ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৌনে ২৯ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার , মিয়ানমার নাগরিক

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪ ২৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজার টেকনাফে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা টাকা মূল্যের ২৯.১৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার ও বাংলাদেশী ২৬ হাজার ১০ টাকা উদ্ধার ও দুই মিয়ানমার নাগরিক আটক করেছে।

আটককৃতরা হলো- উখিয়া ১ নং কুতুপালং এফডিএমএন ক্যাম্পের ইয়াহিয়া খান (৪৫), অপরজন মায়ানমার নাগরিক আনোয়ার সাদেক (৪০)।

শনিবার (১০ আগস্ট) বিজিবি অভিযান চালিয়ে ২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মূল্যমানের ২৯.১৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার এবং বাংলাদেশী নগদ ২৬ হাজার ১০ টাকা জব্দ করে। এ সময় দুইজনকে আটক করা হয়।

টেকনাফ-২ বিজিবি’র অধিনায়ক লে: কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ এ বিষয়ে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৩ হতে আনুমানিক ১০০ মিটার উত্তর দিকে উত্তর ফুলের ডেইল নামক গ্রামে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে চোরাকারবারিরা স্বর্ণের একটি বড় চালান একটি বাড়ীতে লুকায়িত রেখেছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদরের চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল দ্রুত উত্তর ফুলের ডেইল গ্রামে গমন করত: পূর্বে প্রাপ্ত বর্ণনা অনুযায়ী সন্দেহভাজন বাড়ীতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ীতে অবস্থানরত সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল চোরাকারবারিদের দুইটি ব্যাগসহ আটক করে। উদ্ধার হওয়া ব্যাগ থেকে ২৯.১৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার এবং বাংলাদেশী নগদ ২৬ হাজার ১০ টাকা জব্দ করা হয়।

চোরাকারবারিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাংলাদেশে এফডিএমএন ক্যাম্পে অবস্থানরত ইয়াহিয়া খান মায়ানমারের মংডু হতে মায়ানমার নাগরিক আনোয়ার সাদেকের সহযোগিতায় উল্লেখিত স্বর্ণালংকার বাংলাদেশে পাচারের মাধ্যমে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে মায়ানমার হতে বাংলাদেশে নিয়ে আসে।

আরও জানা গেছে, উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকার এবং বাংলাদেশী টাকা কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ট্রেজারি শাখায়) জমা করে আটক দুই আসামীর বিরুদ্ধে সরকারী কর/শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণ চোরাচালানের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পৌনে ২৯ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার , মিয়ানমার নাগরিক

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

কক্সবাজার টেকনাফে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা টাকা মূল্যের ২৯.১৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার ও বাংলাদেশী ২৬ হাজার ১০ টাকা উদ্ধার ও দুই মিয়ানমার নাগরিক আটক করেছে।

আটককৃতরা হলো- উখিয়া ১ নং কুতুপালং এফডিএমএন ক্যাম্পের ইয়াহিয়া খান (৪৫), অপরজন মায়ানমার নাগরিক আনোয়ার সাদেক (৪০)।

শনিবার (১০ আগস্ট) বিজিবি অভিযান চালিয়ে ২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মূল্যমানের ২৯.১৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার এবং বাংলাদেশী নগদ ২৬ হাজার ১০ টাকা জব্দ করে। এ সময় দুইজনকে আটক করা হয়।

টেকনাফ-২ বিজিবি’র অধিনায়ক লে: কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ এ বিষয়ে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৩ হতে আনুমানিক ১০০ মিটার উত্তর দিকে উত্তর ফুলের ডেইল নামক গ্রামে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে চোরাকারবারিরা স্বর্ণের একটি বড় চালান একটি বাড়ীতে লুকায়িত রেখেছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদরের চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল দ্রুত উত্তর ফুলের ডেইল গ্রামে গমন করত: পূর্বে প্রাপ্ত বর্ণনা অনুযায়ী সন্দেহভাজন বাড়ীতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ীতে অবস্থানরত সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল চোরাকারবারিদের দুইটি ব্যাগসহ আটক করে। উদ্ধার হওয়া ব্যাগ থেকে ২৯.১৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার এবং বাংলাদেশী নগদ ২৬ হাজার ১০ টাকা জব্দ করা হয়।

চোরাকারবারিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাংলাদেশে এফডিএমএন ক্যাম্পে অবস্থানরত ইয়াহিয়া খান মায়ানমারের মংডু হতে মায়ানমার নাগরিক আনোয়ার সাদেকের সহযোগিতায় উল্লেখিত স্বর্ণালংকার বাংলাদেশে পাচারের মাধ্যমে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে মায়ানমার হতে বাংলাদেশে নিয়ে আসে।

আরও জানা গেছে, উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকার এবং বাংলাদেশী টাকা কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ট্রেজারি শাখায়) জমা করে আটক দুই আসামীর বিরুদ্ধে সরকারী কর/শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণ চোরাচালানের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।