‘নির্বাচনের আগেই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করতে হবে’

- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে আজ বুধবার, সকাল সাড়ে দশটায় নগরীর রেস্তোরায় চব্বিশের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের তথ্য সম্বলিত “২য় স্বাধীনতার শহীদ যারা” শীর্ষক স্মারক এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন,
শহীদদের যথাযথ মর্যাদা দেয়ার মধ্য দিয়ে জুলাই বিপ্লবের চেতনার বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি আরো বলেন গণহত্যার সাথে জড়িতরা এখনো দেশের ভিতর ঘাপটি মেরে থেকে বিশৃংখলা তৈরির চেষ্টা করছে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সরকারের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন সংস্কার দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের মাধ্যেমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে আর নির্বাচনের আগেই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর আমীর জননেতা মাওলানা ড. কেরামত আলী। রাজশাহী মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুল ও অধ্যাপক শাহাদৎ হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির রাজশাহী মহানগরের আহব্বায়ক এ্যাড. এরশাদ আলী ইশা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর মাইন উদ্দিন, জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল খালেক, নাটোর জেলা আমীর মীর নুরুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহব্বায়ক নজরুল হুদা, রাজশাহী মহানগরীর জামায়াতের নায়েবে আমীর এ্যাড. আবু মোহাম্মদ সেলিম, চাপাই নবাবগঞ্জ জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুস সবুর, রাজশাহী জেলা সেক্রেটারি গোলাম মুর্তজা, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার, মাইনুল ইসলাম, সারওয়ার জাহান প্রিন্স, সিরাজুল ইসলাম, আশরাফুল আলম ইমন, তৌহিদুর রহমান সুইট, আমিনুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সোহেল, হাফেজ নুরুজ্জামান, অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, মাওলানা রুহুল আমিন, সালাহউদ্দিন আহমেদ সহ রাজশাহী মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও থানা আমীর বৃন্দ।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে দুই হাজারেরও অধিক লোক জীবন দিয়েছেন। ৩৮ হাজার মানুষ রক্ত দিয়েছেন, পঙ্গু হয়েছেন। তাই ১৮ কোটি মানুষের দাবি, এই গণহত্যার বিচার সবার আগে সম্পন্ন করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, এখনও ফ্যাসিবাদের দোসর সরকারের ভেতরে বাহিরে বিভিন্ন জায়গায় আছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনুন। তিনি বলেন, আপনারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) ক্ষমতায় বসেন নি, আপনাদের ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। আপনারা খুব আরামে আছেন। কিন্তু শহিদ পরিবারগুলো কিভাবে আছে সেই খোঁজ আপনারা যথাযথভাবে রাখছেন না। জাতি কিন্তু সবই দেখছে, ফলে শহীদ ও আহত পরিবারের দেখভাল করা ও তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে কর্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আর ভবিষ্যতে যেন এদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে না পারে, এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ড. কেরামত আলী বলেন, জুলাই বিপ্লবের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। শহীদদের যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে। প্রিয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা ও জাতিকে আত্মনির্ভরশীল রাখতে আমাদের শপথ নিতে হবে এবং আধিপত্যবাদী ও ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এদিকে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে সারাদেশের ১১টি মহানগরীতে একযোগে মোড়ক উন্মোচনে ভার্চুয়ালি যোগদেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এবং সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো: গোলাম পরওয়ার সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।