ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মন্ত্রীত্ব ফির পেতে পারেন টিউলিপ!   পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয় নিত্যপণ্যের বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ সমাবেশ গাইবান্ধা প্রিপেইড মিটারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ফুটপাত দখলমুক্ত করতে যশোরে এসপির অভিযান টাঙ্গাইলের চরাঞ্চলে মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের সম্মাননা ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প  টাঙ্গাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক খানকে বিদায় সংবর্ধনা সংসদের মেয়াদ চার বছর, দু’বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা

সাদুল্যাপুরে দ্বন্দ্বে গুডসেক সংস্থার অচলাবস্থা

সরকার লুৎফর রহমান,গাইবান্ধা
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাইবান্ধা সাদুল্যাপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সংস্থা ‘গ্রাম উন্নয়ন ও দুঃস্থ সেবা কেন্দ্র’ (গুডসেক) অচলাবস্থা  কাটছে না। এটি পূণরায় সচল করে জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের দাবি সচেতন মহলের।

উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বড় জামালপুর গ্রামস্থ গুডসেক এ সম্প্রতি সংস্থার বিধি বহির্ভূতভাবে কমিটি গঠনের পায়তারা চলছে বলে সূত্রে জানা যাচ্ছে।

আরও  জানা যায়, ৪নং জামালপুর ইউনিয়নের বড় জামালপুর গ্রামের মৃত হেসাব উদ্দিন মন্ডলের ছেলে এমএ কাইয়ুম মন্ডলের উদ্যোগে ‘কাঙ্গাল উন্নয়ন কেন্দ্র’ নামে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর গত ১৯৮৬ সালে বড় জামালপুর গ্রামস্থ প্রতিষ্ঠানটির নিববন্ধন নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে এ প্রতিষ্ঠানে নাম পরিবর্তন করে  ’গ্রাম উন্নয়ন ও দুঃস্থ সেবা কেন্দ্র’ (গুডসেক) নামকরণ করা হয়েছে। এর গঠনতন্ত্রে এমএ কাইয়ুম মন্ডল, আব্দুস সামাদ আকন্দ, মোস্তাফিজার রহমান মিঠু, জিল্লুর রহমান খন্দকার ও জরিনা বেগমসহ মোট পাঁচজনকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাখা হয়। এরপর থেকে সরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। এতে করে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থানসহ অসহায় দুঃস্থ হাজারো পরিবার প্রকল্প সমূহের সুবিধা পেয়েছেন।

এ ধারাবাহীকতার একপর্যায়ে ১৯৯৮ সালের দিকে কতিপয় স্বার্থন্বেশী ব্যক্তির অপতৎপরতায় গুডসেকের সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে এবং অগঠনতান্ত্রিকভাবে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করে সংস্থার নামীয় সম্পদের বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করেন বলে অভিযোগ । এ অবস্থায় গত বছরের ডিসেম্বরের দিকে সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর থেকে নতুন কমিটি গঠন কল্পে শুরু হয়েছে রশি টানাটানি। এ নিয়ে গত ১০ অক্টোবর সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্দুস সামাদ আকন্দ স্বাক্ষরিত একটি কমিটি সমাজসেবা অফিসে দাখিল করেছেন। অপরদিকে ২৭ অক্টোবর ছামছুল হাসান ছামছুল ও শহিদুল ইসলাম শিপন স্বাক্ষরিত আরেকটি কমিটি জমা করেছেন। আর এই কমিটির অনুমোদন নেওয়ার জন্য উভয় পক্ষই জোর চেষ্টায় রয়েছে বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম শিপন বলেন- সমাজসেবা অধিদফতরে আমরা একটি কমিটি দাখিল করেছি।

স্থানীয় বাসিন্দা মামুন মন্ডল বলেন, প্রতিহিংসার কারণে গুডসেকের কার্যক্রমগুলো স্থবির হয়ে পড়ছে। এলাকার জনস্বার্থে সংস্থার গঠনতন্ত্র মোতাবেক নতুন করে কমিটি গঠন দরকার। সেইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সচল করে প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টাও জরুরি।

গুডসেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু বলেন, এর আগে কতিপয় স্বার্থন্বেশী ব্যক্তি নামসর্বস্ব কমিটি দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটির অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ

করেছে। এ থেকে পরিত্রাণে সংস্থার গঠনতন্ত্রের বিধি অনুযায়ী নতুন কমিটি অনুমোদনের জন্য সমাজসেবা অধিদফতরে নতুন কমিটি দাখিল করা হয়েছে।

