সরেজমিন নগরীর কামারপাড়াও বাবু খা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ওই এলাকার সব বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে রাস্তা গুলো তরিয়ে গেছে। অনেকের ঘরে পানি প্রবেশ করায় দূর্ভোগের পড়েছে শত শত পরিবার।
এদিকে রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানিয়েছেন গত দুদিনে ২শ ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধার পর আবারো বৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে অবিরাম বর্ষনের কারনে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে তবে এখনও বিপদ সীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ৮৬ সেন্টিমিটার এবং কাউনিয়া পেেয়ন্ট ৭৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান জানান সাধারনত মে মাসে তিস্তা নদীতে পানি কমই থাকে। ভারত থেকে পাহাড়ি ঢল না আসলে সাধারনত তেমন পানি থাকেনা। তবে এবার অবিরাম বর্ষন আর ভারতের উজানেও বৃষ্টি হওয়ায় তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। তবে আকস্মিক নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা নদী বেষ্টিত গঙ্গাচড়া , কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার চরাঞ্চলের ২৬টি গ্রামের অনেক এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ধান ক্ষেত সহ রবি শষ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।