ঢাকা ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুবাইয়ে অর্থ পাচার: ৭০ জনের নথি তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার ও সেকেন্ড হোম করার অভিযোগে ৭০ জনের আয়কর নথিসহ বিভিন্ন তথ্য চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের চিঠিতে তাঁদের ভিআইপি ও বিভিন্নভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের লিডার রাম প্রসাদ মণ্ডলের সই করা একটি চিঠিতে ৭০ ব্যক্তির তথ্য চাওয়া হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, অনুসন্ধানের যেকোনো পর্যায়ে দুদক অভিযুক্ত ব্যক্তির নথিপত্র তলব করতে পারে। তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সেটা আইন অনুযায়ী করে থাকেন। এই ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী কাজ করবেন।

৭০ ব্যক্তির মধ্যে যাঁদের নাম রয়েছে তারা হলো-আহসানুল করীম, আনজুমান আরা শহীদ, হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবাল, হুমায়রা সেলিম, জুরান চন্দ্র ভৌমিক, মো. রাব্বী খান, মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ অলিউর রহমান, এস এ খান ইখতেখারুজ্জামান, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, সৈয়দ ফাহিম আহমেদ, সৈয়দ হাসনাইন, সৈয়দ মাহমুদুল হক, সৈয়দ রুহুল হক, গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া, হাজী মোস্তফা ভূঁইয়া, মনজ কান্তি পাল, মো. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, মো. মাহবুবুল হক সরকার, মো. সেলিম রেজা, মোহাম্মদ ইলিয়াস বজলুর রহমান, এস ইউ আহমেদ, শেহতাজ মুন্সী খান, এ কে এম ফজলুর রহমান, আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ, চৌধুরী নাফিজ সরাফত, গুলজার আলম চৌধুরী, হাসান আশিক তাইমুর ইসলাম, হাসান রেজা মহিদুল ইসলাম, খালেদ মাহমুদ, এম সাজ্জাদ আলম, মোহাম্মদ ইয়াসিন আলী, মোস্তফা আমির ফয়সাল, রিফাত আলী ভূঁইয়া, সালিমুল হক ঈসা, হাকিম মোহাম্মদ ঈসা, সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান, সৈয়দ কামরুজ্জামান, সৈয়দ সালমান মাসুদ, সৈয়দ সাইমুল হক, আবদুল হাই সরকার, আহমেদ সামীর পাশা, ফাহমিদা শবনম চৈতি, মো. আবুল কালাম, ফাতেমা বেগম কামাল, মোহাম্মদ আল রুমান খান, মায়নুল হক সিদ্দিকী, মুনিয়া আওয়ান, সাদিক হোসেন মো. শাকিল, আবদুল্লাহ মামুন মারুফ, মোহাম্মদ আরমান হোসেন, মোহাম্মদ শওকত হোসেন সিদ্দিকী, মোস্তফা জামাল নাসের, আহমেদ ইমরান চৌধুরী, বিল্লাল হোসেন, এম এ হাশেম, মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন চৌধুরী, নাতাশা নূর মুমু, সৈয়দ মিজান মোহাম্মদ আবু হানিফ সিদ্দিকী, সায়েদা দুররাক সিনদা জারা, আহমেদ ইফজাল চৌধুরী, ফারহানা মোনেম, ফারজানা আনজুম খান, কে এইচ মশিউর রহমান, এম এ সালাম, মো. আলী হোসেন, মোহাম্মদ ইমদাদুল হক ভরসা, মোহাম্মদ ইমরান, মোহাম্মদ রোহেন কবীর, মনজিলা মোর্শেদ, মোহাম্মদ সানাউল্যাহ চৌধুরী, মোহাম্মদ সরফুল ইসলাম, সৈয়দ রফিকুল আলম ও আনিসুজ্জামান চৌধুরী।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ ও ইউরোপীয় সংগঠন ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি ২০২২ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে ২০২০ সাল পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪৫৯ জন বাংলাদেশির সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া যায়। এখন পর্যন্ত প্রতিবেদনে ৯৭২ প্রপার্টির তথ্য এসেছে সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের প্রতিবেদনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দুবাইয়ে অর্থ পাচার: ৭০ জনের নথি তলব