সাদুল্যাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায় জানান- গুডসেকের পৃথক দুটি কমিটি দাখিল করেছে। একই প্রতিষ্ঠানে দুই কমিটি হতে পারে না। তাদের গঠনতন্ত্র মোতাবেক একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সাদুল্যাপুরে দ্বন্দ্বে গুডসেক সংস্থার অচলাবস্থা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

গাইবান্ধা সাদুল্যাপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সংস্থা ‘গ্রাম উন্নয়ন ও দুঃস্থ সেবা কেন্দ্র’ (গুডসেক) অচলাবস্থা  কাটছে না। এটি পূণরায় সচল করে জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের দাবি সচেতন মহলের।

উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বড় জামালপুর গ্রামস্থ গুডসেক এ সম্প্রতি সংস্থার বিধি বহির্ভূতভাবে কমিটি গঠনের পায়তারা চলছে বলে সূত্রে জানা যাচ্ছে।

আরও  জানা যায়, ৪নং জামালপুর ইউনিয়নের বড় জামালপুর গ্রামের মৃত হেসাব উদ্দিন মন্ডলের ছেলে এমএ কাইয়ুম মন্ডলের উদ্যোগে ‘কাঙ্গাল উন্নয়ন কেন্দ্র’ নামে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর গত ১৯৮৬ সালে বড় জামালপুর গ্রামস্থ প্রতিষ্ঠানটির নিববন্ধন নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে এ প্রতিষ্ঠানে নাম পরিবর্তন করে  ’গ্রাম উন্নয়ন ও দুঃস্থ সেবা কেন্দ্র’ (গুডসেক) নামকরণ করা হয়েছে। এর গঠনতন্ত্রে এমএ কাইয়ুম মন্ডল, আব্দুস সামাদ আকন্দ, মোস্তাফিজার রহমান মিঠু, জিল্লুর রহমান খন্দকার ও জরিনা বেগমসহ মোট পাঁচজনকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাখা হয়। এরপর থেকে সরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। এতে করে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থানসহ অসহায় দুঃস্থ হাজারো পরিবার প্রকল্প সমূহের সুবিধা পেয়েছেন।

এ ধারাবাহীকতার একপর্যায়ে ১৯৯৮ সালের দিকে কতিপয় স্বার্থন্বেশী ব্যক্তির অপতৎপরতায় গুডসেকের সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে এবং অগঠনতান্ত্রিকভাবে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করে সংস্থার নামীয় সম্পদের বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করেন বলে অভিযোগ । এ অবস্থায় গত বছরের ডিসেম্বরের দিকে সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর থেকে নতুন কমিটি গঠন কল্পে শুরু হয়েছে রশি টানাটানি। এ নিয়ে গত ১০ অক্টোবর সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্দুস সামাদ আকন্দ স্বাক্ষরিত একটি কমিটি সমাজসেবা অফিসে দাখিল করেছেন। অপরদিকে ২৭ অক্টোবর ছামছুল হাসান ছামছুল ও শহিদুল ইসলাম শিপন স্বাক্ষরিত আরেকটি কমিটি জমা করেছেন। আর এই কমিটির অনুমোদন নেওয়ার জন্য উভয় পক্ষই জোর চেষ্টায় রয়েছে বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম শিপন বলেন- সমাজসেবা অধিদফতরে আমরা একটি কমিটি দাখিল করেছি।

স্থানীয় বাসিন্দা মামুন মন্ডল বলেন, প্রতিহিংসার কারণে গুডসেকের কার্যক্রমগুলো স্থবির হয়ে পড়ছে। এলাকার জনস্বার্থে সংস্থার গঠনতন্ত্র মোতাবেক নতুন করে কমিটি গঠন দরকার। সেইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সচল করে প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টাও জরুরি।

গুডসেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু বলেন, এর আগে কতিপয় স্বার্থন্বেশী ব্যক্তি নামসর্বস্ব কমিটি দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটির অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ

করেছে। এ থেকে পরিত্রাণে সংস্থার গঠনতন্ত্রের বিধি অনুযায়ী নতুন কমিটি অনুমোদনের জন্য সমাজসেবা অধিদফতরে নতুন কমিটি দাখিল করা হয়েছে।

সাদুল্যাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায় জানান- গুডসেকের পৃথক দুটি কমিটি দাখিল করেছে। একই প্রতিষ্ঠানে দুই কমিটি হতে পারে না। তাদের গঠনতন্ত্র মোতাবেক একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।