ঢাকা ০৫:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চঞ্চল-রিয়াজ-ফেরদৌসসহ ১৪ শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা

বিশেষ প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫৪:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর সরকারি আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে শিল্পী, সাংবাদিক, শিক্ষক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মামলার ১৪ অভিনয় শিল্পী হলো- অভিনেতা রিয়াজ, ফেরদৌস আহমেদ, চঞ্চল চৌধুরী ও মামুনুর রশীদ, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, অরুণা বিশ্বাস, জ্যোতিকা জ্যোতি, শামীমা তুষ্টি, শমী কায়সার, সাজু খাদেম, আশনা হাবীব ভাবনা, সোহানা সাবা, রোকেয়া প্রাচী ও অভিনেতা জায়েদ খান।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মোট ২০১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব আসামির মধ্যে কালবেলা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, এটিএন নিউজের মুন্নী সাহাসহ ১৫ জন সাংবাদিকের নাম রয়েছে।

শিক্ষকদের মধ্যে জাফর ইকবাল, জবির সাবেক ভিসি মিজানুর রহমান, মুনতাসির মামুনসহ ১৩ জনের নাম রয়েছে। এছাড়া ইমরাম এইচ সরকার ও লাকী আক্তারেরও এ মামলার আসামি হিসেবে নাম রয়েছে।

গত ২০ মার্চ এম এ হাশেম রাজু বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে এই ঘটনার শাহবাগ থানায় আর কোনও মামলা আছে কি না, সেই সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ওই থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

মামলায় বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে গত ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টায় ভুক্তভোগী এম এ হাশেম রাজুর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পরিবাগ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে এসে পৌঁছান। তখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা ভিকটিম ও তার সঙ্গীদের গতিপথ রোধ করে। আসামিরা ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশে গুলিবর্ষণ, হাতবোমা, পেট্রোল বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিসের কাঁদানে গ্যাস, পিপার স্প্রে ও ছররা গুলিতে ভিকটিমের ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়িলে অজ্ঞাতনামা ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং পুলিশ সদস্যরা তাকে মারধর করতে থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চঞ্চল-রিয়াজ-ফেরদৌসসহ ১৪ শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫৪:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর সরকারি আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে শিল্পী, সাংবাদিক, শিক্ষক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মামলার ১৪ অভিনয় শিল্পী হলো- অভিনেতা রিয়াজ, ফেরদৌস আহমেদ, চঞ্চল চৌধুরী ও মামুনুর রশীদ, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, অরুণা বিশ্বাস, জ্যোতিকা জ্যোতি, শামীমা তুষ্টি, শমী কায়সার, সাজু খাদেম, আশনা হাবীব ভাবনা, সোহানা সাবা, রোকেয়া প্রাচী ও অভিনেতা জায়েদ খান।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মোট ২০১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব আসামির মধ্যে কালবেলা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, এটিএন নিউজের মুন্নী সাহাসহ ১৫ জন সাংবাদিকের নাম রয়েছে।

শিক্ষকদের মধ্যে জাফর ইকবাল, জবির সাবেক ভিসি মিজানুর রহমান, মুনতাসির মামুনসহ ১৩ জনের নাম রয়েছে। এছাড়া ইমরাম এইচ সরকার ও লাকী আক্তারেরও এ মামলার আসামি হিসেবে নাম রয়েছে।

গত ২০ মার্চ এম এ হাশেম রাজু বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে এই ঘটনার শাহবাগ থানায় আর কোনও মামলা আছে কি না, সেই সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ওই থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

মামলায় বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে গত ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টায় ভুক্তভোগী এম এ হাশেম রাজুর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পরিবাগ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে এসে পৌঁছান। তখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা ভিকটিম ও তার সঙ্গীদের গতিপথ রোধ করে। আসামিরা ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশে গুলিবর্ষণ, হাতবোমা, পেট্রোল বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিসের কাঁদানে গ্যাস, পিপার স্প্রে ও ছররা গুলিতে ভিকটিমের ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়িলে অজ্ঞাতনামা ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং পুলিশ সদস্যরা তাকে মারধর করতে থাকে।