ঢাকা ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদ্রাসায় গ্রন্থাগারিক নিয়োগ করতে হাইকোর্টের রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৩৩:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের ২১৮ টি দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ইতোপূর্বে ২০২১ সালে ২১৮ টি দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে দেশের বিভিন্ন দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা মৌলিক অধিকার পরিপন্থী দাবি করে এবং নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশনা চেয়ে ২১৮ জন আবেদনকারীর রিট আবেদন দাখিল করেন ।

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে এ রীটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ উক্ত রুল জারি করেছিলেন। একই সঙ্গে উক্ত পোস্টে আবেদনকারীদের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ কেনো দেওয়া হবে না সে বিষয়ে বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করেছিলেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার এর দ্বৈত বেঞ্চ রীটের পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে ২১৮ জন আবেদন কারীদের নিয়োগ প্রশ্নে রুল এবসলুট/যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন এবং তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এবিএম সিদ্দিকুর রহমান খান এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাদেরকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী নাঈম সরদার, জাওয়াদ আহমেদ সিকদার গুলজার আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান।

২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের এক সার্কুলার অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষদের সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এরপর স্ব-স্ব মাদ্রাসার অধ্যক্ষগন উক্ত পদসমূহে বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞাপন দিলে আবেদনকারীরা উক্ত পদে অন্যান্য যোগ্যতা সম্পন্ন করে আবেদন করেন। দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় উক্ত পদ সমূহে নিয়োগ সম্পন্নও হয়েছে ইতোমধ্যে।

তবে ২০২১ সালের ১৮ জুলাই কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের এক অফিস আদেশ দিয়ে দেশের বিভিন্ন দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরিবর্তে উক্ত পদ দুটি বাতিল করে পদ দুটিকে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) এবং গ্রন্থাগার প্রভাষক সৃষ্টি করে ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষার অংশ হিসেবে উক্ত পদ দুটিতে (সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী) সিলেবাস প্রণয়নসহ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশনা দিয়েছিলো। ফলে রিট আবেদনকারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। উক্ত অফিস আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিটা আবেদন করেন চাকুরী প্রার্থীরা।

রায়ের বিষয়ে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, মাদ্রাসাগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এনটিআরসি এর বিধান প্রয়োগ করার পূর্বে যেহেতু অত্র আবেদনকারীরা চাকুরীর জন্য আবেদন করেছিলেন সেহেতু এই সব পদে এনটিআরসি এর মাধ্যমে নিয়োগ না করে গভর্নিং বডি পূর্বনিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।

শিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ, মাদ্রাসা প্রধানদের বিবাদীকে করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মাদ্রাসায় গ্রন্থাগারিক নিয়োগ করতে হাইকোর্টের রায়

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৩৩:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

দেশের ২১৮ টি দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ইতোপূর্বে ২০২১ সালে ২১৮ টি দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে দেশের বিভিন্ন দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা মৌলিক অধিকার পরিপন্থী দাবি করে এবং নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশনা চেয়ে ২১৮ জন আবেদনকারীর রিট আবেদন দাখিল করেন ।

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে এ রীটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ উক্ত রুল জারি করেছিলেন। একই সঙ্গে উক্ত পোস্টে আবেদনকারীদের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ কেনো দেওয়া হবে না সে বিষয়ে বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করেছিলেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার এর দ্বৈত বেঞ্চ রীটের পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে ২১৮ জন আবেদন কারীদের নিয়োগ প্রশ্নে রুল এবসলুট/যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন এবং তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এবিএম সিদ্দিকুর রহমান খান এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাদেরকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী নাঈম সরদার, জাওয়াদ আহমেদ সিকদার গুলজার আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান।

২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের এক সার্কুলার অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষদের সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এরপর স্ব-স্ব মাদ্রাসার অধ্যক্ষগন উক্ত পদসমূহে বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞাপন দিলে আবেদনকারীরা উক্ত পদে অন্যান্য যোগ্যতা সম্পন্ন করে আবেদন করেন। দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় উক্ত পদ সমূহে নিয়োগ সম্পন্নও হয়েছে ইতোমধ্যে।

তবে ২০২১ সালের ১৮ জুলাই কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের এক অফিস আদেশ দিয়ে দেশের বিভিন্ন দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরিবর্তে উক্ত পদ দুটি বাতিল করে পদ দুটিকে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) এবং গ্রন্থাগার প্রভাষক সৃষ্টি করে ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষার অংশ হিসেবে উক্ত পদ দুটিতে (সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী) সিলেবাস প্রণয়নসহ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশনা দিয়েছিলো। ফলে রিট আবেদনকারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। উক্ত অফিস আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিটা আবেদন করেন চাকুরী প্রার্থীরা।

রায়ের বিষয়ে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, মাদ্রাসাগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এনটিআরসি এর বিধান প্রয়োগ করার পূর্বে যেহেতু অত্র আবেদনকারীরা চাকুরীর জন্য আবেদন করেছিলেন সেহেতু এই সব পদে এনটিআরসি এর মাধ্যমে নিয়োগ না করে গভর্নিং বডি পূর্বনিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।

শিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ, মাদ্রাসা প্রধানদের বিবাদীকে করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলো।