শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:২৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
নতুন নিয়োগ পাওয়া সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ২৩ বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। বুধবার (৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
এর আগে মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতিদের নিয়োগ দিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি।
তাতে বলা হয়, সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো।
নিয়োগ পাওয়া বিচারকরা হলো- মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, শিকদার মাহমুদুর রাজী, মো. সগীর হোসেন,দেবাশীষ রায় চৌধুরী।
জানা গেছে, বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে নবনিযুক্ত ২৩ বিচারপতিকে শপথ পড়াবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এটিই সুপ্রিম কোর্টে সবচেয়ে বড় বিচারপতি নিয়োগের ঘটনা।
সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগদান করবেন।
অযোগ্যতার বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগের ‘যোগ্যতা’র বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট। তবে ‘অযোগ্যতা’র বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে সংবিধানে। সংবিধান অনুযায়ী ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত বিচারপতি পদে থাকা যায়।
সংবিধানে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক না হলে, সুপ্রিম কোর্টে অন্যূন দশ বছর অ্যাডভোকেট না থাকলে অথবা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যে অন্যূন দশ বছরের কোনো বিচার বিভাগীয় পদে অধিষ্ঠান না করে থাকলে অথবা সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগলাভের জন্য আইনের দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা না থেকে থাকলে তিনি বিচারক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দুই বছরের জন্য এই নিয়োগ দেন।