‘যত সময় লাগে লাগুক, আগে সংস্কার তারপরে নির্বাচন’

- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির ও তানোর-গোদাগাড়ী আসনের সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, যত সময় লাগে লাগুক, আগে সংস্কার তারপরে নির্বাচন। অন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব নির্বাচন করা। সংস্কারের কথা বলে কোনোভাবেই দীর্ঘ সময় পার করা যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে। কালক্ষেপন করা যাবে না। আগামী দিনে আমরা স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। জনগণ যাতে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গতকাল শনিবার বিকেলে কাকনহাট পৌরসভা অডিটোরিয়ামে গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত শ্রমিক দায়িত্বশীল সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, দেশ থেকে ভালো মানুষ কখনো পালায় না, যারা পালায় তারা চোর ডাকাত। বিগত সময়ে যারা গুম ও খুন করেছে তাদের সবাইকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। কাউকে কোনোভাবে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। সম্মেলনে আসা দায়িত্বশীলদের উদ্দেশে তিনি বলেন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম কখন বন্ধ হবে জানেন কি? চাঁদাবাজি বন্ধ হবে একমাত্র আল্লাহর আইন চালু হলে। আল্লাহর আইন ছাড়া চাঁদাবাজি বন্ধ হবে না। সৎ লোকের শাসন কায়েম হবে না। এ জাতি আর স্বৈরশাসক দেখতে চায় না।
দায়িত্বশীলদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম কার আইন চালু করতে চায়? তখন নেতাকর্মীরা বলে ওঠেন আল্লাহর আইন চালু করতে চায়। কোরআন পড়া ছাড়া, কোরআনের পথে চলা ছাড়া আল্লাহ তায়ালার সুপারিশ পাওয়া যাবে না। দায়িত্বশীলদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সাথে পড়তে হবে। নামাজ পড়তে যাওয়া আসার পথে নামাজের দাওয়াত দিতে হবে। সৎ লোকের শাসনের জন্য ভোটের কথা বলতে হবে। দাওয়াতী কাজ অব্যাহত রাখতে। এখন থেকেই ভোটের জন্য কাজ শুরু করতে হবে। যে টাকা আল্লাহ তায়ালার পথে দান করা হবে তা শুধু সাথে যাবে। আল্লাহ তায়লার আইন প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যয় করলে সেটাও সাথে যাবে। জান ও মালের সর্বোচ্চ কোরবানি করতে হবে।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রাজশাহী জেলার সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রাজশাহী জেলার সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুল কাদিরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রাজশাহী জেলার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোঃ আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রাজশাহী অঞ্চল পরিচালক মোঃ আব্দুস সবুর।
আরও বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রাজশাহী জেলার সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোঃ জামিলুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রাজশাহী জেলা সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম । দায়িত্বশীল সম্মেলনে দুই উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।