দেশের তিন প্রধান রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে আমেরিকা। ওই চিঠিতে নির্বাচন নিয়ে মার্কিন সরকারের অবস্থানও তুলে ধরা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) মার্কিন দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাননো হয়, আমেরিকার সরকারের পক্ষে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতাদের কাছে মার্কিন এই বার্তা পৌঁছে দেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বিজ্ঞপ্তিতে সহিংসতা পরিহার ও সহনশীল থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরিচালিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় আমেরিকা। এছাড়া আমেরিকা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেয় না। সব পক্ষকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বানও জানানো হয় চিঠিতে।
একই সাথে চিঠিতে নির্বাচনে বাধা প্রদানকারীদের জন্য মার্কিন ভিসানীতির বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
চলতি একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষের পথে। চলছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। আর এই নির্বাচন ঘিরে তৎপরতা বাড়িয়েছে আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো। দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নিয়মিত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করছেন।
গত ৮ নভেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম রাষ্ট্রদূতদের সীমালঙ্ঘন না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তাদের শুধু কালচারাল স্পেস দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশই নেবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ মুহূর্তে বিদেশি কূটনীতিকদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।’
এদিকে, বিএনপি ও তার শরীক দলগুলো নিরপেক্ষ এবং নির্দলীয় সরকারের দাবিতে হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগের দাবি উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তা আর ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদে রেখেই, নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।