আকাশে চিনা বিমানবহর, সাগরে ৬ রণতরী, যুদ্ধপ্রস্তুতি ‘ড্রাগনে’র
অশান্তির কালো মেঘ পূর্ব এশিয়ায়
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৩৬:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ২৮ বার পড়া হয়েছে
মধ্যপ্রাচ্যে ‘ভোরের আলো’ ফুটলেও, অশান্তির কালো মেঘ পূর্ব এশিয়ায়। ড্রাগনের আগ্রাসনে কোণঠাসা তাইওয়ান। এবার ১৩টি যুদ্ধবিমান ও ৬টি চিনা রণতরীকে দেখা গেল তাইওয়ান অঞ্চলে। সোমবার এমনটাই দাবি করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক।
যেখানে বলা হয়েছে, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ৮টি বিমান তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করে তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্ব বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছে। এই ঘটনা সামনে আসতেই উদ্বেগ বেড়েছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তাইওয়ানের আশেপাশের অঞ্চলে ১৩টি চিনা যুদ্ধবিমান ও ৬টি রণতরী দেখা গিয়েছে। এরমধ্যে ৮টি বিমান তাইওয়ানের এডিআইজেড অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে এবং যথাযথ পদক্ষেপ করছে। জানা যাচ্ছে, গত রবিবার ১৬টি যুদ্ধবিমান ও ৮টি রণতরীকে তাইওয়ান অঞ্চলে দেখা গিয়েছিল যার মধ্যে ১৩টি প্রবেশ করেছিল এই ADIZ অঞ্চলে। এই নিয়ে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে দু’বার তাইওয়ানে ঢুকল ড্রাগন ফৌজ।
উল্লেখ্য, বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন। বেজিংয়ে (Beijing) ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি।
তারপর থেকেই আরও সতর্ক হয়ে গিয়েছে দেশটি। লালফৌজের হামলা ঠেকাতে সামরিক বাহিনীকে অত্যাধুনিক হাতিয়ারে সাজিয়ে তুলছে তাইওয়ান। দ্বীপরাষ্ট্র হওয়ার সুবাদে সমুদ্রেই চিনকে রুখে দিতে সেখানে তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক সাবমেরিন বাহিনী।
তবে আগ্রাসী চিনও দমবার পাত্র নয়, লাগাতার তাইওয়ানে অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছে লালফৌজের বিরুদ্ধে। নতুন করে এই অনুপ্রবেশের ঘটনায় কূটনৈতিক মহলের দাবি, আসলে চিন চাইছে তাইওয়ানকে চাপে রাখতে। যার জেরে প্রায়শই তাইওয়ান সীমান্তে উঁকি দিতে দেখা যায় চিনের রণতরীকে। তবে এবার তাইওয়ান অঞ্চলে এতগুলি চিনা রণতরী ও যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

























