ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টি হবে টানা ৪ দিন, জানালো আবহাওয়া অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪ ২৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সারা দেশে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে টানা ৪ দিন বৃষ্টি হতে পারে। এমনটাই আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে সারা দেশে টানা বৃষ্টি শুরু হবে। যা আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলবে। বিশেষ করে সিলেটে ভারি বৃষ্টি ও ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম অঞ্চলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে সিলেটে। এ সময় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মোংলায় ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদীর পানি কমে আগামী ৩ দিনে উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সাথে দেশের কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগে মাসের শুরুতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিলো, সেপ্টেম্বর মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টি হতে পারে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। গত আগস্ট মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছিল। বেশি বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ২০ আগস্টের পর থেকে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্তত ১১ জেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়। এরপর অবশ্য বৃষ্টি কমে যায়। চলতি মাসের শুরু থেকে বৃষ্টি যেমন বেড়েছে, তেমনি প্রচণ্ড গরমও পড়েছিলো। কোনো কোনো দিন দেশের ২০ থেকে ২২টি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহও বয়ে গেছে। বৃষ্টি ও গরমের মধ্যেই মাস কেটেছে।

বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বুলেটিনে বলা হয়, রংপুর বিভাগের তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি কমছে। ধরলা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে এসেছে। এর ফলে আগামী ৩ দিন তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি কমতে পারে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী সংলগ্ন চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। রংপুর বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদী- আত্রাই, পুনর্ভবা, করতোয়া, টাঙ্গন ও যমুনেশ্বরী নদীর পানি কমছে।

বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ইছামতি-যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। অন্যদিকে ঘাঘট নদীর পানি সমতল বাড়ছে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রংপুর বিভাগের এসব নদীর পানি আগামী তিন দিন কমতে পারে। রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৫ দিন ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বাড়তে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

রাজশাহী বিভাগে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। তবে তা এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আত্রাই, বাঙ্গালি, করতোয়া ও ছোট যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। অন্যদিকে মহানন্দা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে। তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বৃষ্টি হবে টানা ৪ দিন, জানালো আবহাওয়া অফিস

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

সারা দেশে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে টানা ৪ দিন বৃষ্টি হতে পারে। এমনটাই আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে সারা দেশে টানা বৃষ্টি শুরু হবে। যা আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলবে। বিশেষ করে সিলেটে ভারি বৃষ্টি ও ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম অঞ্চলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে সিলেটে। এ সময় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মোংলায় ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদীর পানি কমে আগামী ৩ দিনে উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সাথে দেশের কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগে মাসের শুরুতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিলো, সেপ্টেম্বর মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টি হতে পারে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। গত আগস্ট মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছিল। বেশি বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ২০ আগস্টের পর থেকে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্তত ১১ জেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়। এরপর অবশ্য বৃষ্টি কমে যায়। চলতি মাসের শুরু থেকে বৃষ্টি যেমন বেড়েছে, তেমনি প্রচণ্ড গরমও পড়েছিলো। কোনো কোনো দিন দেশের ২০ থেকে ২২টি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহও বয়ে গেছে। বৃষ্টি ও গরমের মধ্যেই মাস কেটেছে।

বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বুলেটিনে বলা হয়, রংপুর বিভাগের তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি কমছে। ধরলা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে এসেছে। এর ফলে আগামী ৩ দিন তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি কমতে পারে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী সংলগ্ন চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। রংপুর বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদী- আত্রাই, পুনর্ভবা, করতোয়া, টাঙ্গন ও যমুনেশ্বরী নদীর পানি কমছে।

বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ইছামতি-যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। অন্যদিকে ঘাঘট নদীর পানি সমতল বাড়ছে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রংপুর বিভাগের এসব নদীর পানি আগামী তিন দিন কমতে পারে। রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৫ দিন ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বাড়তে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

রাজশাহী বিভাগে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। তবে তা এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আত্রাই, বাঙ্গালি, করতোয়া ও ছোট যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। অন্যদিকে মহানন্দা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে। তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।