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার ও সেকেন্ড হোম করার অভিযোগে ৭০ জনের আয়কর নথিসহ বিভিন্ন তথ্য চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের চিঠিতে তাঁদের ভিআইপি ও বিভিন্নভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের লিডার রাম প্রসাদ মণ্ডলের সই করা একটি চিঠিতে ৭০ ব্যক্তির তথ্য চাওয়া হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, অনুসন্ধানের যেকোনো পর্যায়ে দুদক অভিযুক্ত ব্যক্তির নথিপত্র তলব করতে পারে। তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সেটা আইন অনুযায়ী করে থাকেন। এই ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী কাজ করবেন।

৭০ ব্যক্তির মধ্যে যাঁদের নাম রয়েছে তারা হলো-আহসানুল করীম, আনজুমান আরা শহীদ, হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবাল, হুমায়রা সেলিম, জুরান চন্দ্র ভৌমিক, মো. রাব্বী খান, মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ অলিউর রহমান, এস এ খান ইখতেখারুজ্জামান, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, সৈয়দ ফাহিম আহমেদ, সৈয়দ হাসনাইন, সৈয়দ মাহমুদুল হক, সৈয়দ রুহুল হক, গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া, হাজী মোস্তফা ভূঁইয়া, মনজ কান্তি পাল, মো. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, মো. মাহবুবুল হক সরকার, মো. সেলিম রেজা, মোহাম্মদ ইলিয়াস বজলুর রহমান, এস ইউ আহমেদ, শেহতাজ মুন্সী খান, এ কে এম ফজলুর রহমান, আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ, চৌধুরী নাফিজ সরাফত, গুলজার আলম চৌধুরী, হাসান আশিক তাইমুর ইসলাম, হাসান রেজা মহিদুল ইসলাম, খালেদ মাহমুদ, এম সাজ্জাদ আলম, মোহাম্মদ ইয়াসিন আলী, মোস্তফা আমির ফয়সাল, রিফাত আলী ভূঁইয়া, সালিমুল হক ঈসা, হাকিম মোহাম্মদ ঈসা, সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান, সৈয়দ কামরুজ্জামান, সৈয়দ সালমান মাসুদ, সৈয়দ সাইমুল হক, আবদুল হাই সরকার, আহমেদ সামীর পাশা, ফাহমিদা শবনম চৈতি, মো. আবুল কালাম, ফাতেমা বেগম কামাল, মোহাম্মদ আল রুমান খান, মায়নুল হক সিদ্দিকী, মুনিয়া আওয়ান, সাদিক হোসেন মো. শাকিল, আবদুল্লাহ মামুন মারুফ, মোহাম্মদ আরমান হোসেন, মোহাম্মদ শওকত হোসেন সিদ্দিকী, মোস্তফা জামাল নাসের, আহমেদ ইমরান চৌধুরী, বিল্লাল হোসেন, এম এ হাশেম, মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন চৌধুরী, নাতাশা নূর মুমু, সৈয়দ মিজান মোহাম্মদ আবু হানিফ সিদ্দিকী, সায়েদা দুররাক সিনদা জারা, আহমেদ ইফজাল চৌধুরী, ফারহানা মোনেম, ফারজানা আনজুম খান, কে এইচ মশিউর রহমান, এম এ সালাম, মো. আলী হোসেন, মোহাম্মদ ইমদাদুল হক ভরসা, মোহাম্মদ ইমরান, মোহাম্মদ রোহেন কবীর, মনজিলা মোর্শেদ, মোহাম্মদ সানাউল্যাহ চৌধুরী, মোহাম্মদ সরফুল ইসলাম, সৈয়দ রফিকুল আলম ও আনিসুজ্জামান চৌধুরী।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ ও ইউরোপীয় সংগঠন ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি ২০২২ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে ২০২০ সাল পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪৫৯ জন বাংলাদেশির সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া যায়। এখন পর্যন্ত প্রতিবেদনে ৯৭২ প্রপার্টির তথ্য এসেছে সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের প্রতিবেদনে।