রেলপথ অবরোধ, ঢাকার সাথে সারাদেশের রেল চলাচল বন্ধ

- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রাজধানীর মহাখালী রেলক্রসিং অবরোধ করেছে। ফলে ঢাকার সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে মহাখালীতে রেললাইন অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় রেললাইনেই কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস আটকে যায়।
রেলওয়ে বিভাগ জানায়, শিক্ষার্থীরা লাইন অবরোধ করায় বিকেল পৌনে ৪টা থেকে ঢাকার সাথে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো সড়ক অবরোধ করার পর শিক্ষার্থীরা সোমবার মহাখালী রেলক্রসিংয়ে অবস্থান নেন। বিকেল পৌনে চারটার দিকে ৭০-৮০ জন শিক্ষার্থীদের একটি দল মিছিল নিয়ে রেলক্রসিংয়ে অবস্থান নেন।
আটকে যাওয়া ট্রেনের লোকোমাস্টার লতিফ বলেন, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৩টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে আসে। এ সময় ট্রেনের গতিসীমা ছিল ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে মহাখালী রেলগেটে দূর থেকেই লাল পতাকা ও মানুষের জটলা দেখতে পাই। পরে ট্রেনটি দ্রুত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গতি কমিয়ে থামাতে সক্ষম হই।
এর আগে দুপুর ১২টার পর দাবি আদায়ে গুলশান লিংক রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সড়কের ওপর বাঁশ ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। অবরোধ চলাকালীন অ্যাম্বুল্যান্স ও রোগী পরিবহনের গাড়ি ছাড়া অন্য গাড়ি চলতে দেবেন না।
]
এদিকে, দাবি আদায়ে ১০ জন শিক্ষার্থী গত পাঁচ দিন ধরে তিতুমীর কলেজ গেটের সামনে অনশন করছেন। এরমধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বেশ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে মিছিল, সড়ক-রেলপথ অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়।
তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেয়ে গত ২৯ জানুয়ারি বিকেল থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।