ঢাকা ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রদলের কর্মীর হেনস্তার শিকার , লজ্বায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পটুয়াখালীর বাউফলতে ইতি দাস (১৯) নামে অনার্স পড়ুয়া ছাত্রী তার বন্ধুর সঙ্গে হোটেলে নাস্তা কারার সময় বখাটেদের ছাত্রদলের কর্মী দ্বারা হেনস্তার শিকার হন। এ ঘটনার পর মেয়েটির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মেয়েটি ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাসভবন থেকে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইতি দাস উপজেলা দাসপাড়া ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমির দাসের মেয়ে। তিনি বরিশাল বিএম কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

সংশিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে তার বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বের হন। দুপুর ১২টার দিকে তারা পাবলিক মাঠ সংলগ্ন ঢাকাইয়া ফাস্টফুড নামে এক রেস্তোরাঁয় নাস্তা খেতে যান। সেখানে স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা মহসিন হাওলাদারের ছেলে ছাত্রদলের কর্মী রিদয় রায়হান সংঘ ভঙ্গ নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং হেনস্তার পর দুই লক্ষ টাকা দাবি করেন। দীর্ঘ সময় পরে উভয়ের পরিবারকে ডেকে নিয়ে যেতে বলেন।

পূজা দাসের এক বন্ধু বাউফল থানায় গিয়ে এ-এস-আই শাহিনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। তিনি এসে তাদের থানায় নিয়ে যান থানায় গিয়ে এ-এস-আই সাহিনকে অকাথ্য ভাষায় বলেন, এটা আমাদের ব্যাপার এটা আমরা দেখবো এবং পরে ছেড়ে দেন। সাড়ে ৪টার দিকে ইতি দাস বাড়ি ফিরে নিজের কক্ষে চলে যান। রাতের খাবারের সময় তাকে ডাকতে গেলে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পান।

এ বিষয়ে রিদয় রায়হান বলেন, আমি তাদের আপত্তিকর অবস্থায় পেয়ে পরিবারকে ডেকে নিয়ে যেতে বলি। পরিবার না এসে পুলিশ পাঠালে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং মেয়েটি কান্না করতে করতে বাড়ি চলে যায়।

বাউফল থানার উপ-পরিদর্শক (এ-এসআই) শাহিন বলেন, এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে রিদয়। থানায় এক ছেলে এসে বলে আমাদের মোটরসাইকেল আটকে রেখেছে। আমি গিয়ে মটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।তখন রিদয় আমাকে অকাথ্য বাসায় বলে এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে যে মেয়ে সংক্রান্ত বিষয় আছে তা জানতাম না। আমি মেয়ের পরিবারকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি কিন্তু তারা করেনি।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ইতি দাসের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ছাত্রদলের কর্মীর হেনস্তার শিকার , লজ্বায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পটুয়াখালীর বাউফলতে ইতি দাস (১৯) নামে অনার্স পড়ুয়া ছাত্রী তার বন্ধুর সঙ্গে হোটেলে নাস্তা কারার সময় বখাটেদের ছাত্রদলের কর্মী দ্বারা হেনস্তার শিকার হন। এ ঘটনার পর মেয়েটির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মেয়েটি ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাসভবন থেকে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইতি দাস উপজেলা দাসপাড়া ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমির দাসের মেয়ে। তিনি বরিশাল বিএম কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

সংশিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে তার বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বের হন। দুপুর ১২টার দিকে তারা পাবলিক মাঠ সংলগ্ন ঢাকাইয়া ফাস্টফুড নামে এক রেস্তোরাঁয় নাস্তা খেতে যান। সেখানে স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা মহসিন হাওলাদারের ছেলে ছাত্রদলের কর্মী রিদয় রায়হান সংঘ ভঙ্গ নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং হেনস্তার পর দুই লক্ষ টাকা দাবি করেন। দীর্ঘ সময় পরে উভয়ের পরিবারকে ডেকে নিয়ে যেতে বলেন।

পূজা দাসের এক বন্ধু বাউফল থানায় গিয়ে এ-এস-আই শাহিনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। তিনি এসে তাদের থানায় নিয়ে যান থানায় গিয়ে এ-এস-আই সাহিনকে অকাথ্য ভাষায় বলেন, এটা আমাদের ব্যাপার এটা আমরা দেখবো এবং পরে ছেড়ে দেন। সাড়ে ৪টার দিকে ইতি দাস বাড়ি ফিরে নিজের কক্ষে চলে যান। রাতের খাবারের সময় তাকে ডাকতে গেলে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পান।

এ বিষয়ে রিদয় রায়হান বলেন, আমি তাদের আপত্তিকর অবস্থায় পেয়ে পরিবারকে ডেকে নিয়ে যেতে বলি। পরিবার না এসে পুলিশ পাঠালে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং মেয়েটি কান্না করতে করতে বাড়ি চলে যায়।

বাউফল থানার উপ-পরিদর্শক (এ-এসআই) শাহিন বলেন, এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে রিদয়। থানায় এক ছেলে এসে বলে আমাদের মোটরসাইকেল আটকে রেখেছে। আমি গিয়ে মটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।তখন রিদয় আমাকে অকাথ্য বাসায় বলে এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে যে মেয়ে সংক্রান্ত বিষয় আছে তা জানতাম না। আমি মেয়ের পরিবারকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি কিন্তু তারা করেনি।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ইতি দাসের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।