ঢাকা ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর মরদেহ উত্তোলন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫০:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি


নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক দিনমজুরকে জবাই করে হত্যার ৪৪ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে আব্দুর রহমানের (৩২) লাশটি উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত আব্দুর রহমান উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের লাতু ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনজমুর ছিলেন।

সুধারাম থানার উপপরিদর্শ (এসআই) ফখরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ নেওয়াজ তানভীরের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে লাশের সুরতহাল ও ময়না তদন্ত শেষে একই দিন রাত ৯টার দিকে পুনরায় দাফন করা হয়।

জানা যায়, গত ৬ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে পূর্ব শক্রতার জের ধরে একদল সন্ত্রাসী দিনমজুর আব্দুর রহমানকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর একই দিন বিকেল ৫টার উপলোর পূর্ব মাইজচরা গ্রামের দই বেপারী বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তার পুরুষাঙ্গ ও বামহাত কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। একপর্যায়ে তাকে জবাই করে নির্মম ভাবে হত্যা করে। তখন সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিহতের পুরুষ স্বজনেরা কেউ ঘটনাস্থলে লাশের পাশে যেতে পারেনি। নিহতের মরদেহ ঘিরে রাখে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। পরে রাত গভীর হলে মহিলারা রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। পরে ৭ আগস্ট পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

সুধারাম থানার উপপরিদর্শ (এসআই) ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, তখন আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে নিহতের স্বজনেরা মামলা করতে পারেনি। পরবর্তীতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ১৪ আগস্ট নিহতের পিতা বাদী হয়ে ২২জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে সুধারাম থানার হত্যা মামলা রুজু করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর মরদেহ উত্তোলন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫০:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪


নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক দিনমজুরকে জবাই করে হত্যার ৪৪ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে আব্দুর রহমানের (৩২) লাশটি উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত আব্দুর রহমান উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের লাতু ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনজমুর ছিলেন।

সুধারাম থানার উপপরিদর্শ (এসআই) ফখরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ নেওয়াজ তানভীরের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে লাশের সুরতহাল ও ময়না তদন্ত শেষে একই দিন রাত ৯টার দিকে পুনরায় দাফন করা হয়।

জানা যায়, গত ৬ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে পূর্ব শক্রতার জের ধরে একদল সন্ত্রাসী দিনমজুর আব্দুর রহমানকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর একই দিন বিকেল ৫টার উপলোর পূর্ব মাইজচরা গ্রামের দই বেপারী বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তার পুরুষাঙ্গ ও বামহাত কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। একপর্যায়ে তাকে জবাই করে নির্মম ভাবে হত্যা করে। তখন সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিহতের পুরুষ স্বজনেরা কেউ ঘটনাস্থলে লাশের পাশে যেতে পারেনি। নিহতের মরদেহ ঘিরে রাখে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। পরে রাত গভীর হলে মহিলারা রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। পরে ৭ আগস্ট পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

সুধারাম থানার উপপরিদর্শ (এসআই) ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, তখন আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে নিহতের স্বজনেরা মামলা করতে পারেনি। পরবর্তীতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ১৪ আগস্ট নিহতের পিতা বাদী হয়ে ২২জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে সুধারাম থানার হত্যা মামলা রুজু করা হয়।