পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়লো প্রেসিডেন্ট রইসির হেলিকপ্টার
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ ১১৪ বার পড়া হয়েছে
পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ল ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির হেলিকপ্টার। ওই হেলিকপ্টারেই আরও ছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ান।
ইরান প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছে, একটি পার্বত্য অঞ্চল পেরিয়ে যাওয়ার সময় হেলিকপ্টারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। প্রবল বৃষ্টি আর ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাস্থলে দৃশ্যমানতা খুব কম ছিলো।
ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং ওই দেশের বিদেশমন্ত্রীর অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা এখনই হাল ছেড়ে দিচ্ছি না। তবে যেখানে হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়েছে, সেই এলাকাটা আমাদের চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে।
প্রথম জানা যায়, রইসির হেলিকপ্টার অবতরণের সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। কোনো রকমে অবতরণ করলেও হেলিকপ্টারের ভিতর থাকা রইসি এবং দেশটির বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ান কেমন রয়েছেন, তা এখনো জানানো হয়নি।
ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ-র তরফে শুধু এতটুকুই জানানো হয়ছে যে, প্রেসিডেন্ট যে হেলিকপ্টারে ছিলেন, তাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সরকারি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রইসি ইরানের পূর্ব আজ়ারবাইজান প্রদেশ সফরে বেরিয়েছিলেন। তার সফর সঙ্গী ছিলেন দেশটির বিদেশমন্ত্রী। যেখানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেই স্থানটি আজ়ারবাইজানের সীমান্তে অবস্থিত শহর জোলফার কাছাকাছি। ইরানের রাজধানী থেকে অন্তত ৬০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।
সরকারি সংবাদ সংস্থার দুর্ঘটনার বিবরণ দিয়ে যে লব্জটি ব্যবহার করছে, তা হল ‘হার্ড ল্যান্ডিং’। বাংলায় যার অর্থ অবতরণের সময় বিপত্তি। স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা অবশ্য ‘ক্র্যাশ’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তারপর যে প্রশ্নটি উঠছে, তা হল হেলিকপ্টারটি ভেঙেই কি দুর্ঘটনায় পতিত হলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং বিদেশমন্ত্রী?
ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে খুব দ্রুত পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে। ইরান প্রশাসনের একটি সূত্র মারফত জানা গেছে, ভারী বৃষ্টি এবং ঘন কুয়াশার কারণে রইসির হেলিকপ্টার অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
রবিবার (১৯ মে) আজ়ারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সাথে আরস নদীর উপর একটি বাঁধ উদ্বোধন করার কথা ছিলো রইসির। যদিও এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তেমন একটা ভাল না।
২০২৩ সালে ইরানে আজ়ারবাইজানের দূতাবাসে বন্দুক নিয়ে হামলা চালানো হয়েছিলো। এছাড়া আজ়ারবাইজানের ইজ়রায়েল-ঘনিষ্ঠতাকেও সন্দেহের চোখে দেখে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরান।
ইরানের অধিকাংশ বিমান ও হেলিকপ্টারই অনেক পুরনো। আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো পশ্চিম এশিয়ার এ দেশের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এর আধুনিক যন্ত্রপাতি কিনতে অসুবিধার মুখে পড়তে হয় ইরানকে। এমনকি, ইরানের সেনা যে যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে, তাও ১৯৭৯ সালে সে দেশে ইসলামিক বিপ্লবের আগেও ব্যবহৃত হতো।