ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে তেতুলিয়ায় বিক্ষোভ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:০১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ ও ন্যায্য দাবিদাওয়া বাস্তবায়নের দাবিতে তেতুলিয়া অনিদিষ্ট কাল কর্মবিরতি ও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। মঙ্গলবারে ১৪ অক্টোবর সকালে তেতুলিয়া উপজেলা শাখার শিক্ষক সমিতির আয়োজন তেতুলিয়া চৌরাস্তা বাজার তেতুল তলায় বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল করা হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন তেতুলিয়া ভজনপুর সহকারী প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান, সিপাই পাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম রাসেল, শালবাহান সহকারী শিক্ষক সোহরাব আলী, সিপাইপাড়ার শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম, শালবাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আবু জাফর, কালানদীগঞ্জ মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা অধ্যক্ষ ওসমান গনী, ভজনপুর ডিগ্রী কলেজ অধ্য ক্ষ হাবিবুর রহমান, কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ কলেজ মোঃ এমদাদুল হক, মাঝি পাড়া কলেজ জহিরুল ইসলাম, ফকির পাড়া শিক্ষক আজিজুল হক প্রমুখ বক্তব্য পেশ করেন। শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে না পেরে ফিরে যায়।

তেতুলিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে বিএনপি,কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নওশাদ জমির এনসিপি আহবায়ক অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী কমান্ডো হাবিবুর রহমান একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।

শিক্ষকরা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই তারা বাড়িভাড়ার সঙ্গে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিলেন। এই দাবিতে ঢাকায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে গেলে পুলিশ তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে এবং শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ চালায়।

সিপাই পাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম রাসেল, শালবাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তেতুলিয়া উপজেলা শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব আলী বলেন, সারাদেশের মতো আমাদের বিদ্যালয়েও কর্মবিরতি চলছে। এর ফলে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সরকার যত দ্রুত আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে, আমরা তত দ্রুত ক্লাসে ফিরব।

বলেন, একটি জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সারা বিশ্বে শিক্ষকদের মর্যাদা দেওয়া হয়, আমরা বাংলাদেশেও সেই মর্যাদা চাই। শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আমরা কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশ
মিছিল ও মানববন্ধন করেছি। অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

শিক্ষক নেতারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি দ্রুত দাবি পূরণ না করে, তবে আন্দোলনের পরিধি আরও বিস্তৃত করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে তেতুলিয়ায় বিক্ষোভ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:০১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ ও ন্যায্য দাবিদাওয়া বাস্তবায়নের দাবিতে তেতুলিয়া অনিদিষ্ট কাল কর্মবিরতি ও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। মঙ্গলবারে ১৪ অক্টোবর সকালে তেতুলিয়া উপজেলা শাখার শিক্ষক সমিতির আয়োজন তেতুলিয়া চৌরাস্তা বাজার তেতুল তলায় বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল করা হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন তেতুলিয়া ভজনপুর সহকারী প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান, সিপাই পাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম রাসেল, শালবাহান সহকারী শিক্ষক সোহরাব আলী, সিপাইপাড়ার শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম, শালবাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আবু জাফর, কালানদীগঞ্জ মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা অধ্যক্ষ ওসমান গনী, ভজনপুর ডিগ্রী কলেজ অধ্য ক্ষ হাবিবুর রহমান, কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ কলেজ মোঃ এমদাদুল হক, মাঝি পাড়া কলেজ জহিরুল ইসলাম, ফকির পাড়া শিক্ষক আজিজুল হক প্রমুখ বক্তব্য পেশ করেন। শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে না পেরে ফিরে যায়।

তেতুলিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে বিএনপি,কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নওশাদ জমির এনসিপি আহবায়ক অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী কমান্ডো হাবিবুর রহমান একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।

শিক্ষকরা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই তারা বাড়িভাড়ার সঙ্গে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিলেন। এই দাবিতে ঢাকায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে গেলে পুলিশ তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে এবং শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ চালায়।

সিপাই পাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম রাসেল, শালবাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তেতুলিয়া উপজেলা শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব আলী বলেন, সারাদেশের মতো আমাদের বিদ্যালয়েও কর্মবিরতি চলছে। এর ফলে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সরকার যত দ্রুত আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে, আমরা তত দ্রুত ক্লাসে ফিরব।

বলেন, একটি জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সারা বিশ্বে শিক্ষকদের মর্যাদা দেওয়া হয়, আমরা বাংলাদেশেও সেই মর্যাদা চাই। শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আমরা কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশ
মিছিল ও মানববন্ধন করেছি। অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

শিক্ষক নেতারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি দ্রুত দাবি পূরণ না করে, তবে আন্দোলনের পরিধি আরও বিস্তৃত করা হবে।