বিদেশে বেনজীরের সম্পদের খোঁজে দুদক
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:০৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪ ১০৫ বার পড়া হয়েছে
পুলিশের সাবেক মহাপরিচালক (আইজিপি) ও তার পরিবারের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাবেক এই আইজিপির কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে, তা জানতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাধ্যমে ওই সব দেশে তথ্য চেয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (২৯ মে) সকালে দুদকের উপপরিচালক হাফিজুর রহমান এই চিঠি পাঠিয়েছেন।
বিএফআইইউ সংস্থাটি ‘এগমন্ট গ্রুপ’ নামের একটি ফোরামের সদস্য। এই ফোরাম বিশ্বের ১৭০টি দেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত, যারা অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নসংক্রান্ত তথ্য নিয়ে কাজ করে।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৬৩১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ৩৩টি ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে সাবেক আইজিপি বেনজিরের। এছাড়াও বিদেশে তার বিপুল সম্পদ রয়েছে বলে সন্দেহ করছে দুদক। সেই তথ্য অনুসুন্ধানের জন্য বিএফআইইউকে চিঠি দিয়েছে তারা।
এদিকে, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে আগামী ৬ জুন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া তার পরিবারের সদস্যদের ৯ জুন তলব করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ২৩ মে বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি ও ২৭টি ব্যাংকের ৩৩টি আকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। এরপর ২৬ মে একই আদালত তিনি ও তার স্ত্রী এবং তিন সন্তানের আরও ১১৯টি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দেরও নির্দেশ দেন।
গত ২৫ এপ্রিল বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে চিঠি দেয় দুদক। এছাড়া, এফডিআর, সঞ্চয়পত্রসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়ে জয়েন্ট স্টক, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরেও চিঠি দেয় সংস্থাটি।
এদিকে, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের নামে থাকা বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন বেনজীর আহমেদ। এর আগে, তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাব এবং র্যাবের সাবেক ও বর্তমান যে সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল। তখন তিনি আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন।