ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৈরী আবহাওয়া, ক্ষেতেই ঝরে যাচ্ছে পাকা ধান

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টানা খরার পর শুরু হয়েছে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টি। গত ১২ মে থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে নাগেশ্বরীতে শেষ মুহূর্তে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন কৃষক। ক্ষেতেই ঝরে যাচ্ছে পাকা ধান। ঝড়বৃষ্টি শুরুর আগেই কিছু কৃষক ফসল কেটে বাড়ি আনলেও সেগুলো মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন না। পানিতে ভেজা থাকছে মাটি।

কৃষক বলছেন, ভেজা ও নরম মাটিতে ধান শুকাতে দিলেই তা আরও ভিজে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে বারবার তুলে রাখতে হয়। ক্ষেতের অধিকাংশ ধান পুরোপুরি পেকে গেছে। কাটতে না পারায় ঝড়-বাতাসে শীষ থেকে ঝরে যাচ্ছে ফসল। আবার কেটে বাড়ি আনলেও মাড়াই, পরিষ্কার ও শুকাতে না পারায় ধান থেকে চারা গজিয়ে যাচ্ছে।

আব্দুর রাজ্জাক, রফিকুল ইসলাম, মোজাফ্‌ফর হোসেন, শমসের আলী, মাহবুবুর রহমান, সেকেন্দার আলী, আনিছুর রহমানসহ বিভিন্ন এলাকার অনেক কৃষক একই ধরনের কথা বলেছেন। তাদের ভাষ্য, এবার অন্যবারের তুলনায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। উৎপাদন খরচ বাদে লাভের আশা করছেন তারা। বাজারে আশানুরূপ দাম পেলে ঋণ পরিশোধ করে পরিবার নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ আশা পূরণ নিয়ে সংশয়ে আছেন জানিয়ে কৃষক বলছেন, যে অবস্থা, তাতে নির্বিঘ্নে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে উদ্বেগে আছেন। কমে গেছে দাম। প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে সাড়ে ৮৫০ টাকায়। এর চেয়ে খরচ বেশি হয়েছে। ফের ঋণে আটকে পড়তে হবে।

কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, উপজেলায় এবারে ২৩ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ২৩ হাজার ৪৫৫ হেক্টরে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৫ হেক্টর বেশি। ফলন ভালো হয়েছে।

এলাকায় চলমান মৌসুমি বৃষ্টি আগামী ২০ মে পর্যন্ত চলবে জানিয়ে রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র নরকারের ভাষ্য, একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কয়েকদিন বৃষ্টি থাকবে।

জ্যেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন বলেন, সাধারণ বৃষ্টিতে তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। শিলাবৃষ্টি হলেই সমস্যা। ৮০ শতাংশ পেকে গেলেই ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষককে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বৈরী আবহাওয়া, ক্ষেতেই ঝরে যাচ্ছে পাকা ধান

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

টানা খরার পর শুরু হয়েছে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টি। গত ১২ মে থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে নাগেশ্বরীতে শেষ মুহূর্তে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন কৃষক। ক্ষেতেই ঝরে যাচ্ছে পাকা ধান। ঝড়বৃষ্টি শুরুর আগেই কিছু কৃষক ফসল কেটে বাড়ি আনলেও সেগুলো মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন না। পানিতে ভেজা থাকছে মাটি।

কৃষক বলছেন, ভেজা ও নরম মাটিতে ধান শুকাতে দিলেই তা আরও ভিজে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে বারবার তুলে রাখতে হয়। ক্ষেতের অধিকাংশ ধান পুরোপুরি পেকে গেছে। কাটতে না পারায় ঝড়-বাতাসে শীষ থেকে ঝরে যাচ্ছে ফসল। আবার কেটে বাড়ি আনলেও মাড়াই, পরিষ্কার ও শুকাতে না পারায় ধান থেকে চারা গজিয়ে যাচ্ছে।

আব্দুর রাজ্জাক, রফিকুল ইসলাম, মোজাফ্‌ফর হোসেন, শমসের আলী, মাহবুবুর রহমান, সেকেন্দার আলী, আনিছুর রহমানসহ বিভিন্ন এলাকার অনেক কৃষক একই ধরনের কথা বলেছেন। তাদের ভাষ্য, এবার অন্যবারের তুলনায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। উৎপাদন খরচ বাদে লাভের আশা করছেন তারা। বাজারে আশানুরূপ দাম পেলে ঋণ পরিশোধ করে পরিবার নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ আশা পূরণ নিয়ে সংশয়ে আছেন জানিয়ে কৃষক বলছেন, যে অবস্থা, তাতে নির্বিঘ্নে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে উদ্বেগে আছেন। কমে গেছে দাম। প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে সাড়ে ৮৫০ টাকায়। এর চেয়ে খরচ বেশি হয়েছে। ফের ঋণে আটকে পড়তে হবে।

কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, উপজেলায় এবারে ২৩ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ২৩ হাজার ৪৫৫ হেক্টরে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৫ হেক্টর বেশি। ফলন ভালো হয়েছে।

এলাকায় চলমান মৌসুমি বৃষ্টি আগামী ২০ মে পর্যন্ত চলবে জানিয়ে রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র নরকারের ভাষ্য, একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কয়েকদিন বৃষ্টি থাকবে।

জ্যেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন বলেন, সাধারণ বৃষ্টিতে তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। শিলাবৃষ্টি হলেই সমস্যা। ৮০ শতাংশ পেকে গেলেই ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষককে।