ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন

ভোটের ৪ বছর পর মেয়র হলেন বিএনপি নেতা শাহাদাত

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৫৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪ ২৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন বাতিল চেয়ে নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও মেয়র প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেনের দায়ের করা মামলায় তাকে মেয়র ঘোষণা করেছেন আদালত।

একইসঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত এ রায় দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী জানান, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও ফল বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। রায়ে সদ্য অপসারিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে অবৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। রায়ের সময় আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে মেয়র নির্বাচিত করা হয়। এতে রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ এবং তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান।

ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি চসিকের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিনের আদালতে নয়জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেন ডা. শাহাদাত।

মামলার নয়জন বিবাদী হলো- আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা, সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, মেয়র প্রার্থী আবুল মনসুর, এম এ মতিন, খোকন চৌধুরী, ওয়াহিদ মুরাদ ও জান্নাতুল ইসলাম।

এদিকে গত ৫ আগস্টে সরকার পতনের পর ১৯ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিমকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। পরে চসিকে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম চালানোর জন্য বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামকে প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন

ভোটের ৪ বছর পর মেয়র হলেন বিএনপি নেতা শাহাদাত

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৫৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন বাতিল চেয়ে নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও মেয়র প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেনের দায়ের করা মামলায় তাকে মেয়র ঘোষণা করেছেন আদালত।

একইসঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত এ রায় দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী জানান, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও ফল বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। রায়ে সদ্য অপসারিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে অবৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। রায়ের সময় আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে মেয়র নির্বাচিত করা হয়। এতে রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ এবং তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান।

ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি চসিকের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিনের আদালতে নয়জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেন ডা. শাহাদাত।

মামলার নয়জন বিবাদী হলো- আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা, সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, মেয়র প্রার্থী আবুল মনসুর, এম এ মতিন, খোকন চৌধুরী, ওয়াহিদ মুরাদ ও জান্নাতুল ইসলাম।

এদিকে গত ৫ আগস্টে সরকার পতনের পর ১৯ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিমকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। পরে চসিকে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম চালানোর জন্য বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামকে প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।